ঢাকা ০৫:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান দখলদাররা যেন পুনরায় সক্রিয় হতে না পারে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:০৭:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ৩৩২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশে বিভিন্ন সময় লক্ষ করা গেছে, নদী-খালের ওপর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর পুনরায় দখলদাররা সক্রিয় হয়েছে। এতে নতুন দখলদাররাও এ অবৈধ কাজে উৎসাহিত হয়েছে।

তাদের এ অপতৎপরতা অব্যাহত থাকায় অনেক নদী-খালের অস্তিত্ব এখন শুধু কাগজে-কলমে রয়েছে। আবার অনেক নদী মরা খালে পরিণত হয়েছে।

নদী-খাল দখলের কারণে জনগণের দুর্ভোগ বেড়েছে। এ অবস্থায় কাক্সিক্ষত ফল পেতে হলে কোনো অভিযানের পর দখলদাররা যাতে পুনরায় সক্রিয় হতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।

সম্প্রতি সারা দেশে নদী ও খাল দখলদারদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও গাজীপুরের টঙ্গীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গার কুমার নদের তীরেও। নরসিংদীতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনাও অপসারণ করেছে জেলা প্রশাসন।

এছাড়া বিভিন্ন জেলায়ও এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনার সময় বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হচ্ছে নদীর জমিতে গড়ে ওঠা বিভিন্ন স্থাপনা। তবে টঙ্গী বাজারসহ কয়েকটি স্থানে অভিযান শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুনরায় বাজার বসানোর খবর পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, পানিসম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কমিটি গত এক বছরে সারা দেশের নদী-খাল দখলদারদের তালিকা তৈরি করেছে। এবার দখলদার চিহ্নিত করতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।

স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ছবি ও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া এবার অভিযান শুরু করার ক্ষেত্রেও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হয়েছে। রাজধানীর রামচন্দ্রপুর খালে উচ্ছেদ অভিযানের সময় স্বয়ং পানিসম্পদ সচিব উপস্থিত ছিলেন।

সেখানে তিনি বলেছেন, ৬৪ জেলায় শুরু হওয়া অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে ফল আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামব না। প্রয়োজনে আমরা আইনি প্রক্রিয়ার জন্যও প্রস্তুত রয়েছি।

জানা গেছে, উচ্ছেদকৃত জায়গা পুনরায় দখল প্রতিহত করতে ওয়াকওয়েসহ মনোরম পরিবেশের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেয়া হবে। এসব পরিকল্পনা যাতে যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হয় তার জন্য অভিজ্ঞতার নিরিখে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এসব কাজে স্থানীয়দেরও যুক্ত করা উচিত বলে আমরা মনে করি।

তা না হলে কাক্সিক্ষত ফল পাওয়ার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে। মনে রাখা দরকার, অভিযান শুরুর পরপর বিশেষ তদারকির ব্যবস্থা না থাকলে দখলদাররা অতীতের মতোই উচ্ছেদের পর পুনরায় সক্রিয় হতে পারে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান দখলদাররা যেন পুনরায় সক্রিয় হতে না পারে

আপডেট টাইম : ০৯:০৭:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশে বিভিন্ন সময় লক্ষ করা গেছে, নদী-খালের ওপর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর পুনরায় দখলদাররা সক্রিয় হয়েছে। এতে নতুন দখলদাররাও এ অবৈধ কাজে উৎসাহিত হয়েছে।

তাদের এ অপতৎপরতা অব্যাহত থাকায় অনেক নদী-খালের অস্তিত্ব এখন শুধু কাগজে-কলমে রয়েছে। আবার অনেক নদী মরা খালে পরিণত হয়েছে।

নদী-খাল দখলের কারণে জনগণের দুর্ভোগ বেড়েছে। এ অবস্থায় কাক্সিক্ষত ফল পেতে হলে কোনো অভিযানের পর দখলদাররা যাতে পুনরায় সক্রিয় হতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।

সম্প্রতি সারা দেশে নদী ও খাল দখলদারদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও গাজীপুরের টঙ্গীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গার কুমার নদের তীরেও। নরসিংদীতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনাও অপসারণ করেছে জেলা প্রশাসন।

এছাড়া বিভিন্ন জেলায়ও এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনার সময় বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হচ্ছে নদীর জমিতে গড়ে ওঠা বিভিন্ন স্থাপনা। তবে টঙ্গী বাজারসহ কয়েকটি স্থানে অভিযান শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুনরায় বাজার বসানোর খবর পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, পানিসম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কমিটি গত এক বছরে সারা দেশের নদী-খাল দখলদারদের তালিকা তৈরি করেছে। এবার দখলদার চিহ্নিত করতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।

স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ছবি ও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া এবার অভিযান শুরু করার ক্ষেত্রেও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হয়েছে। রাজধানীর রামচন্দ্রপুর খালে উচ্ছেদ অভিযানের সময় স্বয়ং পানিসম্পদ সচিব উপস্থিত ছিলেন।

সেখানে তিনি বলেছেন, ৬৪ জেলায় শুরু হওয়া অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে ফল আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা থামব না। প্রয়োজনে আমরা আইনি প্রক্রিয়ার জন্যও প্রস্তুত রয়েছি।

জানা গেছে, উচ্ছেদকৃত জায়গা পুনরায় দখল প্রতিহত করতে ওয়াকওয়েসহ মনোরম পরিবেশের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেয়া হবে। এসব পরিকল্পনা যাতে যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হয় তার জন্য অভিজ্ঞতার নিরিখে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এসব কাজে স্থানীয়দেরও যুক্ত করা উচিত বলে আমরা মনে করি।

তা না হলে কাক্সিক্ষত ফল পাওয়ার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে। মনে রাখা দরকার, অভিযান শুরুর পরপর বিশেষ তদারকির ব্যবস্থা না থাকলে দখলদাররা অতীতের মতোই উচ্ছেদের পর পুনরায় সক্রিয় হতে পারে।