ঢাকা ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে কারণে খালেদার লন্ডন থেকে নিউইয়র্ক সফর

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৩৭:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৫
  • ১৯৩ বার

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা না ফেরা নিয়ে রয়েছে নানা গুঞ্জন। খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার ব্যাপারে তথ্য রয়েছে সরকারের কাছে। তিনি লন্ডন থেকে দ্রুত ফিরছেন না দেশে। সরকারকে চাপে ফেলতেই লন্ডন থেকে নিউইয়র্ক যেতে পারেন তিনি। খালেদা জিয়া যত চেষ্টাই করুন না কেন তাতে ভীত নয় সরকার। তবে তিনি কেন দেশে ফিরছেন না তারও কারণ রয়েছে। দেশে ফেরার জন্য আরো সময় নিতে পারেন তিনি। সেটা তিনি করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহম্মদ মুজাহিদের মামলার রিভিউর আবেদনের বিষয়ে আদালত কি সিদ্ধান্ত নেন সেটা দেখার জন্য। আদালত রায় বহাল রাখলে খালেদা জিয়ার ফেরা বিলম্ব হতে পারে। আর ভিন্ন কিছু হলে তিনি দ্রুত দেশে ফিরতে পারেন। তবে আদালতের রায়ে যদি আপিল বিভাগের রায় বহাল থাকে তাহলে সরকার রায় কার্যকর করতে সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এ সময়ে তিনি দেশে থাকতে চাচ্ছেন না। সরকার তরফে বলা হচ্ছে, খালেদা জিয়া লন্ডনে বসে দেশের পরিস্থিতি খারাপ করার জন্য কাজ করছেন। এ জন্য তিনি ও তার পুত্র বিভিন্ন দিকে যোগাযোগ রক্ষা করছেন। দুই নেতার ব্যাপারে সরকার যাতে নানাভাবে চাপে পড়ে, বিচার প্রক্রিয়াটিও যাতে ব্যাহত হয় সেই চেষ্টা করছেন। তবে সেটা তার পক্ষে সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বোদ্ধারা। সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা বলেন, বেগম খালেদা জিয়া সরকারের বিরুদ্ধে কাজ করতে গিয়ে দেশের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। তার মতো একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের কর্মকাণ্ড করা ঠিক হচ্ছে না। তিনি দেশের স্বার্থ চিন্তা করছেন না। যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে চাচ্ছেন তিনি। বিদেশে বসে সরকারের ইমেজ নষ্ট করে সংলাপে বসার জন্য চাপ তৈরি করতে চাচ্ছেন তিনি। চাপের কারণে সরকার তাদের দাবি মেনে নিয়ে নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে। কিন্তু সরকারের ওপর যত চাপই সৃষ্টি করা হোক না কেন সরকার কোনো চাপের কাছেই নতি স্বীকার করবে না। বৈদেশিক কোনো চাপও আমলে নেবে না সরকার। সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার বারবার দেশে ফেরার তারিখ পরিবর্তনে একটা উদ্দেশ্য রয়েছে। উদ্দেশ্য নিয়েই লন্ডন থেকে নিউইয়র্কে যেতে চাচ্ছেন তিনি। তার নিউইয়র্ক সফরটি ভিন্ন কারণে হতে পারে। তবে বিএনপির তরফে বলা হচ্ছে, সরকারের কাছে বিভিন্ন তথ্য থাকলেও বিএনপি চেয়ারপারসন পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত দেশে ফিরছেন না। তার চোখের সমস্যাটি মোটামুটি সমাধান হলেও পায়ের হাঁটুর সমস্যার সমাধান হয়নি। হাঁটুর সমস্যার সমাধান করতে হলে নিউইয়র্কে যেতে হবে। সেই রকম চিন্তা ভাবনাও চলছে বলে সূত্রের খবর। বিএনপির অনেক নেতাই বলছেন, দলের চেয়ারপারসন যুক্তরাষ্ট্রে যেতেও পারেন। সরকার বেগম জিয়াকে নিয়ে যে ধরনের মন্তব্য করছে তা আদৌ ঠিক না। তিনি দেশের বিরুদ্ধে কাজ করছেন এটা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা ছাড়া আর কিছু নয়। দেশের স্বার্থের বাইরে তিনি কোনো কাজ করেননি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

