হাওর বার্তা ডেস্কঃ টাইফয়েড খুবই মারাত্মক একটি রোগ। প্রতি বছর এই রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক মানুষ মারা যায়। টাইফয়েড প্রতিরোধে চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণার শেষ নেই।
সাধারণত ‘সালেমানেলা টাইফি’ ও ‘প্যারাটাইফি’ জীবাণু থেকে টাইফয়েড নামের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা গুরুতর ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের কারণে টাইফয়েড জ্বর হয়ে থাকে। টাইফয়েডের অন্যতম কারণ হলো দূষিত খাবার গ্রহণ।
টাইফয়েড প্রতিরোধে নেপালে নতুন একটি টিকা মাঠপর্যায়ে প্রথম পরীক্ষা চালানো হয়। শিশুদের ওপর এই টিকা প্রয়োগ করে ৮১ দশমিক ৬ শতাংশ সফলতা পাওয়া গেছে।গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের দ্য নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
এর লেখক যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্ড্রু পোলার্ড বলেন, এই পরীক্ষা নতুন টিকার কার্যকারিতা ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সুফল তুলে ধরা হয়েছে।
বিশ্বে বছরে এক কোটি ১০ লাখ মানুষ টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়। যাদের মধ্যে প্রায় এক লাখ ১৭ হাজার মারা যায়। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায় টাইফয়েড ওষুধ–প্রতিরোধী হয়ে ওঠায় তা নিয়ন্ত্রণ জরুরি হয়ে পড়েছে।
বর্তমানে টাইফয়েডের দুই ধরনের টিকা রয়েছে। একটি ছয় বছরের বেশি বয়সী শিশুদের জন্য ক্যাপসুল আকারে। এই ক্যাপসুলটি এত বড় যে কম বয়সী শিশুদের জন্য গেলা কঠিন।
অন্যটি ইনজেকশন। এটি আবার দুই বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রে কাজ করে না।নেপালে পরীক্ষা চালানো নতুন টিকা ৯ মাস বয়সী শিশুর ক্ষেত্রেও কাজ করেছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।