ঢাকা ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে তীব্র বিতর্ক: ১২তম দিনে গড়ালো কপ২৯ সম্মেলন ঢাকাবাসীকে যেকোনো উপায়ে নিরাপদ রাখতে হবে : ডিএমপি কমিশনার বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস ৫ আগস্টের পর ভুয়া মামলা তদন্তসাপেক্ষে প্রত্যাহার হবে, জানালেন নতুন আইজিপি আলেম সমাজের সাথে ঐতিহাসিক সুসম্পর্ক রয়েছে বিএনপির: ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক নাছির জুয়ার অ্যাপের প্রচারে নাম লেখালেন বুবলীও জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত’- তোফায়েল আহমেদ আমরা যা করতে চাই, জনগণকে সাথে নিয়ে করতে চাই : তারেক রহমান বহু নেতার শাসন আমরা দেখেছি, পরিবর্তন দেখিনি : ফয়জুল করীম গ্যাসের জন্য আ.লীগ আমলে ২০ কোটি টাকা ঘুস দিয়েছি : বাণিজ্য উপদেষ্টা

নারায়ণগঞ্জ-জয়দেবপুর রুটে আসছে ইলেকট্রিক ট্রেন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৫১:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ২৬৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রেলওয়েকে জনগণের কাছে নির্ভরযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ রেলওয়ের নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা-জয়দেবপুর রুটে ইলেকট্রিক ট্রেন (রেল) চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।

সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা বলেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এসংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফ।

মন্ত্রী বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম সেকশনে ইলেকট্রিক ট্র্যাকশন (ওভারহেড ক্যাটিনারী ও সাব-স্টেশন) প্রবর্তনের লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ৮ ডিসেম্বর একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রস্তাব রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। পিইসি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৮১২ কোটি ৪০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে সমীক্ষা প্রস্তাব পুনর্গঠন করে ২০১৬ সালের ৩০ মার্চ পুনরায় পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করা হয়।

বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার প্রশ্নের জবাবে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, রেলওয়ে সবচেয়ে বড় গণপরিবহন। সরকারি সংস্থা হিসেবে বাণিজ্যিকভাবে পরিকল্পনা প্রণয়নের চেয়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য সেবা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনায় এনে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। সেজন্য ১৯৯২ সাল হতে ২০১২ সাল পর্যন্ত ২০ বছরে রেলওয়ের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়নি।

একই প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানান, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের রেলওয়ে ব্যয় ছিল ৩ হাজার ১১৫ কোটি, অন্যদিকে আয় ছিল এক হাজার ৬১৮ কোটি টাকা। আয়ের তুলনায় এক হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা ব্যয় বেশি হয়েছে। গত ২৬ বছরে মাত্র দুইবার রেলওয়ের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। এরফলে আয়-ব্যয়ের পার্থক্য পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।

মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার গঠনের পর ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৮ হাজার ৬১৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮১টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে এ পর্যন্ত ৭৭টি প্রকল্প সমাপ্ত হয়েছে। এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হওয়ায় রেলপথের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে তীব্র বিতর্ক: ১২তম দিনে গড়ালো কপ২৯ সম্মেলন

নারায়ণগঞ্জ-জয়দেবপুর রুটে আসছে ইলেকট্রিক ট্রেন

আপডেট টাইম : ১০:৫১:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রেলওয়েকে জনগণের কাছে নির্ভরযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ রেলওয়ের নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা-জয়দেবপুর রুটে ইলেকট্রিক ট্রেন (রেল) চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।

সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা বলেন রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এসংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফ।

মন্ত্রী বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম সেকশনে ইলেকট্রিক ট্র্যাকশন (ওভারহেড ক্যাটিনারী ও সাব-স্টেশন) প্রবর্তনের লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ৮ ডিসেম্বর একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রস্তাব রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। পিইসি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৮১২ কোটি ৪০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে সমীক্ষা প্রস্তাব পুনর্গঠন করে ২০১৬ সালের ৩০ মার্চ পুনরায় পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করা হয়।

বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানার প্রশ্নের জবাবে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, রেলওয়ে সবচেয়ে বড় গণপরিবহন। সরকারি সংস্থা হিসেবে বাণিজ্যিকভাবে পরিকল্পনা প্রণয়নের চেয়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য সেবা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনায় এনে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়ে থাকে। সেজন্য ১৯৯২ সাল হতে ২০১২ সাল পর্যন্ত ২০ বছরে রেলওয়ের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়নি।

একই প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানান, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের রেলওয়ে ব্যয় ছিল ৩ হাজার ১১৫ কোটি, অন্যদিকে আয় ছিল এক হাজার ৬১৮ কোটি টাকা। আয়ের তুলনায় এক হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা ব্যয় বেশি হয়েছে। গত ২৬ বছরে মাত্র দুইবার রেলওয়ের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। এরফলে আয়-ব্যয়ের পার্থক্য পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।

মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার গঠনের পর ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৮ হাজার ৬১৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮১টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে এ পর্যন্ত ৭৭টি প্রকল্প সমাপ্ত হয়েছে। এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হওয়ায় রেলপথের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পেয়েছে।