ঢাকা ০৫:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউনিয়নের সংযোগ সড়কবিহীন কমিউনিটি ক্লিনিক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৩২:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৯
  • ২৪০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ইউনিয়নের বেতুয়ান গ্রামে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয় প্রায় সাত বছর আগে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এখান থেকে প্রায় ১০ কি.মি দূরে হওয়ায় সাধারণ অসুখবিসুখে স্থানীয় জনগণ এখানে চিকিৎসা গ্রহণ করে। গ্রামের আট হাজার জনগণের ভরসা এই কমিউনিটি ক্লিনিক। মাত্র ১০০ গজ সংযোগ সড়কের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে ভাঙ্গুড়া উপজেলা প্রশাসন বেতুয়ান গ্রামে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু গ্রামের সড়কের পাশে জায়গা না পাওয়ায় সড়ক থেকে ১০০ গজ দূরে এক ব্যক্তির দান করা জমিতে নির্মাণ করা হয় এই ক্লিনিক। সড়ক না থাকায় জমির আইল ব্যবহার করে স্থানীয় জনগণ ক্লিনিকের সেবা গ্রহণ করে আসছে। নির্মাণের পরে ক্লিনিকের পাশের এই ১০০ গজ জমির মালিক সাবেক ইউপি সদস্য আরজু, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী ইদ্রিস আলী, রহমত আলী ও শাজাহান খান তাদের জমির ওপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণে বাধা দেন।

ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে ক্লিনিকের সেবাদান কর্মসূচি। ক্লিনিকের কার্যক্রম শুরু হওয়ার চার বছর পর এলাকাবাসী সংযোগ সড়কের দাবিতে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত আবেদন দেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন সরজমিনে দেখেও রাস্তা নির্মাণে ব্যর্থ হয়।
বেতুয়ান গ্রামের বাসিন্দা ও পাবনা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক জাকারিয়া মানিক বলেন, ‘মাত্র ১০০ গজ রাস্তার অভাবে গ্রামের অসুস্থ মানুষদের ক্লিনিকে পৌঁছতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে ইউএনওর কাছে একাধিকবার আবেদন করেও কাজ হয়নি। এতে সেবাবঞ্চিত হচ্ছে গ্রামের হতদরিদ্র মানুষ।’
বেতুয়ান গ্রামের ইউপি সদস্য আক্কাছ আলী বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একাধিকবার ক্লিনিকে যাতায়াতের জন্য রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ ক্লিনিকের পাশের জমির মালিকদের বাধায় সেটা ভেস্তে গেছে।’ জমির মালিকদের মধ্যে অন্যতম ইদ্রিস আলী বলেন, ‘ক্লিনিকে যাতায়াতে রাস্তা নির্মাণের জন্য আমি এক চুল পরিমাণ জায়গাও ছেড়ে দেবো না। এতে ক্লিনিক বন্ধ হয়ে গেলে যাবে।’
এ বিষয়ে উপজেলার সব কমিউনিটি ক্লিনিকের সমন্বয়কারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক আবদুল আজিজ বলেন, ‘রাস্তা না থাকায় রোগীরা ওই কমিউনিটি ক্লিনিকে যেতে পারে না।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ইউনিয়নের সংযোগ সড়কবিহীন কমিউনিটি ক্লিনিক

আপডেট টাইম : ০৮:৩২:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ইউনিয়নের বেতুয়ান গ্রামে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয় প্রায় সাত বছর আগে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এখান থেকে প্রায় ১০ কি.মি দূরে হওয়ায় সাধারণ অসুখবিসুখে স্থানীয় জনগণ এখানে চিকিৎসা গ্রহণ করে। গ্রামের আট হাজার জনগণের ভরসা এই কমিউনিটি ক্লিনিক। মাত্র ১০০ গজ সংযোগ সড়কের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে ভাঙ্গুড়া উপজেলা প্রশাসন বেতুয়ান গ্রামে একটি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু গ্রামের সড়কের পাশে জায়গা না পাওয়ায় সড়ক থেকে ১০০ গজ দূরে এক ব্যক্তির দান করা জমিতে নির্মাণ করা হয় এই ক্লিনিক। সড়ক না থাকায় জমির আইল ব্যবহার করে স্থানীয় জনগণ ক্লিনিকের সেবা গ্রহণ করে আসছে। নির্মাণের পরে ক্লিনিকের পাশের এই ১০০ গজ জমির মালিক সাবেক ইউপি সদস্য আরজু, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী ইদ্রিস আলী, রহমত আলী ও শাজাহান খান তাদের জমির ওপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণে বাধা দেন।

ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে ক্লিনিকের সেবাদান কর্মসূচি। ক্লিনিকের কার্যক্রম শুরু হওয়ার চার বছর পর এলাকাবাসী সংযোগ সড়কের দাবিতে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত আবেদন দেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন সরজমিনে দেখেও রাস্তা নির্মাণে ব্যর্থ হয়।
বেতুয়ান গ্রামের বাসিন্দা ও পাবনা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক জাকারিয়া মানিক বলেন, ‘মাত্র ১০০ গজ রাস্তার অভাবে গ্রামের অসুস্থ মানুষদের ক্লিনিকে পৌঁছতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে ইউএনওর কাছে একাধিকবার আবেদন করেও কাজ হয়নি। এতে সেবাবঞ্চিত হচ্ছে গ্রামের হতদরিদ্র মানুষ।’
বেতুয়ান গ্রামের ইউপি সদস্য আক্কাছ আলী বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একাধিকবার ক্লিনিকে যাতায়াতের জন্য রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ ক্লিনিকের পাশের জমির মালিকদের বাধায় সেটা ভেস্তে গেছে।’ জমির মালিকদের মধ্যে অন্যতম ইদ্রিস আলী বলেন, ‘ক্লিনিকে যাতায়াতে রাস্তা নির্মাণের জন্য আমি এক চুল পরিমাণ জায়গাও ছেড়ে দেবো না। এতে ক্লিনিক বন্ধ হয়ে গেলে যাবে।’
এ বিষয়ে উপজেলার সব কমিউনিটি ক্লিনিকের সমন্বয়কারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক আবদুল আজিজ বলেন, ‘রাস্তা না থাকায় রোগীরা ওই কমিউনিটি ক্লিনিকে যেতে পারে না।’