হাওর বার্তাঃ কর্মজীবন শেষে দেশে ফিরে আসা প্রবাসীদের জন্য ‘পেনশন স্কিম’ চালুর দাবি জানিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাবুধবার স্থানীয় সময় রাতে আবুধাবিতে জনতা ব্যাংক শাখার প্রধান নির্বাহীর কার্যালয়ে ব্যাংকের গ্রাহক ও সুধি সমাবেশে এ দাবি জানান তারা।এতে অতিথি ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আসাদুল ইসলাম।তার কাছে জানানো প্রবাসীদের দাবিগুলো হলো- ২০ বছর বা তার বেশি সময় প্রবাসে থাকার পর নিঃস্ব কর্মক্ষমতাহীন হয়ে দেশে ফিরে যাওয়া বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠানো প্রবাসীকে পেনশন স্কিমের আওতায় আনা, ২০ হাজার টাকা বা তার নিচে রেমিটেন্স পাঠানো প্রান্তিক শ্রমজীবিদের জন্য রেমিটেন্স ফি মওকুফ, বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠানো প্রবাসীদের জন্য কাস্টম রেয়াত, ওয়েজ আর্নার বন্ড এস ও ডি’র বিপরীতে পুনরায় লোন সুবিধা চালু এবং ব্যাংক-কর্মচারীদের আরও গ্রাহকবান্ধব হওয়া।
প্রবাসীদের দাবি শুনে সচিব বলেন, “প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের ওপর সরকার ঘোষিত ২% প্রণোদনা চলতি বছরের পহেলা জুলাই থেকে কার্যকর বলে গণ্য হবে। এ খাতের জন্য ২০১৯-২০ বাজেটে তিন হাজার কোটি টাকার প্রবিশন রাখা হয়েছে। অক্টোবর-নভেম্বর থেকে গ্রাহক পর্যায়ে তা দেওয়া শুরু হলে বেনিফিশিয়ারি বা ভোক্তার অ্যাকাউন্টে জুলাই থেকে পাঠানো টাকার বিপরীতে ইন্সেন্টিভ এরিয়ার হিসেবে জমা হবে।”
সভায় জনতা ব্যাংক আবুধাবি শাখার প্রধান নির্বাহী ও মহাব্যবস্থাপক আমিরুল হাসান আমিরাতের বিভিন্ন স্থানে বসানো সাতটি এটিএম, কল সেন্টার, ব্যাংকিং সফটওয়্যার ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবার কথা তুলে ধরেন।
আলোচনায় আরও অংশ নেন জনতা ব্যাংকের আবুধাবি শাখা ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আবদুল হাই, আশীষ বড়ুয়া, মইন উদ্দীন, ফখরুল ইসলাম খান, মোহাম্মদ জোবায়ের, মাহবুব খোন্দকার ও আরিফুর রহমান খান।