ঢাকা ০৭:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে রং ছড়াচ্ছে সোনালী আমন ধান

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৭:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৯
  • ২১৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চলন বিলের পর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শস্যভাণ্ডার গুমাই বিল। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় অবস্থিত এ বিলজুড়ে এখন রং ছড়াচ্ছে  সোনালী আমন ধান। রং ছড়াচ্ছে ঘরে, পথে-ঘাটে, মাঠেও। কারণ অগ্রহায়ণের শুরু থেকে এ বিলে শুরু হয়েছে আমন ধান কাটার উৎসব। শত শত শ্রমিক ধান কেটে ঘরে আনা, মাড়াই করা ও রোদে শুকিয়ে গোলায় তোলার কাজ করছে এখন। কাজের সন্ধানে দেশের উত্তারঞ্চলের রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, বরগুনা, বরিশাল, নোয়াখালী ও কক্সবাজারসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিকরা এসেছেন রাঙ্গুনিয়ায়। শুধু রাঙ্গুনিয়া নয়, চট্টগ্রামের রাউজান, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, মিরসরাই, বোয়ালখালী, পটিয়া, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, লোহাগাড়া ও সাতকানিয়াসহ বিভিন্ন উপজেলায়ও এসেছেন শ্রমিকরা। কারণ এসব উপজেলায়ও চলছে সোনালী আমন ধান কাটার উৎসব।
কৃষকদের মতে, সার, বীজ থেকে শুরু করে কৃষিকাজের সব উপকরণ সহজলভ্য থাকায় এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তাদের মতে, গতবারের চেয়ে আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা এবার বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে। সেটা পূরণও হয়েছে।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রমিজ উদ্দিন জানান, গুমাই বিলের এবার ২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে। যেখান থেকে ১০ হাজার ৫০ টন খাদ্যশস্য পাওয়া যাবে। আর উপজেলায় আমন চাষাবাদ করা হয়েছে ১১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে।
চট্টগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্যমতে, রাঙ্গুনিয়া ছাড়াও চট্টগ্রামের রাউজানে এবার আমন চাষাবাদ হয়েছে ১১ হাজার ৪৮০ হেক্টর জমিতে। যেখান থেকে ২৮ হাজার ৮০০ টন, হাটহাজারীতে ৯ হাজার ১৬০ হেক্টর জমি থেকে ২৫ হাজার ৩১১ টন, ফটিকছড়িতে ২২ হাজার ৩৯০ হেক্টর জমি থেকে ৬২ হাজার ৮৫৪ টন, মিরসরাইয়ে ২১ হাজার ১১০ হেক্টর জমি থেকে ৫৬ হাজার ৭৩৭ টন, সীতাকুন্ডে ৫ হাজার ৮০০ হেক্টর জমি থেকে ১৫ হাজার ৫৭০ টন খাদ্যশস্য পাওয়া যাবে।
একইভাবে বোয়ালখালীর ৪ হাজার ৪৮০ হেক্টর জমি থেকে ১১ হাজার ১১০ টন, পটিয়ায় ১২ হাজার ৯৩৫ হেক্টর জমি থেকে ৩৬ হাজার ৯৫ টন, সাতকানিয়ায় ১২ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে ৩৫ হাজার ৭৫০ টন, লোহাগাড়ায় ১১ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে ৩১ হাজার ৩৮৬ টন, আনোয়ারায় ৬ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে ১৬ হাজার টন ও বাঁশখালীতে ১৪ হাজার ৮৭৫ হেক্টর জমিতে ৪১ হাজার ৫৮৩ টন, চন্দনাইশে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে ৭ হাজার ৫০০ টন, সন্দ্বীপে ২৪ হাজার ৪৩৫ হেক্টর জমিতে ৪৮ হাজার ৬৯৩ টন খাদ্যশস্য পাওয়া যাবে। এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশে ১ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে দুই হাজার ৯৩২ টন, ডবলমুরিংয়ে ৪৯০ হেক্টর জমিতে ১ হাজার ৫৬৪ টন এবং পতেঙ্গায় ৮৩০ হেক্টর জমিতে দুই হাজার ৮১৪ টন খাদ্যশস্য পাওয়া যাবে। সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে চট্টগ্রাম জেলায় এক লাখ ৮২ হাজার ৬৯৪ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়, যা গত মৌসুমের চেয়ে ৭ হাজার ১০৫ হেক্টর বেশি। যেখান থেকে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ১৯৫ টন খাদ্যশস্য পাওয়া যাবে।
