ঢাকা ০৩:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মেডিসিন বিশেষজ্ঞের দেখা নেই ছয় বছর

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৪৯:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৯
  • ২০২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আরএমও, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ পদ দুটি অর্ধযুগ ধরে শূণ্য রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার দিয়ে চলছে কার্যক্রম।

২০১৩ সালে পদোন্নতি পেয়ে চলে যান তৎকালীন আরএমও ডা. সিরাজুল ইসলাম। সেই থেকে রহস্যজনক কারণে এ পদে কেউ যোগদান করছেন না। এতে ব্যাহত হচ্ছে হাসপাতালের স্বাভাবিক কার্যক্রম। সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কয়েকশ রোগী।

হাসপাতালের কর্মচারীরা জানান, এ পর্যন্ত যে কয়জন আরএমও এ হাসপাতালে এসেছেন। তাদের অধিকাংশই কোয়ার্টারে থাকেন না। এ কারণে তাদের কাছ থেকে সার্বক্ষনিক সহায়তাও পাওয়া যায় না।

উপজেলার প্রায় তিন শতাধিক রোগী প্রতিদিন হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসেন। কিন্তু মেডিসিন বিশেষজ্ঞ না থাকায় পর্যাপ্ত চিকিৎসা পাচ্ছেন না। এ কারণে অধিকাংশ রোগীই প্রাইভেট ক্লিনিকের দ্বারস্থ হচ্ছেন।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নাজমা আক্তার জানান, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ না থাকায় রোগীরা মেডিকেল অফিসার অথবা জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের কাছে ভিড় জমাচ্ছেন। অনেকেই সেবা ন পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।

ডা. নাজমা আক্তার আরো জানান, দুই পদে বিশেষজ্ঞ নিয়োগের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করি, শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান হবে। আমরা আবারো নির্বিঘ্নে রোগীদের সেবা দিতে পারবো।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মেডিসিন বিশেষজ্ঞের দেখা নেই ছয় বছর

আপডেট টাইম : ১২:৪৯:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আরএমও, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ পদ দুটি অর্ধযুগ ধরে শূণ্য রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার দিয়ে চলছে কার্যক্রম।

২০১৩ সালে পদোন্নতি পেয়ে চলে যান তৎকালীন আরএমও ডা. সিরাজুল ইসলাম। সেই থেকে রহস্যজনক কারণে এ পদে কেউ যোগদান করছেন না। এতে ব্যাহত হচ্ছে হাসপাতালের স্বাভাবিক কার্যক্রম। সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কয়েকশ রোগী।

হাসপাতালের কর্মচারীরা জানান, এ পর্যন্ত যে কয়জন আরএমও এ হাসপাতালে এসেছেন। তাদের অধিকাংশই কোয়ার্টারে থাকেন না। এ কারণে তাদের কাছ থেকে সার্বক্ষনিক সহায়তাও পাওয়া যায় না।

উপজেলার প্রায় তিন শতাধিক রোগী প্রতিদিন হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসেন। কিন্তু মেডিসিন বিশেষজ্ঞ না থাকায় পর্যাপ্ত চিকিৎসা পাচ্ছেন না। এ কারণে অধিকাংশ রোগীই প্রাইভেট ক্লিনিকের দ্বারস্থ হচ্ছেন।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নাজমা আক্তার জানান, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ না থাকায় রোগীরা মেডিকেল অফিসার অথবা জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের কাছে ভিড় জমাচ্ছেন। অনেকেই সেবা ন পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।

ডা. নাজমা আক্তার আরো জানান, দুই পদে বিশেষজ্ঞ নিয়োগের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করি, শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান হবে। আমরা আবারো নির্বিঘ্নে রোগীদের সেবা দিতে পারবো।