হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রতিদিনই লাফিয়ে-লাফিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। কেজি প্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায়। এদিকে দাম আকাশচুম্বী হলেও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ভাগাড়ে ফেলা হয়েছে প্রায় ২০ টন পচা পেঁয়াজ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অতি মুনাফার লোভে গুদামজাত করায় পচে গেছে এসব পেঁয়াজ। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ পঁচা হওয়ায় তারা সেগুলো ফেলে দিচ্ছেন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভাগাড়ে পচা পেঁয়াজ ফেলার বিষয়টি নিশ্চিত করে চসিকের পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শক সৈয়দ আহমদ সফা মাতব্বর বলেন, গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার নগরীর পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জ থেকে প্রায় ২০ টন পেঁয়াজ ভাগাড়ে ফেলা হয়।
পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অতি মুনাফার লোভে এসব পেঁয়াজ খাতুনগঞ্জের গুদামে রাখা হয়েছিল। খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজ আড়ৎদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস বলেন, পানি পড়ে পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছে। তাই আমদানিকারক নিজেই চসিকের ময়লার গাড়িতে তুলে দিচ্ছেন। গত দুই দিনে ১০ টনেরও অধিক নষ্ট পেঁয়াজ ফেলে দিতে হয়েছে। পচা পেঁয়াজ বিক্রির কোনো সুযোগ নেই।
মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ চট্টগ্রাম আসতে বেশি সময় লাগায় বিপুল পরিমাণে পেঁয়াজ পচে গেছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এসব পচা পেঁয়াজ পাঁচ টন ধারণ ক্ষমতার চারটি গাড়ি দিয়ে অপসারণ করা হয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, বেশি লাভের আশায় মজুদ করতে গিয়ে পেঁয়াজগুলো নষ্ট করেছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে কর্ণফুলী নদীতে এ সকল পচা পেঁয়াজ ফেলে দেয়া হয়েছে। তারা আরো জানান, খাতুনগঞ্জে নদীর পাড়ে নষ্ট পেঁয়াজের বস্তা পড়ে থাকতে দেখা গেছে। রাতের অন্ধকারে প্রচুর পরিমাণে পচা পেঁয়াজ নদীর পাড়ে ফেলে রেখেছে ব্যবসায়ীরা ।
আর পাইকারী ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসতে বেশি সময় লেগে যাওয়ায় গরমে পেঁয়াজ পচে যাচ্ছে।