ঢাকা ০১:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশেষ ভাতা পাচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৩১:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০১৯
  • ২৩৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সরকারি প্রাইমারি স্কুলে নতুন নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের সবাইকে কমপক্ষে দু’বছর দেশের চরাঞ্চল অথবা দুর্গম এলাকায় চাকরি করতে হবে। দুর্গম এলাকার শিক্ষা বিস্তারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ উদ্যোগ নিয়েছে। নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, শুধু যাতায়াত ব্যবস্থার অসুবিধার কারণে শিক্ষার আলো থেকে দুর্গম এলাকাগুলো ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে। বিশ্বায়নের এই যুগে আন্তর্জাতিক সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে দেশের সব এলাকায় সুষম উন্নয়ন ঘটানো দরকার। একই সঙ্গে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি-৪) অর্জনের জন্যও এটি দরকার।

নতুন এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে সঙ্গে পাহাড়ের মতো নদীর চর এলাকার প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য ‘চর’ ভাতা চালুর প্রস্তাব করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। এ কমিটির চাওয়া অনুসারে এরই মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষকদের চর ভাতা চালুর জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে অর্থ মন্ত্রণালয় এখনও এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেয়নি।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, শুধু চর এলাকার শিক্ষকদের জন্য চর ভাতা চালু করা হলে তাতে সারাদেশে প্রাথমিক শিক্ষকদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি হবে। একই ধরনের ভাতা চেয়ে বসতে পারে হাওর, চা-বাগান, টিলাসহ দুর্গম এলাকার শিক্ষকরা। যদিও এ ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি অর্থ মন্ত্রণালয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দশম সংসদের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি চরাঞ্চলে অবস্থিত স্কুলগুলোতে নিয়োজিত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য ‘চর ভাতা’ চালুর সুপারিশ করেছিল। বর্তমান একাদশ সংসদের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, চর ভাতা চালুর বিষয়টি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সক্রিয় বিবেচনাধীন।

তবে মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় তারা এ বিষয়ে অর্থ বরাদ্দ দিতে আগ্রহ দেখায়নি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মনজুর কাদির সাংবাদিকদের বলেন, চর ভাতা চালু বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় রাজি হয় না। এটা নিয়ে তাদের সঙ্গে আরও কথা হবে। সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এ ভাতা চালুর পক্ষে।

ভোলার চর মোন্তাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিব উল্লাহ বলেন, নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের চরাঞ্চলে ২ বছরের জন্য বাধ্যতামূলক নিয়োগ একটি ভালো উদ্যোগ। তবে মেয়াদ শেষেই যেন তাদের আপনাআপনি বদলি করা হয়। তদবির করতে হলে ভোগান্তি কমবে। বদলির আবেদন গ্রহণ ও নিষ্পত্তি যেন অনলাইনেই হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

বিশেষ ভাতা পাচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা

আপডেট টাইম : ০৪:৩১:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সরকারি প্রাইমারি স্কুলে নতুন নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের সবাইকে কমপক্ষে দু’বছর দেশের চরাঞ্চল অথবা দুর্গম এলাকায় চাকরি করতে হবে। দুর্গম এলাকার শিক্ষা বিস্তারে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ উদ্যোগ নিয়েছে। নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, শুধু যাতায়াত ব্যবস্থার অসুবিধার কারণে শিক্ষার আলো থেকে দুর্গম এলাকাগুলো ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে। বিশ্বায়নের এই যুগে আন্তর্জাতিক সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে দেশের সব এলাকায় সুষম উন্নয়ন ঘটানো দরকার। একই সঙ্গে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি-৪) অর্জনের জন্যও এটি দরকার।

নতুন এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে সঙ্গে পাহাড়ের মতো নদীর চর এলাকার প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য ‘চর’ ভাতা চালুর প্রস্তাব করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। এ কমিটির চাওয়া অনুসারে এরই মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষকদের চর ভাতা চালুর জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে অর্থ মন্ত্রণালয় এখনও এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেয়নি।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, শুধু চর এলাকার শিক্ষকদের জন্য চর ভাতা চালু করা হলে তাতে সারাদেশে প্রাথমিক শিক্ষকদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি হবে। একই ধরনের ভাতা চেয়ে বসতে পারে হাওর, চা-বাগান, টিলাসহ দুর্গম এলাকার শিক্ষকরা। যদিও এ ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি অর্থ মন্ত্রণালয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দশম সংসদের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি চরাঞ্চলে অবস্থিত স্কুলগুলোতে নিয়োজিত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য ‘চর ভাতা’ চালুর সুপারিশ করেছিল। বর্তমান একাদশ সংসদের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, চর ভাতা চালুর বিষয়টি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সক্রিয় বিবেচনাধীন।

তবে মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় তারা এ বিষয়ে অর্থ বরাদ্দ দিতে আগ্রহ দেখায়নি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মনজুর কাদির সাংবাদিকদের বলেন, চর ভাতা চালু বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় রাজি হয় না। এটা নিয়ে তাদের সঙ্গে আরও কথা হবে। সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এ ভাতা চালুর পক্ষে।

ভোলার চর মোন্তাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিব উল্লাহ বলেন, নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের চরাঞ্চলে ২ বছরের জন্য বাধ্যতামূলক নিয়োগ একটি ভালো উদ্যোগ। তবে মেয়াদ শেষেই যেন তাদের আপনাআপনি বদলি করা হয়। তদবির করতে হলে ভোগান্তি কমবে। বদলির আবেদন গ্রহণ ও নিষ্পত্তি যেন অনলাইনেই হয়।