হাওর বার্তা ডেস্কঃ কেউ অজ্ঞান হয়ে পড়লে আশেপাশের সবার হুলুস্থুল শুরু হয়ে যায়। বাড়িতে বা অফিসে অথবা পথেও হঠাৎই যে কেউ অজ্ঞান হয়ে পড়তে পারে! তখন আপনার করণীয় কী?
এসময় হয়ত কেউ মাথায় পানি ঢালতে থাকে, কেউ পায়ের তালুতে তেল ঘষে, কেউ মুখের ভেতর কিছু দিয়ে মুখ খোলার চেষ্টা করে। আসলে জানা উচিত, এই মুহূর্তে কীভাবে আশপাশের লোকজন দায়িত্বশীল আচরণ করবেন।
মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ, শরীরে লবণ ও পানির ঘাটতি কিংবা সুগারের মাত্রা অনেক কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে মানুষ জ্ঞান হারাতে পারে। যদি কোনো ব্যক্তি হটাৎ কোনো কারণে অজ্ঞান হয়ে যায় তাহলে প্রথমেই ওই অজ্ঞান ব্যক্তিকে ভালোভাবে শুইয়ে দিন। ভুলেও দাঁড় করানো বা বসানোর চেষ্টা করবেন না। কোনো ধারালো বস্তু, রান্নাঘর, আগুনের উৎস ইত্যাদি বিপজ্জনক জিনিস থেকে দূরে সরিয়ে আনুন।
সম্ভব হলে একবার এক দিকে কাঁত করে দিন। তারপর লক্ষ্য করুন বুকের ওঠানামা থেকে শ্বাসপ্রশ্বাস নিচ্ছে কি না। যদি বাড়িতে বা আশপাশে কারো জানা থাকে কীভাবে মুখে মুখ লাগিয়ে শ্বাস দিতে হয় তাকে ডাকুন নাহলে নিজেই চালু করুন।
আজকাল প্রায় সব বাড়িতেই রক্তচাপ মাপার যন্ত্র থাকে। রক্তচাপ খুব কম হলে বা পাওয়া না গেলেও পায়ের দিকটা একটু উঁচু করে দিন বা পায়ের নিচে বালিশ দিন। আর যদি তিনি ডায়াবেটিসের রোগী হন তাহলে গ্লুকোমিটার দিয়ে পরীক্ষা করে দেখুন রক্তে শর্করা কমে গেছে কি না। যদি যন্ত্র না-ও থাকে, তবু মুখের ভেতর একটু চিনি আগে থেকেই দিয়ে দেয়া ভালো।
সবশেষ কথা হলো, নানা কারণেই একজন সুস্থ-সবল মানুষ হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়তে পারেন। তবে যে কারণেই হোক, জ্ঞান ফিরে আসুক আর না আসুক তাকে প্রাথমিক পরিচর্যার পর যেকোনো হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যেতে হবে।
এখন বাংলাদেশে ৯৯৯ নম্বরে কল করে জরুরি সেবাদানকারীদের ডাকার ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এছাড়া অনেক অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস আছে যাদের ফোন করলে দ্রুত বাড়ি পৌঁছে যায়। প্রথমেই এই কাজ করলে সেবাদানকারী এসে পৌঁছানো পর্যন্ত বাকি কাজগুলো করার সময় পাওয়া যাবে।