ঢাকা ১২:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত বাঙালির নোবেল জয়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪২:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০১৯
  • ২৩০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ উন্নয়ন অর্থনীতির মধ্য দিয়ে দারিদ্র্য বিমোচনে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ এবার তিনজন অর্থনীতিবিদকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত বাঙালি। নাম তার অভিজিৎ ব্যানার্জি। পুরস্কারপ্রাপ্ত বাকি দুই অর্থনীতিবিদ হলেন অভিজিতের স্ত্রী ফরাসি নাগরিক অ্যাস্থার ডাফলো এবং মার্কিন নাগরিক মাইকেল ক্রেমার। সম্মানী হিসেবে তাদের ১১ লাখ মার্কিন ডলারও দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ সময় সোমবার (১৪) বিকেল সাড়ে ৩টায় রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস এ পুরস্কার ঘোষণা করে।

বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১৯০১ সাল থেকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। তবে অর্থনীতিতে নোবেল দেওয়া শুরু হয় ১৯৬৯ সালে। এবার ৫১তম বারের মতো এই পুরস্কার ঘোষণা করা হলো। সোমবার (১৪ অক্টোবর) অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হলো। যার মাধ্যমে শেষ হলো এ বছরের নোবেল পুরস্কার বিতরণ। উল্লেখ্য, চতুর্থ বাঙালি হিসেবে নোবেল পুরস্কার অর্জন করলেন অভিজিৎ। নোবেল পাওয়া বাঙালি অর্থনীতিবিদ হিসেবে অভিজিতের অবস্থান দ্বিতীয়। এর আগে অমর্ত্য সেন একই বিষয়ে এই বিরল সম্মাননা অর্জন করেন।

অভিজিৎ ব্যানার্জি ১৯৬১ সালে ভারতের মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা দীপক ব্যানার্জি ছিলেন কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ও অধ্যাপক এবং তার মা নির্মলা ব্যানার্জিও ছিলেন সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সেস, কলকাতা’র অর্থনীতি বিভাগের একজন অধ্যাপক। তিনি সাউথ পয়েন্ট স্কুল এবং কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে লেখাপড়া করেন। যেখান থেকে ১৯৮১ সালে অর্থনীতিতে বিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি ১৯৮৩ সালে দিল্লির জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএ ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।

১৯৮৮ সালে তিনি অর্থনীতিতে পিএইচডি করার জন্য হার্ভার্ডে ভর্তি হন। অর্থনীতিতে পিএইচডি নিতে তার থিসিসের বিষয় ছিল “এসেস ইন ইনফরমেশন ইকোনমিকস”।

অভিজিতের স্ত্রী অ্যাস্থার বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ অর্থনীতির নোবেল প্রাপক। এছাড়া বিশ্বের দ্বিতীয় নারী হিসেবে অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন তিনি। এর আগে কেবল একজন নারীই পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি হলেন এলিনর অসট্রম। ২০০৯ সালে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, ১৮৯৫ সালের নভেম্বর মাসে আলফ্রেড নোবেল তার মোট উপার্জনের ৯৪% (৩ কোটি সুইডিশ ক্রোনার) দিয়ে উইলের মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করেন। এই বিপুল অর্থ দিয়েই শুরু হয় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান। পরে তালিকায় যুক্ত হয় অর্থনীতি। পুরস্কার ঘোষণার আগেই মৃত্যুবরণ করেছিলেন আলফ্রেড নোবেল। আইনসভার অনুমোদন শেষে তার উইল অনুযায়ী নোবেল ফাউন্ডেশন গঠিত হয়। তাদের ওপর দায়িত্ব বর্তায় আলফ্রেড নোবেলের রেখে যাওয়া অর্থের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন এবং নোবেল পুরস্কারের সার্বিক ব্যবস্থাপনা করার। আর বিজয়ী নির্বাচনের দায়িত্ব সুইডিশ একাডেমি আর নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটিকে ভাগ করে দেওয়া হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত বাঙালির নোবেল জয়

