হাওর বার্তা ডেস্কঃ অবশেষে কারাগারে প্রেরণ করা হলো রাজধানীর মতিঝিলে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই চেষ্টায় অভিযুক্ত আল মামুন নামের সেই পুলিশ কনস্টেবলকে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এক দিনের রিমান্ড শেষে আল মামুনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
ছিনতাইয়ে অভিযুক্ত আল মামুন বংশাল থানা পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। সেখানে তিনি পুলিশের গাড়ি চালান। এর আগে মতিঝিল থানায় ৩ বছর চাকরি করেছেন তিনি।
শনিবার তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে মতিঝিল থানার পুলিশ।
এ সময় মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক এনামুল হক শিমুল।
সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম আল মামুনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ৪ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১টার দিকে মতিঝিল থানায় হাজির হয়ে পুলিশ কনস্টেবল আল মামুনসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগে একটি মামলা করেন আবুল কালাম আজাদ নামের এক ব্যবসায়ী।
সে মামলার প্রেক্ষিতে পরদিন আল মামুনের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী।
উল্লেখ্য, স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবৃতি মতে, গর ৪ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মতিঝিল এনআরবিসি ব্যাংক থেকে টাকা তুলে মোহামেডান ক্লাবের সামনের সড়কে এলে তিনজন পুলিশ পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদের কাছ থেকে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিতে চান।
এতে বাধা দিলে মামুন তার হাতে থাকা হ্যান্ডকাপ দিয়ে আজাদের মাথায় আঘাত করেন। পরে টাকার ব্যাগ নিয়ে পালানোর সময় জনতা দুজনকে ধরে ফেললেও একজন পালিয়ে যান। মামুন ছাড়াও তাদের একজনের নাম জিতু বলে জানা গেছে।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মতিঝিল থানায় উপস্থিত হয়ে পুলিশ কনস্টেবল আল মামুনের বিরুদ্ধে ১০ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ নিয়ে আসেন আবুল কালাম আজাদ।
অবশ্য অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল আল মামুনের দাবি, ছিনতাই নয়, আবুল কালাম আজাদের পাওনা টাকা তুলে দিতে গিয়েছিলেন তিনি।