ঢাকা ০২:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফোর টায়ার ন্যাশনাল ডাটা সেন্টারের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৫৪:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০১৯
  • ২৬৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আজ এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের অধীনে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ‘ফোর টায়ার ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার’- এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের প্রথম ফোর টায়ার এ ডাটা সেন্টার উদ্বোধনকালে গণভবনে আরো উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং  ডাটা সেন্টারের প্রকল্পের ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর লতিফুল কবির।

ডাটা সেন্টারটি উদ্বোধন করতে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ডাটা সেন্টারের প্রকল্প পরিচালক রেজাউল করিম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব এবং বিমান বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. মোকাব্বির হোসেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ ডাটা সেন্টার নির্মাণ প্রতিষ্ঠান জেডটিই করপোরেশন বাংলাদেশ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ভিনসেন্ট লুই, গভর্নমেন্ট এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চেন উই এবং প্রতিষ্ঠানটির এ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ।

চীনের শেনঝেন ভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান জেডটিই করপোরেশনের দায়িত্বে নির্মিত হয়েছে পার্ক ও ভবন, ডাটা সেন্টার ফিজিক্যাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার (ডিসিপিআই), আইটি সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার এবং ফোর টায়ার ডাটা সেন্টারের ওঅ্যান্ডএম সার্ভিস। এ প্রকল্পের মূল অংশ হিসেবে ডিসিপিআই নকশা ও নির্মাণ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আপটাইম ইনস্টিটিউটের টায়ার ফোর স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী যার রিল্যায়াবিল্যাটি লেভেল হবে ৯৯.৯৯৫ শতাংশ পর্যন্ত। তথ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে ডাটা সেন্টারটি নির্মাণ করা রয়েছে অত্যাধুনিক শক-প্রুফ, ফ্লাড-প্রুফ এবং এক্সপ্লোশন-প্রুফ ডিজাইনে।

বাংলাদেশে একটি টায়ার থ্রি ডাটা সেন্টার থাকলেও এর ধারণক্ষমতা ইতিমধ্যেই পূর্ণ। এজন্য, হাই-টেক পার্কে জেডটিই’র মাধ্যমে টায়ার ফোর ডাটা সেন্টারটি নির্মাণ করা হয়েছে। এ ডাটা সেন্টারটির ধারণক্ষমতা দুই পেটাবাইট। এক পেটাবাইট ১০ লাখ গিগাবাইটের সমতুল্য। আপটাইম ইনস্টিটিউটের টায়ার ফোর সনদপ্রাপ্ত এ ডাটা সেন্টারটি মিশন ক্রিটিক্যাল অপারেশনে সহায়তা প্রদানে সর্বোচ্চ পরিমাণে অ্যাভেইলাবিলিটি ও রিসাইলেন্স রয়েছে। এটা দেশের প্রথম জাতীয় ডাটা সেন্টার যার আপটাইম টায়ার ফোর ডিজাইন সার্টিফিকেশন ও ফ্যাসিলিটি সার্টিফিকেশন রয়েছে। এবং এ ডাটা সেন্টার আপটাইম টায়ার ফোর ফ্যাসিলিটি সার্টিফিকেশন পাওয়া দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম ডাটা সেন্টার এবং বিশ্বের সপ্তম টায়ার ফোর ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার।

বাংলাদেশের প্রথম টায়ার ফোর ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার নির্মাণের সফলতার জন্য সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ‘ডিসিডি এশিয়া প্যাসিফিক অ্যাওয়্যার্ডস ২০১৯’ – এ টিম অব দ্য ইয়ার পুরস্কার পেয়েছে জেডটিই করপোরেশন।

ফোর টায়ার ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার নিয়ে জেডটিই করপোরেশন বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী ভিনসেন্ট লিউ বলেন, ‘তথ্য সংরক্ষণ, সুরক্ষা ও শেয়ারিং- এর পাশাপাশি অনেক প্রযুক্তি সহজে ব্যবহারযোগ্য করে তোলার ক্ষেত্রে নতুন ডাটা সেন্টার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের কেন্দ্রস্থল বলে বিবেচিত হবে। আপটাইম ইনস্টিটিউটের টায়ার ফোর স্ট্যান্ডার্ড মেনে এ ডাটা সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে যেখানে বিবেচনা করা হয়েছে এর নকশা, নির্মাণ, কার্যক্রম ও রক্ষণাবেক্ষণ। ডিজিটাল বাংলাদেশের যাত্রার অংশ হতে পেরে আমরা গর্বিত।’

