ঢাকা ০৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৫০ ডলার ৭৫ সেন্ট চুরির জন্য ৩৬ বছর কারাগারে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:২৩:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০১৯
  • ২১৯ বার

২২ বছর বয়সে একটি বেকারি থেকে ৫০ ডলার ৭৫ সেন্ট চুরি করেছিলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের আলবামা অঙ্গরাজ্যের কৃষ্ণাঙ্গ এই মানুষটিকে তার জন্য কারাগারে কাটাতে হয়ে ৩৬ বছর!

১৯৮৩ সালে অ্যালভিন কেনার্দকে প্রথম মাত্রার ডাকাতির অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আলবামার ‘অভ্যাসগত গুরুতর অপরাধ আইনের’ আওতায় তাকে এই দণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এর আগে ১৯৭৯ সালে সিঁধেল চুরির অভিযোগে তাকে তিন বছর পুলিশি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল।

গত বুধবার অ্যালভিনকে পুর্নবিচারের জন্য আদালতে হাজির করা হয়েছিল। রংমিস্ত্রি ও নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করা অ্যালভিন আদালতকে জানিয়েছিলেন, মুক্তি পেলে তিনি রংমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতে চান। তার মুক্তির খবরে আদালতের ভেতরেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তার পরিবারের সদস্যরা।

অ্যালভিনের ভাতিজি প্যাট্রিসিয়া জোন্স রায়ের পর বলেন, ‘আমরা সবাই কেঁদেছিলাম। আমরা এটা নিয়ে কথা বলেছিলাম। আমি জানি না তার মুক্তির জন্য ২০ বছরেরও বেশি সময় লাগলো।’

চাচার পাশে পুরো পরিবার রয়েছে উল্লেখ করে প্যাট্রিসিয়া বলেন, তিনি চাকরি চেয়েছেন এবং আমরা তার পাশে থাকব।’

অ্যালভিনের আইনজীবী কার্লা ক্রাউডার জানান, অ্যালভিনের জন্য এটা বিস্ময়কর ছিল যে তিনি যখন ভেবেই নিয়েছিলেন বাকী জীবন তার কারাগারেই থাকতে হবে তখন তিনি সত্যিকারার্থে জীবনকে ঘুরে দাঁড় করানোর সুযোগ পেলেন।

ক্রাউডার বলেন, ‘অ্যালভিনের মতোই ছোট অপরাধে বড় শাস্তি পাওয়া শতাধিক বন্দী এখনো আলবামার কারাগারে আছে। কারণ তাদের কোনো আইনজীবী নেই। এটা ভয়াবহ অন্যায্য ও অবিচার যে অহিংস ও জখম নয় এমন অপরাধের জন্য আলবামার শতাধিক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করতে হচ্ছে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

৫০ ডলার ৭৫ সেন্ট চুরির জন্য ৩৬ বছর কারাগারে

আপডেট টাইম : ০১:২৩:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০১৯

২২ বছর বয়সে একটি বেকারি থেকে ৫০ ডলার ৭৫ সেন্ট চুরি করেছিলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের আলবামা অঙ্গরাজ্যের কৃষ্ণাঙ্গ এই মানুষটিকে তার জন্য কারাগারে কাটাতে হয়ে ৩৬ বছর!

১৯৮৩ সালে অ্যালভিন কেনার্দকে প্রথম মাত্রার ডাকাতির অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আলবামার ‘অভ্যাসগত গুরুতর অপরাধ আইনের’ আওতায় তাকে এই দণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এর আগে ১৯৭৯ সালে সিঁধেল চুরির অভিযোগে তাকে তিন বছর পুলিশি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল।

গত বুধবার অ্যালভিনকে পুর্নবিচারের জন্য আদালতে হাজির করা হয়েছিল। রংমিস্ত্রি ও নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করা অ্যালভিন আদালতকে জানিয়েছিলেন, মুক্তি পেলে তিনি রংমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতে চান। তার মুক্তির খবরে আদালতের ভেতরেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তার পরিবারের সদস্যরা।

অ্যালভিনের ভাতিজি প্যাট্রিসিয়া জোন্স রায়ের পর বলেন, ‘আমরা সবাই কেঁদেছিলাম। আমরা এটা নিয়ে কথা বলেছিলাম। আমি জানি না তার মুক্তির জন্য ২০ বছরেরও বেশি সময় লাগলো।’

চাচার পাশে পুরো পরিবার রয়েছে উল্লেখ করে প্যাট্রিসিয়া বলেন, তিনি চাকরি চেয়েছেন এবং আমরা তার পাশে থাকব।’

অ্যালভিনের আইনজীবী কার্লা ক্রাউডার জানান, অ্যালভিনের জন্য এটা বিস্ময়কর ছিল যে তিনি যখন ভেবেই নিয়েছিলেন বাকী জীবন তার কারাগারেই থাকতে হবে তখন তিনি সত্যিকারার্থে জীবনকে ঘুরে দাঁড় করানোর সুযোগ পেলেন।

ক্রাউডার বলেন, ‘অ্যালভিনের মতোই ছোট অপরাধে বড় শাস্তি পাওয়া শতাধিক বন্দী এখনো আলবামার কারাগারে আছে। কারণ তাদের কোনো আইনজীবী নেই। এটা ভয়াবহ অন্যায্য ও অবিচার যে অহিংস ও জখম নয় এমন অপরাধের জন্য আলবামার শতাধিক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করতে হচ্ছে।’