হাওর বার্তা ডেস্কঃ নিজেকে সুস্থ রাখার প্রথম ধাপ হলো অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া বাদ দেয়া। ডায়েটে রাখতে হবে পুষ্টিকর এবং খনিজ সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাবারগুলো। এক্ষেত্রে মিষ্টি কুমড়ার বীজ একটি দুর্দান্ত বিকল্প হতে পারে।
ম্যাগনেসিয়াম, কপার, প্রোটিন এবং জিঙ্ক জাতীয় বিভিন্ন ধরণের পুষ্টিতে ভরা ছোট ছোট কুমড়ার বীজ আপনার খাবারে স্বাস্থ্যকর দিকটি নিশ্চিত পারে। জানেন কি? প্রতিদিন কুমড়ার বীজ খাওয়ার রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা।
হাড়ের জন্য ভালো
মিষ্টি কুমড়ার বীজগুলোতে থাকে ম্যাগনেসিয়াম। যা শরীরে যোগান দিবে হাড় গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ। উচ্চ ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণের ফলে হাড়ের ঘনত্ব বাড়ে এবং অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি হ্রাস করে।
হার্টের জন্য ভালো
কুমড়ার বীজে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক এবং ফ্যাটি অ্যাসিডগুলোর একটি ভালো উৎস। যা আপনার হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য খুবই ভালো। এই বীজে আরো রয়েছে মনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড। যা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে এবং রক্তে কোলেস্টেরলের ভাল মাত্রা বাড়াতে সহায়তা করে।
ওজন কমাতে সহায়তা করুন
কুমড়ার বীজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা আপনার ওজন কমাতে সহায়তা করবে। আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পরিপূর্ণ রাখে।
অনিদ্রা কাটায়
যাদের রাতে ঘুমানোর সমস্যা আছে তারা নিয়মিত মিষ্টি কুমড়ার বীজ খেতে পারেন। এই বীজে থাকা ট্রিপটোফেন, ম্যাগনেসিয়াম অনিদ্রার সমস্যা সমাধানে জাদুর মতো কাজ করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ক্যারোটিনয়েড এবং ভিটামিন ই এর মতো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কুমড়ার বীজ। এটি আপনার কোষকে ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিক্যালগুলো থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। প্রতিদিন কুমড়ার বীজ খেলে সাধারণ সর্দি এবং কাশি থেকে মুক্ত রাখতে পারে।
চুল বৃদ্ধি
বীজের মধ্যে এক ধরণের অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে। যা চুল বৃদ্ধির জন্য খুবই উপকারী। কুমড়ার বীজে পাওয়া অন্যান্য মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট চুলের গঠনকে উন্নত করতে এবং শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। কুমড়ার বীজের তেল চুলের জন্য খুবই ভালো।
কুমড়োর বীজ কীভাবে খাবেন?
অনেকভাবেই মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়া যায়। আপনি এগুলো কাঁচা খেতে পারেন। আবার রান্না করেও খেতে পারেন। খালি প্যানে ভেজে সন্ধ্যার স্ন্যাক্স হিসাবেও খেতে পারেন। এছাড়াও সালাদ বা স্যুপেও ব্যবহার করতে পারেন।