জেডটিই করপোরেশন বাংলাদেশের গভর্নমেন্ট এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চেন উই বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি খাতের প্রবৃদ্ধিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এ খাতের উন্নয়নে ইতিমধ্যেই সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে জাতীয় ডাটা সেন্টার অত্যন্ত কার্যকরী উদ্যোগ। এ ডাটা সেন্টার বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি খাতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলেই আমার বিশ্বাস।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ফোর টায়ার ন্যাশনাল ডাটা সেন্টারের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৭:৫৪:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আজ এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের অধীনে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ‘ফোর টায়ার ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার’- এর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের প্রথম ফোর টায়ার এ ডাটা সেন্টার উদ্বোধনকালে গণভবনে আরো উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং  ডাটা সেন্টারের প্রকল্পের ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর লতিফুল কবির।

ডাটা সেন্টারটি উদ্বোধন করতে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ডাটা সেন্টারের প্রকল্প পরিচালক রেজাউল করিম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব এবং বিমান বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. মোকাব্বির হোসেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ ডাটা সেন্টার নির্মাণ প্রতিষ্ঠান জেডটিই করপোরেশন বাংলাদেশ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ভিনসেন্ট লুই, গভর্নমেন্ট এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চেন উই এবং প্রতিষ্ঠানটির এ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ।

চীনের শেনঝেন ভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান জেডটিই করপোরেশনের দায়িত্বে নির্মিত হয়েছে পার্ক ও ভবন, ডাটা সেন্টার ফিজিক্যাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার (ডিসিপিআই), আইটি সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার এবং ফোর টায়ার ডাটা সেন্টারের ওঅ্যান্ডএম সার্ভিস। এ প্রকল্পের মূল অংশ হিসেবে ডিসিপিআই নকশা ও নির্মাণ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আপটাইম ইনস্টিটিউটের টায়ার ফোর স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী যার রিল্যায়াবিল্যাটি লেভেল হবে ৯৯.৯৯৫ শতাংশ পর্যন্ত। তথ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে ডাটা সেন্টারটি নির্মাণ করা রয়েছে অত্যাধুনিক শক-প্রুফ, ফ্লাড-প্রুফ এবং এক্সপ্লোশন-প্রুফ ডিজাইনে।

বাংলাদেশে একটি টায়ার থ্রি ডাটা সেন্টার থাকলেও এর ধারণক্ষমতা ইতিমধ্যেই পূর্ণ। এজন্য, হাই-টেক পার্কে জেডটিই’র মাধ্যমে টায়ার ফোর ডাটা সেন্টারটি নির্মাণ করা হয়েছে। এ ডাটা সেন্টারটির ধারণক্ষমতা দুই পেটাবাইট। এক পেটাবাইট ১০ লাখ গিগাবাইটের সমতুল্য। আপটাইম ইনস্টিটিউটের টায়ার ফোর সনদপ্রাপ্ত এ ডাটা সেন্টারটি মিশন ক্রিটিক্যাল অপারেশনে সহায়তা প্রদানে সর্বোচ্চ পরিমাণে অ্যাভেইলাবিলিটি ও রিসাইলেন্স রয়েছে। এটা দেশের প্রথম জাতীয় ডাটা সেন্টার যার আপটাইম টায়ার ফোর ডিজাইন সার্টিফিকেশন ও ফ্যাসিলিটি সার্টিফিকেশন রয়েছে। এবং এ ডাটা সেন্টার আপটাইম টায়ার ফোর ফ্যাসিলিটি সার্টিফিকেশন পাওয়া দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম ডাটা সেন্টার এবং বিশ্বের সপ্তম টায়ার ফোর ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার।

বাংলাদেশের প্রথম টায়ার ফোর ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার নির্মাণের সফলতার জন্য সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ‘ডিসিডি এশিয়া প্যাসিফিক অ্যাওয়্যার্ডস ২০১৯’ – এ টিম অব দ্য ইয়ার পুরস্কার পেয়েছে জেডটিই করপোরেশন।

ফোর টায়ার ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার নিয়ে জেডটিই করপোরেশন বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী ভিনসেন্ট লিউ বলেন, ‘তথ্য সংরক্ষণ, সুরক্ষা ও শেয়ারিং- এর পাশাপাশি অনেক প্রযুক্তি সহজে ব্যবহারযোগ্য করে তোলার ক্ষেত্রে নতুন ডাটা সেন্টার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের কেন্দ্রস্থল বলে বিবেচিত হবে। আপটাইম ইনস্টিটিউটের টায়ার ফোর স্ট্যান্ডার্ড মেনে এ ডাটা সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে যেখানে বিবেচনা করা হয়েছে এর নকশা, নির্মাণ, কার্যক্রম ও রক্ষণাবেক্ষণ। ডিজিটাল বাংলাদেশের যাত্রার অংশ হতে পেরে আমরা গর্বিত।’

জেডটিই করপোরেশন বাংলাদেশের গভর্নমেন্ট এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চেন উই বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি খাতের প্রবৃদ্ধিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এ খাতের উন্নয়নে ইতিমধ্যেই সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে জাতীয় ডাটা সেন্টার অত্যন্ত কার্যকরী উদ্যোগ। এ ডাটা সেন্টার বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি খাতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলেই আমার বিশ্বাস।’