ঢাকা ০৪:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নূর হোসেনকে জুতা নিক্ষেপ, তবুও হাসি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩২:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৫
  • ২৫৫ বার

এক সময়ের দাপুটে নূর হোসেনকে জুতা নিক্ষেপ করেছে নিহতের স্বজনরা। তবুও তাকে হাসিমুখেই দেখা গেছে। অথচ হত্যাকাণ্ডের আগে তার ভয়ে তটস্থ লোকজন। শুক্রবার তাকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হলে জুতা নিক্ষেপ করে নিহতের স্বজনরা। গাড়িতে থাকায় নিক্ষেপ করা জুতা তার গায়ে গিয়ে পড়েনি। এরপরও নূর হোসেনকে হাসিমুখেই দেখা গেছে। এদিকে সাত খুনের প্রধান আসামি নূর হোসেনকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন আদালতের বিচারক। দুপুর আড়াইটায় নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সহিদুল ইসলামের আদালতে নূর হোসেনকে হাজির করা হয়। নূর হোসেনকে ১১টি মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। শুনানি শেষে বিচারক নূর হোসেনকে জেলহাজাতে প্রেরণের আদেশ দেন। পরে কঠোর প্রহরায় তাকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সে সময় নূর হোসেনের পরনে ছিল খাকি রঙয়ের প্যান্ট ও সাদা-কালো স্টাইপের গেঞ্জি। বাম হাতে ছিল নীল রঙয়ের একটি ঘড়ি। এদিকে নূর হোসেনকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি। নূর হোসেনকে নতুন করে জিজ্ঞাসাবাদ করে চার্জশিট দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি। তাহলে অনেক কিছুই পরিস্কার হয়ে যাবে বলে গণমাধ্যমকে তিনি জানান। গত বছরের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জে প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। তিনদিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে ছয়জন এবং পরদিন আরেকজনের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনার পরপরই ভারতে পালিয়ে যান নূর হোসেন। চলতি বছরের ৮ এপ্রিল সাত খুনের মামলায় র‌্যাব-১১-এর তৎকালীন অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক সাঈদ, মেজর আরিফ ও লে. কমান্ডার এমএম রানা, নূর হোসেনসহ ৩৫ জনকে আসামি করে চার্জশিট দেয় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ। চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে নূর হোসেনসহ ১৩ জনকে পলাতক দেখানো হয়। ২০১৪ সালের ১৪ জুন কলকাতা বিমানবন্দর সংলগ্ন কৈখালী এলাকার একটি বাসা থেকে নূর হোসেনসহ তার দুই সহযোগী সেলিম, সুমনকে গ্রেফতার করে দেশটির পুলিশ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

নূর হোসেনকে জুতা নিক্ষেপ, তবুও হাসি

আপডেট টাইম : ০৫:৩২:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৫

এক সময়ের দাপুটে নূর হোসেনকে জুতা নিক্ষেপ করেছে নিহতের স্বজনরা। তবুও তাকে হাসিমুখেই দেখা গেছে। অথচ হত্যাকাণ্ডের আগে তার ভয়ে তটস্থ লোকজন। শুক্রবার তাকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হলে জুতা নিক্ষেপ করে নিহতের স্বজনরা। গাড়িতে থাকায় নিক্ষেপ করা জুতা তার গায়ে গিয়ে পড়েনি। এরপরও নূর হোসেনকে হাসিমুখেই দেখা গেছে। এদিকে সাত খুনের প্রধান আসামি নূর হোসেনকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন আদালতের বিচারক। দুপুর আড়াইটায় নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সহিদুল ইসলামের আদালতে নূর হোসেনকে হাজির করা হয়। নূর হোসেনকে ১১টি মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। শুনানি শেষে বিচারক নূর হোসেনকে জেলহাজাতে প্রেরণের আদেশ দেন। পরে কঠোর প্রহরায় তাকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সে সময় নূর হোসেনের পরনে ছিল খাকি রঙয়ের প্যান্ট ও সাদা-কালো স্টাইপের গেঞ্জি। বাম হাতে ছিল নীল রঙয়ের একটি ঘড়ি। এদিকে নূর হোসেনকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি। নূর হোসেনকে নতুন করে জিজ্ঞাসাবাদ করে চার্জশিট দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি। তাহলে অনেক কিছুই পরিস্কার হয়ে যাবে বলে গণমাধ্যমকে তিনি জানান। গত বছরের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জে প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। তিনদিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে ছয়জন এবং পরদিন আরেকজনের লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনার পরপরই ভারতে পালিয়ে যান নূর হোসেন। চলতি বছরের ৮ এপ্রিল সাত খুনের মামলায় র‌্যাব-১১-এর তৎকালীন অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক সাঈদ, মেজর আরিফ ও লে. কমান্ডার এমএম রানা, নূর হোসেনসহ ৩৫ জনকে আসামি করে চার্জশিট দেয় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ। চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে নূর হোসেনসহ ১৩ জনকে পলাতক দেখানো হয়। ২০১৪ সালের ১৪ জুন কলকাতা বিমানবন্দর সংলগ্ন কৈখালী এলাকার একটি বাসা থেকে নূর হোসেনসহ তার দুই সহযোগী সেলিম, সুমনকে গ্রেফতার করে দেশটির পুলিশ।