ঢাকা ০৭:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মালয়েশিয়া বিএনপির উদ্যোগে ৭ই নভেম্বর পালিত

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১৯:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ নভেম্বর ২০১৫
  • ৩১৩ বার

৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মালয়েশিয়া শাখার একাংশ। এতে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে শনিবার সন্ধ্যায় কুয়ালালামপুরে এক রেস্টুরেন্টে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মাসুদ রানার পরিচালনায় ও বিএনপির প্রস্তাবিত সভাপতি মো. শহীদুল্লাহ শহীদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়া বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদ, কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন। আলমগীর হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, মিথ্যার প্রাসাদ গড়ে সত্যকে ঢাকা যায় না। চাপাবাজি করে, গলাবাজি করে ইতিহাস বদলানো যায় না। স্বৈরাচারী কায়দায় ইতিহাস কখনো পিষ্ট হয় না। হিটলার, ফেরাঊন, নমরুদ, মুসেলীনীও পারেননি সত্যি ইতিহাসকে ঢাকতে। সত্য সত্যই। তিনি বলেন, ইতিহাস কারো গোলামী করে না। ইতিহাস কাল থেকে মহাকালে তার আপন গতিতে চলে। কোন পরাধীনতা ইতিহাসকে গ্রাস করতে পারে না। ইতিহাস কারো রক্তচক্ষুকে পরোয়া করে না। যুগে যুগে স্বৈরাচাররা সর্বশক্তি দিয়ে ইতিহাসকে বিকৃত করতে চাইলেও ইতিহাস কখনোই বদলানো যায়নি। আলমগীর হোসেন বলেন, বাংলাদেশেও ইতিহাসকে বিকৃত করার সেই অপচেষ্টা চলছে। সত্য তথ্য আমাদের জানাতেই হবে। এটাও আমাদের মৌলিক মানবাধিকার! বাংলাদেশের ইতিহাসে শেখ মুজিবুর রহমান দক্ষ আন্দোলনের উদ্বুদ্ধকারী, মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণাদানকারী সর্বোচ্চ নেতা। তিনি শ্রদ্ধা পেতেই পারেন। কিন্তু রাস্ট্র পরিচালনায় তিনি পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ। তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কখনোই তোষামোদ, অন্যায় আবদার, প্রশাসনে দুর্নীতি সহ্য করতেন না। চেইন অব কমান্ড নিজে পুরোপুরি মেনে চলতেন। অপরকেও চলতে বলতেন। তিনি ছিলেন সৎ রাজনীতিক, সফল সমরনায়ক, বিচক্ষণ দেশনায়ক। সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে শহীদুল্লাহ বলেন, ৭ ই নভেম্বরের সিপাহী জনতা বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়েছে। এ সময় শহীদ জিয়াউর রহমানকে একজন দেশপ্রেমিক শান্তির দূত আখ্যা দিয়ে তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন তিনি। সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদ, জোসেবুল আলম বিল্পব, নেছার আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কাজী সালাউদ্দিন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক এস,কে ফয়েজ, কোকো স্মৃতি সংসদের সভাপতি মাজু দেলোয়ার, খলিল মাদবর, জাতীয়তাবাদী তরুণ প্রজন্ম দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানা মিল্কি ও সুবাং বিএনপি সভাপতি ইমন হাসান। এসময় উপস্হিত ছিলেন বিএনপি নেতা মো. মিন্টু, আবদুল মন্নান, সবুজ শিকদার, শওকত সরদার, মহসিন, নাছির ঢালী, রিয়াজ, মিজানুর, সোহেল রানা, ইসমাইল খান, জাকির, তরুণ প্রজন্ম দলের বুলবুল, ছোটন ভুঁইয়া, শাহীন হাওলাদারসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

মালয়েশিয়া বিএনপির উদ্যোগে ৭ই নভেম্বর পালিত

আপডেট টাইম : ১১:১৯:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ নভেম্বর ২০১৫

৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মালয়েশিয়া শাখার একাংশ। এতে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে শনিবার সন্ধ্যায় কুয়ালালামপুরে এক রেস্টুরেন্টে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মাসুদ রানার পরিচালনায় ও বিএনপির প্রস্তাবিত সভাপতি মো. শহীদুল্লাহ শহীদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়া বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদ, কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন। আলমগীর হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, মিথ্যার প্রাসাদ গড়ে সত্যকে ঢাকা যায় না। চাপাবাজি করে, গলাবাজি করে ইতিহাস বদলানো যায় না। স্বৈরাচারী কায়দায় ইতিহাস কখনো পিষ্ট হয় না। হিটলার, ফেরাঊন, নমরুদ, মুসেলীনীও পারেননি সত্যি ইতিহাসকে ঢাকতে। সত্য সত্যই। তিনি বলেন, ইতিহাস কারো গোলামী করে না। ইতিহাস কাল থেকে মহাকালে তার আপন গতিতে চলে। কোন পরাধীনতা ইতিহাসকে গ্রাস করতে পারে না। ইতিহাস কারো রক্তচক্ষুকে পরোয়া করে না। যুগে যুগে স্বৈরাচাররা সর্বশক্তি দিয়ে ইতিহাসকে বিকৃত করতে চাইলেও ইতিহাস কখনোই বদলানো যায়নি। আলমগীর হোসেন বলেন, বাংলাদেশেও ইতিহাসকে বিকৃত করার সেই অপচেষ্টা চলছে। সত্য তথ্য আমাদের জানাতেই হবে। এটাও আমাদের মৌলিক মানবাধিকার! বাংলাদেশের ইতিহাসে শেখ মুজিবুর রহমান দক্ষ আন্দোলনের উদ্বুদ্ধকারী, মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণাদানকারী সর্বোচ্চ নেতা। তিনি শ্রদ্ধা পেতেই পারেন। কিন্তু রাস্ট্র পরিচালনায় তিনি পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ। তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কখনোই তোষামোদ, অন্যায় আবদার, প্রশাসনে দুর্নীতি সহ্য করতেন না। চেইন অব কমান্ড নিজে পুরোপুরি মেনে চলতেন। অপরকেও চলতে বলতেন। তিনি ছিলেন সৎ রাজনীতিক, সফল সমরনায়ক, বিচক্ষণ দেশনায়ক। সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে শহীদুল্লাহ বলেন, ৭ ই নভেম্বরের সিপাহী জনতা বিপ্লবের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়েছে। এ সময় শহীদ জিয়াউর রহমানকে একজন দেশপ্রেমিক শান্তির দূত আখ্যা দিয়ে তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন তিনি। সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদ, জোসেবুল আলম বিল্পব, নেছার আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কাজী সালাউদ্দিন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক এস,কে ফয়েজ, কোকো স্মৃতি সংসদের সভাপতি মাজু দেলোয়ার, খলিল মাদবর, জাতীয়তাবাদী তরুণ প্রজন্ম দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানা মিল্কি ও সুবাং বিএনপি সভাপতি ইমন হাসান। এসময় উপস্হিত ছিলেন বিএনপি নেতা মো. মিন্টু, আবদুল মন্নান, সবুজ শিকদার, শওকত সরদার, মহসিন, নাছির ঢালী, রিয়াজ, মিজানুর, সোহেল রানা, ইসমাইল খান, জাকির, তরুণ প্রজন্ম দলের বুলবুল, ছোটন ভুঁইয়া, শাহীন হাওলাদারসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।