যেসব কুদরতি কারণে জমজমের পানি পৃথিবীর বিশুদ্ধতম

জমজম মসজিদে হারামের কাছে অবস্থিত একটি প্রসিদ্ধ কূপ। পবিত্র কাবা ও এই কূপের মধ্যে দূরত্ব শুধু ৩৮ গজের। জমজম নবী ইব্রাহিম (আ.)-এর ছেলে নবী ইসমাঈল (আ.)-এর স্মৃতিবিজড়িত একটি কূপ।
রোগ মুক্তি বা ধর্মীয় কাজের জন্য মুসলমানদের অনেকেই জমজম কূপের পানি পান করেন। হজে যাওয়া লাখ লাখ হাজি এ পানি নিজেরা পান করার পাশাপাশি বোতলে করে নিজ দেশে নিয়ে যান।

জাপানি বিজ্ঞানী মাসারু ইমোতো ন্যানো প্রযুক্তি ব্যবহার করে জমজমের পানির ওপর গবেষণা করেছেন। জমজমের পানি যে পৃথিবীর বিশুদ্ধতম পানি- তার গবেষণায় এর সাতটি কারণ উঠে এসেছে।

এক. এক ফোঁটা জমজমের পানিতে যে পরিমাণ আকরিক পদার্থ থাকে তা পৃথিবীর অন্য কোনো পানিতে নেই।

দুই. কখনোই জমজমের পানির গুণগত মান পরিবর্তিত হয় না।

তিন. সাধারণ কূপের পানিতে জলজ উদ্ভিদ জন্মালেও জমজম কূপের পানিতে কোন জলজ উদ্ভিদ বা অন্যান্য উদ্ভিদজাত অণুজীব জন্মায় না।

চার. জমজমের পানিতে যেসব আকরিক পদার্থ রয়েছে এর মধ্যে ক্যালসিয়াম, ফ্লোরাইড, সোডিয়াম, ক্লোরাইড, সালফেট, নাইট্রেট, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম উল্লেখযোগ্য। ফ্লোরাইড ছাড়া বাকি মিনারেলগুলোর মাত্রা অন্যসব স্বাভাবিক খাবার পানিতে পাওয়া মাত্রা থেকে বেশি ছিল।

পাঁচ. এই পানিতে এন্টিমনি, বেরিলিয়াম, ব্রোমাইন, কোবাল্ট, বিস্মুথ, আয়োডিন আর মলিবডেনামের মতো পদার্থগুলোর মাত্রা ছিল ০.০১ ppm থেকেও কম। ক্রোমিয়াম, ম্যাংগানিজ আর টাইটানিয়াম এর মাত্রা ছিল একেবারেই নগণ্য।

ছয়. জাপানি বিজ্ঞানীর পরীক্ষা অনুযায়ী জমজমের পানির pH হচ্ছে ৭ দশমিক ৮। যেটি সামান্য ক্ষারজাতীয়। এই পরীক্ষায় আর্সেনিক, ক্যাডমিয়াম, সীসা এবং সেলেনিয়ামের মতো ক্ষতিকর পদার্থগুলো ঝুঁকিমুক্ত মাত্রায় পাওয়া গেছে। যে মাত্রাগুলোতে মানুষের কোন ক্ষতি হয় না।

সাত. ওই গবেষণায় জমজমের পানির দুইটি স্ফটিক সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর