হাওর বার্তা ডেস্কঃ শীতকালের খুবই সাধারণ একটি সমস্যা হচ্ছে ঠোঁট ফাটা। অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে গেলে ঠোঁট ফেটে যায়। আর শীতে বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকে, ফলে ঠোঁট শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়।ঠোঁট যেহেতু অত্যন্ত সংবেদনশীল অংশ, ফলে শীতকালে ঠোঁটের বাড়তি যত্ন নেয়া প্রয়োজন। এছাড়া এই ঋতুতেই অনেকের ঠোঁট কালচে হয়ে যায়। ফলে সতেজতাও হারায় ঠোঁট। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক শীতকালে শুষ্কতা ও কালচেভাব থেকে ঠোঁটকে বাঁচানোর উপায়-
ঘরোয়া টোটকা
ঘরে থাকা উপকরণ দিয়ে সামান্য যত্ন নিলেই ঠোঁট ফাটার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। চিনি, লেবুর রস, মধু ও নারকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে পাতলা কাপড় দিয়ে হালকা করে ঘষুন। ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপর ঠোঁটে লিপবাম লাগান। ঠোঁটের মরা চামড়া দূর হবে। এভাবে নিয়মিত ঠোঁটের যত্ন নিলে এই শীতেও ঠোঁট ফাটার ভয় থাকবে না।
ঠোঁটের কালচেভাব দূর করতে
ঠোঁটের কালচেভাব দূর করতে দুধের সর বা মাখনের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ঠোঁটে লাগান। এছাড়া গোলাপের পাপড়ি পেস্ট বানিয়ে তাতে মধু মিশিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন সারারাত। নিয়মিত এসব উপকরণগুলো ব্যবহার করলে ঠোঁটের কালচেভাব দূর হবে।
শাক-সবজি, ফলমূল খান পর্যাপ্ত
শীতকাল মানেই শাক-সবজি ও ফলমূহের সমাহার। এই ঋতুতে বাজারে থাকে নানারকম ফলমূল ও শাক-সবজি। আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে শাক-সবজি ও ফলমূল থাকতে হবে। কারণ প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ লবণের অভাবেও ঠোঁট ফ্যাকাশে বা কালচে হয়ে যেতে পারে। দিনে দুইবার ফল এবং তিনবার কয়েকরকম শাক-সবজি খেতে হবে।
প্রচুর পানি খান
শীতকালে অনেকেই পানি কম খেয়ে থাকেন। এর ফলে ত্বক ও ঠোঁটের আর্দ্রতা হারায়। প্রতিদিন অনন্ত দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করা উচিত। শরীরে পানিশূন্যতা থাকলে ঠোঁট উজ্জ্বল দেখায় না।
বদঅভ্যাস বাদ দিতে হবে
ঠোঁট শুষ্ক হলে অনেকে জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট বার বার ভেজায়। এটা খুবই খারাপ অভ্যাস। এভাবে ঠোঁট ভেজালে আপনার ঠোঁট আরো বেশি ফাটবে। ব্যাগে সবসময় লিপবাম রাখুন। ঠোঁট শুষ্ক হলেই ঝটপট একটু লিপবাম লাগিয়ে নিন।
ঠোঁট পরিষ্কার রাখতে হবে
এইসময় বাতাসে ধুলোবালি থাকে বেশি। ফলে বাইরে বের হলেই ঠোঁটে ধুলোবালি জমে যায়। তাই বাসায় ফিরে ঠোঁট পরিষ্কার করে লিপবাম লাগতে হবে।