ঢাকা ০১:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার রেকর্ড দেড় কোটি টাকা,স্বর্ণ রূপা ও বৈদেশিক মুদ্রা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৩৯:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৯
  • ১৯২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক থেকে এবার এক কোটি ৫০ লাখ ৮৪ হাজার ৫৯৮ টাকা পাওয়া গেছে। যা দানবাক্সগুলো থেকে পাওয়া দানের হিসাবে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ। শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় দানবাক্স খোলার পর গণনা শেষে বিকালে টাকার এই হিসাব পাওয়া যায়।

প্রায় সাড়ে তিন মাস পর শনিবার সকাল ৯টার দিকে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে পাগলা মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়।

দানবাক্সের টাকাগুলো বস্তায় ভরে মসজিদের দোতলার মেঝেতে রেখে গণনা করা হয়। মসজিদ-মাদরাসার ৬০ জন ছাত্র-শিক্ষক ছাড়াও রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা টাকা গণনায় অংশ নেন। বিকেলে গণনার কাজ শেষ হয়।

এর আগে ওই মসজিদের দানবাক্সে কখনো এত টাকা পাওয়া যায়নি। এর আগে পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে সর্বোচ্চ ১ কোটি ২৭ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭১ টাকা পাওয়া গিয়েছিল।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মীর মো. আল কামাহ তমাল, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান, উবাইদুর রহমান সাহেল, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত উদ্দীন ভূঞা ও রূপালী ব্যংকের এজিএম অনুপ কুমার ভদ্র টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফার তত্ত্বাবধানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর মো. আল কামাহ তমাল, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহামুদুল হাসান, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা মো. শওকত উদ্দীন ভূঞা, রূপালী ব্যংকের এজিএম অনুফ কুমার ভদ্র প্রমুখ টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন।

কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের অবস্থান। এখানে ইবাদত করলে বেশি সওয়াব পাওয়া যায় বলে মানুষের বিশ্বাস। রোগ-শোক বা বিপদে মসজিদে মানত করলে মনের বাসনা পূর্ণ হয় বলে প্রচলিত রয়েছে। এসব বিশ্বাস থেকে এখানে প্রতিনিয়ত দান করে মানুষ। তিন মাস পর পর খোলা হয় মসজিদের দানবাক্স। প্রতিবারই টাকার পরিমাণ ছাড়িয়ে যায় কোটি টাকা। নানা শ্রেণি-পেশা আর ধর্মের লোকজন এখানে আসেন মানত করতে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

কিশোরগঞ্জ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার রেকর্ড দেড় কোটি টাকা,স্বর্ণ রূপা ও বৈদেশিক মুদ্রা

আপডেট টাইম : ১০:৩৯:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক থেকে এবার এক কোটি ৫০ লাখ ৮৪ হাজার ৫৯৮ টাকা পাওয়া গেছে। যা দানবাক্সগুলো থেকে পাওয়া দানের হিসাবে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ। শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় দানবাক্স খোলার পর গণনা শেষে বিকালে টাকার এই হিসাব পাওয়া যায়।

প্রায় সাড়ে তিন মাস পর শনিবার সকাল ৯টার দিকে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে পাগলা মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়।

দানবাক্সের টাকাগুলো বস্তায় ভরে মসজিদের দোতলার মেঝেতে রেখে গণনা করা হয়। মসজিদ-মাদরাসার ৬০ জন ছাত্র-শিক্ষক ছাড়াও রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা টাকা গণনায় অংশ নেন। বিকেলে গণনার কাজ শেষ হয়।

এর আগে ওই মসজিদের দানবাক্সে কখনো এত টাকা পাওয়া যায়নি। এর আগে পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে সর্বোচ্চ ১ কোটি ২৭ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭১ টাকা পাওয়া গিয়েছিল।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মীর মো. আল কামাহ তমাল, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান, উবাইদুর রহমান সাহেল, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত উদ্দীন ভূঞা ও রূপালী ব্যংকের এজিএম অনুপ কুমার ভদ্র টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফার তত্ত্বাবধানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর মো. আল কামাহ তমাল, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহামুদুল হাসান, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা মো. শওকত উদ্দীন ভূঞা, রূপালী ব্যংকের এজিএম অনুফ কুমার ভদ্র প্রমুখ টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন।

কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের অবস্থান। এখানে ইবাদত করলে বেশি সওয়াব পাওয়া যায় বলে মানুষের বিশ্বাস। রোগ-শোক বা বিপদে মসজিদে মানত করলে মনের বাসনা পূর্ণ হয় বলে প্রচলিত রয়েছে। এসব বিশ্বাস থেকে এখানে প্রতিনিয়ত দান করে মানুষ। তিন মাস পর পর খোলা হয় মসজিদের দানবাক্স। প্রতিবারই টাকার পরিমাণ ছাড়িয়ে যায় কোটি টাকা। নানা শ্রেণি-পেশা আর ধর্মের লোকজন এখানে আসেন মানত করতে।