যে কারণে খালেদার লন্ডন থেকে নিউইয়র্ক সফর

আপডেট টাইম : ০৯:৩৭:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৫

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা না ফেরা নিয়ে রয়েছে নানা গুঞ্জন। খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার ব্যাপারে তথ্য রয়েছে সরকারের কাছে। তিনি লন্ডন থেকে দ্রুত ফিরছেন না দেশে। সরকারকে চাপে ফেলতেই লন্ডন থেকে নিউইয়র্ক যেতে পারেন তিনি। খালেদা জিয়া যত চেষ্টাই করুন না কেন তাতে ভীত নয় সরকার। তবে তিনি কেন দেশে ফিরছেন না তারও কারণ রয়েছে। দেশে ফেরার জন্য আরো সময় নিতে পারেন তিনি। সেটা তিনি করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহম্মদ মুজাহিদের মামলার রিভিউর আবেদনের বিষয়ে আদালত কি সিদ্ধান্ত নেন সেটা দেখার জন্য। আদালত রায় বহাল রাখলে খালেদা জিয়ার ফেরা বিলম্ব হতে পারে। আর ভিন্ন কিছু হলে তিনি দ্রুত দেশে ফিরতে পারেন। তবে আদালতের রায়ে যদি আপিল বিভাগের রায় বহাল থাকে তাহলে সরকার রায় কার্যকর করতে সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এ সময়ে তিনি দেশে থাকতে চাচ্ছেন না। সরকার তরফে বলা হচ্ছে, খালেদা জিয়া লন্ডনে বসে দেশের পরিস্থিতি খারাপ করার জন্য কাজ করছেন। এ জন্য তিনি ও তার পুত্র বিভিন্ন দিকে যোগাযোগ রক্ষা করছেন। দুই নেতার ব্যাপারে সরকার যাতে নানাভাবে চাপে পড়ে, বিচার প্রক্রিয়াটিও যাতে ব্যাহত হয় সেই চেষ্টা করছেন। তবে সেটা তার পক্ষে সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বোদ্ধারা। সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা বলেন, বেগম খালেদা জিয়া সরকারের বিরুদ্ধে কাজ করতে গিয়ে দেশের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। তার মতো একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের কর্মকাণ্ড করা ঠিক হচ্ছে না। তিনি দেশের স্বার্থ চিন্তা করছেন না। যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে চাচ্ছেন তিনি। বিদেশে বসে সরকারের ইমেজ নষ্ট করে সংলাপে বসার জন্য চাপ তৈরি করতে চাচ্ছেন তিনি। চাপের কারণে সরকার তাদের দাবি মেনে নিয়ে নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে। কিন্তু সরকারের ওপর যত চাপই সৃষ্টি করা হোক না কেন সরকার কোনো চাপের কাছেই নতি স্বীকার করবে না। বৈদেশিক কোনো চাপও আমলে নেবে না সরকার। সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার বারবার দেশে ফেরার তারিখ পরিবর্তনে একটা উদ্দেশ্য রয়েছে। উদ্দেশ্য নিয়েই লন্ডন থেকে নিউইয়র্কে যেতে চাচ্ছেন তিনি। তার নিউইয়র্ক সফরটি ভিন্ন কারণে হতে পারে। তবে বিএনপির তরফে বলা হচ্ছে, সরকারের কাছে বিভিন্ন তথ্য থাকলেও বিএনপি চেয়ারপারসন পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত দেশে ফিরছেন না। তার চোখের সমস্যাটি মোটামুটি সমাধান হলেও পায়ের হাঁটুর সমস্যার সমাধান হয়নি। হাঁটুর সমস্যার সমাধান করতে হলে নিউইয়র্কে যেতে হবে। সেই রকম চিন্তা ভাবনাও চলছে বলে সূত্রের খবর। বিএনপির অনেক নেতাই বলছেন, দলের চেয়ারপারসন যুক্তরাষ্ট্রে যেতেও পারেন। সরকার বেগম জিয়াকে নিয়ে যে ধরনের মন্তব্য করছে তা আদৌ ঠিক না। তিনি দেশের বিরুদ্ধে কাজ করছেন এটা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা ছাড়া আর কিছু নয়। দেশের স্বার্থের বাইরে তিনি কোনো কাজ করেননি।