হাওর বার্তা ডেস্কঃ আবারো অনিশ্চিত হয়ে পড়লো বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি প্রক্রিয়া।
দেশটির শ্রমবাজার পুনরায় চালুর বিষয়ে চলতি মাসের শুরুতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ঐক্যমতে পৌঁছেছিল দু’দেশ। আগামী সপ্তাহেই দু’দেশের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। এরপরই শুরু হতো জনশক্তি রপ্তানি। কিন্তু শেষ সময়ে এসে মালয়েশিয়া বৈঠকটি স্থগিত করেছে।
বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক রপ্তানি শুরু করার সময় এবং এক্ষেত্রে উভয় দেশের এজেন্সিগুলোর সম্পৃক্ততার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার কথা ছিল এই আলোচনায়।
শ্রমবাজার ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে আগামী ২৪ ও ২৫ নভেম্বরের ওয়ার্কিং কমিটির অনুষ্ঠিতব্য আলোচনাটি স্থগিত করার সিদ্ধান্তটি ইতোমধ্যে মালয়েশিয়া বাংলাদেশকে জানিয়ে দিয়েছে। দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আপাতত বাংলাদেশে আসছে না দেশটির প্রতিনিধিদল। ফলে আবারো অনিশ্চিত হয়ে পড়লো বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সোমবার আলোচনা স্থগিত করার বিষয়টি জানিয়েছে মালয়েশিয়া। তবে এর কারণ জানায়নি দেশটি।
প্রসঙ্গত, গত ৬ ও ৭ নভেম্বর দুই দেশের মধ্যে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হয়। আলোচনায় শ্রমবাজার চালুর ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া পরবর্তী আলোচনায় এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী এম কুলাসেগান।
এই আলোচনায় বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি রপ্তানি চালুর বিষয়ে একমত হয় মালয়েশিয়া। এর অংশ হিসেবে ২৪ ও ২৫ নভেম্বরে ঢাকায় আসার কথা ছিল মালয়েশিয়ার একটি প্রতিনিধি দলের।
উল্লেখ্য, দশটি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়ায় গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর বন্ধ হয়ে যায় মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর অনলাইন সিস্টেম এসপিপিএ। এরপর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চেষ্টার প্রেক্ষিতে জনশক্তি রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল।
এদিকে, মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রাইজিংবিডিকে বলেন, দু’দেশের মধ্যকার ওয়ার্কিং কমিটির তৃতীয় বৈঠকটিও মালয়েশিয়া দু’দফা পিছিয়েছিল। তারাও বাংলাদেশের শ্রমিক পছন্দ করেন, তাই জনশক্তি রপ্তানির প্রক্রিয়া একটু বিলম্বিত হলেও শুরু হওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ আশাবাদী। কিন্তু দেশটি আগেকার সিন্ডিকেট, দালাল কিংবা দুর্নীতির বিষয়ে আরো নিশ্চিত হতে সময় নিচ্ছে কী না, সেটাও ভাবনার বিষয়।