চট্টগ্রাম কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন বলেন, সার, বীজ থেকে শুরু করে কৃষিকাজের সব উপকরণ সহজলভ্য থাকায় এবার আমন ধানের ভালো ফলন হয়েছে। গতবারের চেয়ে আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা বেশি নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেটা পূরণ হয়েছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের বিলগুলোতে প্রতি হেক্টর জমিতে আগে যেখানে সর্বোচ্চ ৬.০৫ টন ধান পাওয়া যেত, সেখানে এবার প্রতি হেক্টর জমিতে ৭.২০ টন ধান পাওয়া যাবে।
রাউজান উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার সুশীল বলেন, রাউজানে এবার আমনের বামপার ফলন হয়েছে। এতে কৃষকরা খুশি। ইতোমধ্যে উপজেলার ৩০-৪০ শতাংশ আমন ধান কাটা হয়েছে। চলছে ধান মাড়াই ও শুকানোর কাজ।
সাতকানিয়া উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এস এম জহির বলেন, কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরে কাস্তে হাতে মাঠে ছুটছেন কৃষক, কাঁধে বোঝাই করে আমন ধান নিয়ে ঘরে ফিরছেন। সোনাকানিয়া ইউনিয়নের কালামিয়া পাড়া, বোর্ড অফিস এলাকা, সদর ইউনিয়নের বারদোনা এলাকা ও হাতিয়ারকুলের কৃষকরা ভালো ফলন হওয়ার কথা জানিয়েছেন।
হাটহাজারীতেও আমন ধানের ভালো ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। পোকামাকড় ও রোগবালাইয়ের আক্রমণ ছাড়াই বেড়ে ওঠা সোনালী ধানে ভরে গেছে ফসলের মাঠ। ধলই গ্রামের বারিয়া বিল মাঠ, মির্জাপুরের চারিয়া বিলসহ অনেক স্থানে ধান কাটার উৎসব চলছে। তবে ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় ভুগছেন কৃষকরা।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া বিলের কৃষক আনিছুর রহমান জানান, পদুয়া রাজারহাটে বেসরকারিভাবে নতুন আমন ধান কেজিপ্রতি ২০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। রাজানগর বগাবিলের কৃষক নাসির উদ্দিন জানান, রানীরহাটে ২২ থেকে ২৩ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে নতুন আমন ধান।
অথচ সরকার ২৬ টাকা দরে আমন ধান, সিদ্ধ চাল ৩৬ টাকা ও ৩৫ টাকা কেজি দরে আতপ চাল কেনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বুধবার (২০ নভেম্বর) থেকে ধান ও ১লা ডিসেম্বর থেকে চাল কেনা শুরু হবে। এ কার্যক্রম চলবে ২৮শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ইতিমধ্যে কৃষকদের তালিকাও করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

চট্টগ্রামে রং ছড়াচ্ছে সোনালী আমন ধান

আপডেট টাইম : ১১:৫৭:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চলন বিলের পর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শস্যভাণ্ডার গুমাই বিল। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় অবস্থিত এ বিলজুড়ে এখন রং ছড়াচ্ছে  সোনালী আমন ধান। রং ছড়াচ্ছে ঘরে, পথে-ঘাটে, মাঠেও। কারণ অগ্রহায়ণের শুরু থেকে এ বিলে শুরু হয়েছে আমন ধান কাটার উৎসব। শত শত শ্রমিক ধান কেটে ঘরে আনা, মাড়াই করা ও রোদে শুকিয়ে গোলায় তোলার কাজ করছে এখন। কাজের সন্ধানে দেশের উত্তারঞ্চলের রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, বরগুনা, বরিশাল, নোয়াখালী ও কক্সবাজারসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিকরা এসেছেন রাঙ্গুনিয়ায়। শুধু রাঙ্গুনিয়া নয়, চট্টগ্রামের রাউজান, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, মিরসরাই, বোয়ালখালী, পটিয়া, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, লোহাগাড়া ও সাতকানিয়াসহ বিভিন্ন উপজেলায়ও এসেছেন শ্রমিকরা। কারণ এসব উপজেলায়ও চলছে সোনালী আমন ধান কাটার উৎসব।
কৃষকদের মতে, সার, বীজ থেকে শুরু করে কৃষিকাজের সব উপকরণ সহজলভ্য থাকায় এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তাদের মতে, গতবারের চেয়ে আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা এবার বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে। সেটা পূরণও হয়েছে।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রমিজ উদ্দিন জানান, গুমাই বিলের এবার ২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে। যেখান থেকে ১০ হাজার ৫০ টন খাদ্যশস্য পাওয়া যাবে। আর উপজেলায় আমন চাষাবাদ করা হয়েছে ১১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে।