আপডেট টাইম : ১০:৪২:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ উন্নয়ন অর্থনীতির মধ্য দিয়ে দারিদ্র্য বিমোচনে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ এবার তিনজন অর্থনীতিবিদকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত বাঙালি। নাম তার অভিজিৎ ব্যানার্জি। পুরস্কারপ্রাপ্ত বাকি দুই অর্থনীতিবিদ হলেন অভিজিতের স্ত্রী ফরাসি নাগরিক অ্যাস্থার ডাফলো এবং মার্কিন নাগরিক মাইকেল ক্রেমার। সম্মানী হিসেবে তাদের ১১ লাখ মার্কিন ডলারও দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ সময় সোমবার (১৪) বিকেল সাড়ে ৩টায় রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস এ পুরস্কার ঘোষণা করে।

বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১৯০১ সাল থেকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। তবে অর্থনীতিতে নোবেল দেওয়া শুরু হয় ১৯৬৯ সালে। এবার ৫১তম বারের মতো এই পুরস্কার ঘোষণা করা হলো। সোমবার (১৪ অক্টোবর) অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হলো। যার মাধ্যমে শেষ হলো এ বছরের নোবেল পুরস্কার বিতরণ। উল্লেখ্য, চতুর্থ বাঙালি হিসেবে নোবেল পুরস্কার অর্জন করলেন অভিজিৎ। নোবেল পাওয়া বাঙালি অর্থনীতিবিদ হিসেবে অভিজিতের অবস্থান দ্বিতীয়। এর আগে অমর্ত্য সেন একই বিষয়ে এই বিরল সম্মাননা অর্জন করেন।

অভিজিৎ ব্যানার্জি ১৯৬১ সালে ভারতের মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা দীপক ব্যানার্জি ছিলেন কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ও অধ্যাপক এবং তার মা নির্মলা ব্যানার্জিও ছিলেন সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সেস, কলকাতা’র অর্থনীতি বিভাগের একজন অধ্যাপক। তিনি সাউথ পয়েন্ট স্কুল এবং কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে লেখাপড়া করেন। যেখান থেকে ১৯৮১ সালে অর্থনীতিতে বিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি ১৯৮৩ সালে দিল্লির জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএ ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।

১৯৮৮ সালে তিনি অর্থনীতিতে পিএইচডি করার জন্য হার্ভার্ডে ভর্তি হন। অর্থনীতিতে পিএইচডি নিতে তার থিসিসের বিষয় ছিল “এসেস ইন ইনফরমেশন ইকোনমিকস”।

অভিজিতের স্ত্রী অ্যাস্থার বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ অর্থনীতির নোবেল প্রাপক। এছাড়া বিশ্বের দ্বিতীয় নারী হিসেবে অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন তিনি। এর আগে কেবল একজন নারীই পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি হলেন এলিনর অসট্রম। ২০০৯ সালে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, ১৮৯৫ সালের নভেম্বর মাসে আলফ্রেড নোবেল তার মোট উপার্জনের ৯৪% (৩ কোটি সুইডিশ ক্রোনার) দিয়ে উইলের মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করেন। এই বিপুল অর্থ দিয়েই শুরু হয় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান। পরে তালিকায় যুক্ত হয় অর্থনীতি। পুরস্কার ঘোষণার আগেই মৃত্যুবরণ করেছিলেন আলফ্রেড নোবেল। আইনসভার অনুমোদন শেষে তার উইল অনুযায়ী নোবেল ফাউন্ডেশন গঠিত হয়। তাদের ওপর দায়িত্ব বর্তায় আলফ্রেড নোবেলের রেখে যাওয়া অর্থের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন এবং নোবেল পুরস্কারের সার্বিক ব্যবস্থাপনা করার। আর বিজয়ী নির্বাচনের দায়িত্ব সুইডিশ একাডেমি আর নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটিকে ভাগ করে দেওয়া হয়।