হাওর বার্তা ডেস্কঃ ছোট বড় সবাই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় প্রায়ই ভুগে থাকেন। মলত্যাগে অসুবিধা হওয়া পাশাপাশি অস্বস্তি, পেট ব্যথা, পেট ফুলে থাকা ইত্যাদিতেও ভুগতে হয় কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে
হজম প্রণালী বা শরীরের সঙ্গে মানানসই নয় এমন কিছু খেলে কিংবা যারা দ্রুত খাবার খান তাদেরও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর মলত্যাগের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যহত হওয়ায় পাকস্থলিতে যখন চাপ তৈরি হয় তখন হজম প্রণালীর বিভিন্ন অংশে জমে থাকা বাতাসের কারণে ঢেকুর তোলা, পেঠ ফেঁপে থাকা ইত্যাদি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
এই অবস্থায় ওষুধ খাওয়ার কথাই মনে আসবে সবার আগে। তবে স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্য মতে, সমস্যার সমাধান দিতে পারে লবণ পানি।
লবণ পানির ব্যবহার বলতে গলা কিংবা দাঁত ব্যথা কমাতে গারগল বা কুলি করার কথাই মনে আসে। তবে এর আরো অনেক গুণ রয়েছে যা সঠিকভাবে কাজে লাগানো হয় না। এর মধ্যে একটি হল কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করা। এক গ্লাস লবণ পানি এই রোগের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে বেশ উপকারী।
লবণ আর পানি প্রতিটি রান্নাঘরে থাকা সম্ভবত সবচেয়ে শক্তিশালী উপাদানগুলোর মধ্যে অন্যতম। যা কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত ব্যক্তির হজম প্রণালী পরিষ্কার করবে এবং তৈরি করবে কার্যকর বিক্রিয়া যা মল সমূলে উৎপাটন করতে সক্ষম।
লবণ পানি শরীরে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ার সূত্রপাত ঘটায়। লবণ প্রাকৃতিকভাবে শরীর থেকে দূষিত উপাদান অপসারণ করে এবং শরীরকে যোগান দেয় ‘ইলেক্ট্রোলাইট’। যা হজম ও তার উপজাত বর্জ্য অপসারণ দু’টোতেই সাহায্য করে।
অপরদিকে পানি শরীরকে আর্দ্রতা যোগায় এবং দূষিত উপাদান শরীর থেকে অপসারণ করে। চিকিৎসকরা কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগীদের প্রচুর পানি পান করার পরামর্শ দেন। কারণ পানি একাই কোষ্ঠকাঠিন্যের অস্বস্তি দূর করার জন্য যথেষ্ট সহায়ক।
লবণ পানি ব্যবহারের প্রস্তুতি: সকালে খালি পেটে লবণ পানি ব্যবহার করলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। দিনে অন্যান্য সময়ও তা ব্যবহার করা যায় তবে খেয়াল রাখতে হবে এর আগে এক থেকে দুই ঘণ্টা কিছু খাওয়া যাবে না।
আর লবণ পানি তৈরি করার মতো সহজ কাজ খুব কমই আছে। এক লিটার কুসুম গরম পানিতে দুই বা তিন টেবিল-চামচ লবণ গুলে নিলেই হয়ে গেল। বেশ ভালো করে নেড়ে লবণ ভালোভাবে পানিতে গুলে নিতে হবে।
লবণ পানি তৈরি হয়ে গেলে তা দ্রুত পান করে ফেলতে হবে। চেষ্টা করতে হবে ১০ মিনিটের মধ্যে সবটুকু পানি পান করে ফেলতে। পানি পান করার পর আলতো চাপে পেটে হাতে বোলাতে পারেন। এতে হজমতন্ত্রের মাঝে লবণ পানি ছড়িয়ে যাবে সহজে। পান করার আধা ঘণ্টার মধ্যেই এই মিশ্রণ কাজ করা শুরু করবে।