ঢাকা ০৬:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চেষ্টায় আছেন খালেদা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৩০:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৫
  • ৩৯৩ বার

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের জন্য চেষ্টায় আছেন লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি লন্ডনে জোর লবিং করছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনদিনের সফরে লন্ডনে পৌঁছেছেন মোদি। সফরকালে বেগম খালেদা জিয়া তার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করবেন বলে জানা গেছে। বিজেপির লন্ডন শাখাও বিএনপির পক্ষে চেষ্টা-তদবির করছে বলে জানা গেছে। বিএনপি হাইকমান্ড মনে করছে, মোদির আশীর্বাদ ছাড়া তাদের বিকল্প নেই। আন্দোলনে সরকারকে টলানো যাবে না- এটা ধরে নিয়েই বিএনপির ‘থিঙ্কট্যাঙ্ক’ সদস্যরা খালেদা জিয়াকে বুঝিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো ভারতের সিগন্যাল ছাড়া হাসিনা সরকারের বিষয়ে নাক গলাবে বলে মনে হয় না। বিএনপি হাইকমান্ড চাচ্ছে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি নির্বাচন আদায়ের জন্য এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন ভারতীয় চাপ। সে জন্য মোদির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি প্রাধান্য দিচ্ছেন তারা। লন্ডনে বেগম জিয়ার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া লন্ডন পৌঁছানোর আগেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার দল বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন দলের লবিষ্টরা। লবিষ্টরা বেগম জিয়া-মোদি বৈঠকের জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করেছেন। বিএনপির লবিষ্টরা বিজেপিকে বুঝাচ্ছেন যে, কংগ্রেস আওয়ামী লীগবান্ধব আর বিএনপি বিজেপিবান্ধব। তাই বিএনপি ক্ষমতায় আসলে সেটা বিজেপির জন্য সুবিধাজনক। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, লবিষ্টরা কতটুকু দৌড়াতে পারছেন? বেগম জিয়াকে মোদির সঙ্গে বৈঠকে আদৌ বসাতে পারবেন কিনা এ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির গভীর সম্পর্ক রয়েছে। মাঝেমধ্যেই দুজনের ফোনালাপ হয়। আওয়ামী লীগও তদবিরে পিছিয়ে নেই, খালেদা-মোদি বৈঠক যাতে না হয়। বাংলাদেশে সফরকালে মোদি খালেদাকে সময় দিতে না চাইলেও জোর লবিংয়ে শেষমেষ বৈঠক হয় তাদের মধ্যে। অবশ্য নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর আনন্দিত ছিল বিএনপি। দলটি আশাবাদী ছিল যে, একটি অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিজেপি সরকার আওয়ামী লীগের ওপর চাপ প্রয়োগ করবে। কিন্তু মোদি সরকার বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কংগ্রেসের রেখে যাওয়া উষ্ণ সম্পর্কে ফাটল ধরায়নি। বরং সম্পর্ক আরো দৃঢ় হওয়ায় কিছুটা হতাশা নেমেছে বিএনপিতে। তবে বেগম জিয়া আশা করছেন, লন্ডনে মোদির সঙ্গে বৈঠক হলে তিনি তার কাঙ্ক্ষিত স্বার্থ হাসিল করতে পারবেন। দ্রুততম সময়ে জাতীয় নির্বাচন দিতে ভারতের সহযোগিতা পাবেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘ সময় লন্ডনে অবস্থানের কারণ মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করা। এদিকে বেগম জিয়ার সঙ্গে মোদির বৈঠকের সম্ভাবনা নেই- এমন আশঙ্কা রাজনৈতিক বোদ্ধাদের। তবে চেষ্টা করছেন তিনি। এজন্য তিনি নাকি দলের গুরুত্বপূর্ণ এক সিনিয়র নেতা এবং সাবেক মন্ত্রীকে লন্ডনেই রেখেছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

চেষ্টায় আছেন খালেদা

আপডেট টাইম : ০৯:৩০:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৫

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের জন্য চেষ্টায় আছেন লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি লন্ডনে জোর লবিং করছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনদিনের সফরে লন্ডনে পৌঁছেছেন মোদি। সফরকালে বেগম খালেদা জিয়া তার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করবেন বলে জানা গেছে। বিজেপির লন্ডন শাখাও বিএনপির পক্ষে চেষ্টা-তদবির করছে বলে জানা গেছে। বিএনপি হাইকমান্ড মনে করছে, মোদির আশীর্বাদ ছাড়া তাদের বিকল্প নেই। আন্দোলনে সরকারকে টলানো যাবে না- এটা ধরে নিয়েই বিএনপির ‘থিঙ্কট্যাঙ্ক’ সদস্যরা খালেদা জিয়াকে বুঝিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো ভারতের সিগন্যাল ছাড়া হাসিনা সরকারের বিষয়ে নাক গলাবে বলে মনে হয় না। বিএনপি হাইকমান্ড চাচ্ছে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি নির্বাচন আদায়ের জন্য এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন ভারতীয় চাপ। সে জন্য মোদির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি প্রাধান্য দিচ্ছেন তারা। লন্ডনে বেগম জিয়ার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া লন্ডন পৌঁছানোর আগেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার দল বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন দলের লবিষ্টরা। লবিষ্টরা বেগম জিয়া-মোদি বৈঠকের জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করেছেন। বিএনপির লবিষ্টরা বিজেপিকে বুঝাচ্ছেন যে, কংগ্রেস আওয়ামী লীগবান্ধব আর বিএনপি বিজেপিবান্ধব। তাই বিএনপি ক্ষমতায় আসলে সেটা বিজেপির জন্য সুবিধাজনক। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, লবিষ্টরা কতটুকু দৌড়াতে পারছেন? বেগম জিয়াকে মোদির সঙ্গে বৈঠকে আদৌ বসাতে পারবেন কিনা এ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির গভীর সম্পর্ক রয়েছে। মাঝেমধ্যেই দুজনের ফোনালাপ হয়। আওয়ামী লীগও তদবিরে পিছিয়ে নেই, খালেদা-মোদি বৈঠক যাতে না হয়। বাংলাদেশে সফরকালে মোদি খালেদাকে সময় দিতে না চাইলেও জোর লবিংয়ে শেষমেষ বৈঠক হয় তাদের মধ্যে। অবশ্য নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর আনন্দিত ছিল বিএনপি। দলটি আশাবাদী ছিল যে, একটি অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিজেপি সরকার আওয়ামী লীগের ওপর চাপ প্রয়োগ করবে। কিন্তু মোদি সরকার বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কংগ্রেসের রেখে যাওয়া উষ্ণ সম্পর্কে ফাটল ধরায়নি। বরং সম্পর্ক আরো দৃঢ় হওয়ায় কিছুটা হতাশা নেমেছে বিএনপিতে। তবে বেগম জিয়া আশা করছেন, লন্ডনে মোদির সঙ্গে বৈঠক হলে তিনি তার কাঙ্ক্ষিত স্বার্থ হাসিল করতে পারবেন। দ্রুততম সময়ে জাতীয় নির্বাচন দিতে ভারতের সহযোগিতা পাবেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘ সময় লন্ডনে অবস্থানের কারণ মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করা। এদিকে বেগম জিয়ার সঙ্গে মোদির বৈঠকের সম্ভাবনা নেই- এমন আশঙ্কা রাজনৈতিক বোদ্ধাদের। তবে চেষ্টা করছেন তিনি। এজন্য তিনি নাকি দলের গুরুত্বপূর্ণ এক সিনিয়র নেতা এবং সাবেক মন্ত্রীকে লন্ডনেই রেখেছেন।