হাওড়া বার্তা ডেস্কঃ যশোরের শার্শা উপজেলায় পুলিশ ও সোর্সের ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর পাশে দাঁড়িয়েছে নারী ও শিশু রক্ষায় গঠিত বিএনপির কমিটি। একই সঙ্গে এ ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) খাইরুল আলমকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছেন কমিটির নেতারা।
সংগঠনের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুন রায়ের নেতৃত্বে একটি টিম শুক্রবার নির্যাতিত ওই গৃহবধূর বাড়িতে যান।
নিপুন রায় বলেন, জনগণের ভোটে সরকার নির্বাচিত না হলে কারও নিরাপত্তা থাকে না। প্রশাসন, বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দলীয়করণ করায় কারও জীবনের মূল্য নেই। তাদের সহযোগিতায় মধ্যরাতে ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এমন অপকর্ম করার সুযোগ পাচ্ছে।
তিনি বলেন, এর থেকে পরিত্রাণ পেতে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।
এই টিমে আরও ছিলেন সংগঠনের নেতা ও বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক, যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমসহ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আমিনুর রহমান, শার্শা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান জহির, নগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শামসুর নাহার পান্না ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
বিএনপির নেতৃবৃন্দ নির্যাতিত গৃহবধূকে আর্থিক সহায়তা করেন এবং তাকে আইনি সহযোগিতা করার পূর্ণ আশ্বাস দেন। তারা বলেন, এই জঘন্য ঘটনার সঙ্গে জড়িত এসআই খাইরুলকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। তা না হলে নারীর অধিকার রক্ষায় আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে ওই গৃহবধূ নিজের ঘরেই ধর্ষণের শিকার হন। তার অভিযোগ, এসআই খাইরুলসহ চারজন ওই রাতে তার কাছে গিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিলে তার স্বামীর বিরুদ্ধে দেওয়া ফেনসিডিলের মামলা ৫৪ ধারায় দেখিয়ে হালকা করে দেবেন বলে তারা জানান।
ফেনসিডিল মামলায় কারাগারে থাকা তার স্বামীকে কীভাবে ৫৪ ধারায় দেবেন- এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে এসআই খাইরুল ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এরপর খাইরুল ও কামরুল ওই নারীকে নিজ ঘরে ধর্ষণ করেন।
এঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। তবে ‘শনাক্ত হননি’ দাবি করে মামলার এজাহার এসআইয়ের বদলে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। যদিও এসআই খাইরুলকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।