চট্টগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্যমতে, রাঙ্গুনিয়া ছাড়াও চট্টগ্রামের রাউজানে এবার আমন চাষাবাদ হয়েছে ১১ হাজার ৪৮০ হেক্টর জমিতে। যেখান থেকে ২৮ হাজার ৮০০ টন, হাটহাজারীতে ৯ হাজার ১৬০ হেক্টর জমি থেকে ২৫ হাজার ৩১১ টন, ফটিকছড়িতে ২২ হাজার ৩৯০ হেক্টর জমি থেকে ৬২ হাজার ৮৫৪ টন, মিরসরাইয়ে ২১ হাজার ১১০ হেক্টর জমি থেকে ৫৬ হাজার ৭৩৭ টন, সীতাকুন্ডে ৫ হাজার ৮০০ হেক্টর জমি থেকে ১৫ হাজার ৫৭০ টন খাদ্যশস্য পাওয়া যাবে।
একইভাবে বোয়ালখালীর ৪ হাজার ৪৮০ হেক্টর জমি থেকে ১১ হাজার ১১০ টন, পটিয়ায় ১২ হাজার ৯৩৫ হেক্টর জমি থেকে ৩৬ হাজার ৯৫ টন, সাতকানিয়ায় ১২ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে ৩৫ হাজার ৭৫০ টন, লোহাগাড়ায় ১১ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে ৩১ হাজার ৩৮৬ টন, আনোয়ারায় ৬ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে ১৬ হাজার টন ও বাঁশখালীতে ১৪ হাজার ৮৭৫ হেক্টর জমিতে ৪১ হাজার ৫৮৩ টন, চন্দনাইশে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে ৭ হাজার ৫০০ টন, সন্দ্বীপে ২৪ হাজার ৪৩৫ হেক্টর জমিতে ৪৮ হাজার ৬৯৩ টন খাদ্যশস্য পাওয়া যাবে। এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশে ১ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে দুই হাজার ৯৩২ টন, ডবলমুরিংয়ে ৪৯০ হেক্টর জমিতে ১ হাজার ৫৬৪ টন এবং পতেঙ্গায় ৮৩০ হেক্টর জমিতে দুই হাজার ৮১৪ টন খাদ্যশস্য পাওয়া যাবে। সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে চট্টগ্রাম জেলায় এক লাখ ৮২ হাজার ৬৯৪ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়, যা গত মৌসুমের চেয়ে ৭ হাজার ১০৫ হেক্টর বেশি। যেখান থেকে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ১৯৫ টন খাদ্যশস্য পাওয়া যাবে।
চট্টগ্রাম কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন বলেন, সার, বীজ থেকে শুরু করে কৃষিকাজের সব উপকরণ সহজলভ্য থাকায় এবার আমন ধানের ভালো ফলন হয়েছে। গতবারের চেয়ে আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা বেশি নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেটা পূরণ হয়েছে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের বিলগুলোতে প্রতি হেক্টর জমিতে আগে যেখানে সর্বোচ্চ ৬.০৫ টন ধান পাওয়া যেত, সেখানে এবার প্রতি হেক্টর জমিতে ৭.২০ টন ধান পাওয়া যাবে।
রাউজান উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার সুশীল বলেন, রাউজানে এবার আমনের বামপার ফলন হয়েছে। এতে কৃষকরা খুশি। ইতোমধ্যে উপজেলার ৩০-৪০ শতাংশ আমন ধান কাটা হয়েছে। চলছে ধান মাড়াই ও শুকানোর কাজ।
সাতকানিয়া উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এস এম জহির বলেন, কুয়াশাচ্ছন্ন ভোরে কাস্তে হাতে মাঠে ছুটছেন কৃষক, কাঁধে বোঝাই করে আমন ধান নিয়ে ঘরে ফিরছেন। সোনাকানিয়া ইউনিয়নের কালামিয়া পাড়া, বোর্ড অফিস এলাকা, সদর ইউনিয়নের বারদোনা এলাকা ও হাতিয়ারকুলের কৃষকরা ভালো ফলন হওয়ার কথা জানিয়েছেন।
হাটহাজারীতেও আমন ধানের ভালো ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। পোকামাকড় ও রোগবালাইয়ের আক্রমণ ছাড়াই বেড়ে ওঠা সোনালী ধানে ভরে গেছে ফসলের মাঠ। ধলই গ্রামের বারিয়া বিল মাঠ, মির্জাপুরের চারিয়া বিলসহ অনেক স্থানে ধান কাটার উৎসব চলছে। তবে ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় ভুগছেন কৃষকরা।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া বিলের কৃষক আনিছুর রহমান জানান, পদুয়া রাজারহাটে বেসরকারিভাবে নতুন আমন ধান কেজিপ্রতি ২০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। রাজানগর বগাবিলের কৃষক নাসির উদ্দিন জানান, রানীরহাটে ২২ থেকে ২৩ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে নতুন আমন ধান।
অথচ সরকার ২৬ টাকা দরে আমন ধান, সিদ্ধ চাল ৩৬ টাকা ও ৩৫ টাকা কেজি দরে আতপ চাল কেনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বুধবার (২০ নভেম্বর) থেকে ধান ও ১লা ডিসেম্বর থেকে চাল কেনা শুরু হবে। এ কার্যক্রম চলবে ২৮শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ইতিমধ্যে কৃষকদের তালিকাও করা হয়েছে।