ঢাকা ০৩:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাঠ থেকে অবসর নিতে পারছেন না মাশরাফি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৪৬:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০১৯
  • ২৩৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সচরাচর যা হয় না, তা-ই হয়ে গেল বাংলাদেশের ক্রিকেটে৷ মাশরাফির জন্য বিদায়ী ম্যাচ আয়োজন করতে চেয়েছিল বিসিবি৷ কিন্তু মাশরাফি জানিয়ে দিয়েছেন এখনই তা চান না৷

‘আদর্শ’ সময়ে অবসর নিতে চাইতেই পারেন৷ সে অধিকার তার অবশ্যই আছে৷ সেই কথা ভেবেই বিসিবি সেপ্টেম্বরে জিম্বাবেুয়ের বিপক্ষে একটি ওয়ানডে আয়োজনের কথা ভেবেছিল৷ মাশরাফি বিন মর্তুজা দেশের ক্রিকেটের জন্য কী না করেছেন! ইনজুরি, বয়স কোনো কিছুকে তোয়াক্কা না করে দেশকে সেবা দিয়েছেন দীর্ঘকাল, এখনো দিচ্ছেন৷ এসব বিবেচনায় রেখেই একটা বিশেষ পরিকল্পনা করেছিল বিসিবি, নইলে জিম্বাবেুয়ে আর আফগানিস্তানকে নিয়ে টি-টোয়েন্টির ট্রাই সিরিজের মাঝে ওয়ানডের আয়োজন কেউ করে!

প্রশ্ন হলো, মাশরাফি কেন রাজি হলেন না? তিনি কি শুধু আরো ভালো সময়, আরো ভালো প্রতিপক্ষের অপেক্ষায় থাকতে চাইছেন? এ বছর আর সেই সুযোগ নেই৷

২০২০ সালেও বাংলাদেশ প্রথম ওয়ানডে খেলার সুযোগ পাবে এপ্রিল-মে-তে, আয়ারল্যান্ডে৷ বিশ্বকাপে লর্ডসে অবসর নেয়ার ‘সুযোগ’ যিনি গ্রহণ করেননি, সেই মাশরাফি আয়ারল্যান্ডকে উপযুক্ত প্রতিপক্ষ এবং ভেনু ভাববেন বলে তো মনে হয় না৷ সবাই চান দেশের মাটিতে শেষ ম্যাচটা খেলতে৷ সেই সুযোগ সবাই পান না৷ বীরেন্দর শেবাগ থেকে শুরু করে হালের যুবরাজ সিং পর্যন্ত উপমহাদেশের কত ক্রিকেটারের ক্যারিয়ারই তো শেষ হয়েছে ‘সম্মানজনক’ বিদায়ের সুযোগ না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে৷

মাশরাফির সামনে তেমন আশঙ্কা একেবারেই ছিল না৷ তাকে যোগ্য সম্মান দেয়ার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড৷ জিম্বাবেুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেটা ছিল সেরকমই এক সুযোগ৷ সেই সুযোগ কি স্রেফ সময় নিতে চান বলেই হাতছাড়া করলেন মাশরাফি?

পরবর্তী সুযোগটা যে ২০২০-এর মে-র আগে আসবে না এবং তখন এলেও তা মাশরাফি নিতে চাইবেন না এমন ইঙ্গিত খুব স্পষ্ট৷ বাংলাদেশ পরের ওয়ানডে সিরিজটা খেলবে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে৷ হ্যাঁ, দেশের মাটিতেই হবে সেই সিরিজ৷ কিন্তু বয়স আরো এক বছর চার মাস বাড়লে কী সুবিধাটা পাবেন মাশরাফি? ফিটনেস বা ফর্ম খুব ভালো হয়ে যাওয়ার সুযোগ খুবই কম৷ তাহলে? ভেতরের খবর, মাশরাফি সময় নিতে নয়, প্রতিবাদ বা ক্ষোভ জানাতেই অবসরের ‘সম্মানজনক অফার’টা নেননি৷

তার সঙ্গে কোনো কথা না বলে বিসিবির এত দূর এগিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সম্মানজনক মনে হয়নি বলেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত৷ সময়ই বলবে, উপযুক্ত সময়ের অপেক্ষায় থাকলেন, নাকি সম্মানজনক বিদায়ের সুযোগকে ‘দয়া’ ভেবে প্রত্যাখ্যান করলেন অভিমানী মাশরাফি। তবে তার জন্য দেশের মাটিতে বিদায় নেয়ার সুযোগ যে প্রায় শেষ তা এখন দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট৷

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

মাঠ থেকে অবসর নিতে পারছেন না মাশরাফি

আপডেট টাইম : ১২:৪৬:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সচরাচর যা হয় না, তা-ই হয়ে গেল বাংলাদেশের ক্রিকেটে৷ মাশরাফির জন্য বিদায়ী ম্যাচ আয়োজন করতে চেয়েছিল বিসিবি৷ কিন্তু মাশরাফি জানিয়ে দিয়েছেন এখনই তা চান না৷

‘আদর্শ’ সময়ে অবসর নিতে চাইতেই পারেন৷ সে অধিকার তার অবশ্যই আছে৷ সেই কথা ভেবেই বিসিবি সেপ্টেম্বরে জিম্বাবেুয়ের বিপক্ষে একটি ওয়ানডে আয়োজনের কথা ভেবেছিল৷ মাশরাফি বিন মর্তুজা দেশের ক্রিকেটের জন্য কী না করেছেন! ইনজুরি, বয়স কোনো কিছুকে তোয়াক্কা না করে দেশকে সেবা দিয়েছেন দীর্ঘকাল, এখনো দিচ্ছেন৷ এসব বিবেচনায় রেখেই একটা বিশেষ পরিকল্পনা করেছিল বিসিবি, নইলে জিম্বাবেুয়ে আর আফগানিস্তানকে নিয়ে টি-টোয়েন্টির ট্রাই সিরিজের মাঝে ওয়ানডের আয়োজন কেউ করে!

প্রশ্ন হলো, মাশরাফি কেন রাজি হলেন না? তিনি কি শুধু আরো ভালো সময়, আরো ভালো প্রতিপক্ষের অপেক্ষায় থাকতে চাইছেন? এ বছর আর সেই সুযোগ নেই৷

২০২০ সালেও বাংলাদেশ প্রথম ওয়ানডে খেলার সুযোগ পাবে এপ্রিল-মে-তে, আয়ারল্যান্ডে৷ বিশ্বকাপে লর্ডসে অবসর নেয়ার ‘সুযোগ’ যিনি গ্রহণ করেননি, সেই মাশরাফি আয়ারল্যান্ডকে উপযুক্ত প্রতিপক্ষ এবং ভেনু ভাববেন বলে তো মনে হয় না৷ সবাই চান দেশের মাটিতে শেষ ম্যাচটা খেলতে৷ সেই সুযোগ সবাই পান না৷ বীরেন্দর শেবাগ থেকে শুরু করে হালের যুবরাজ সিং পর্যন্ত উপমহাদেশের কত ক্রিকেটারের ক্যারিয়ারই তো শেষ হয়েছে ‘সম্মানজনক’ বিদায়ের সুযোগ না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে৷

মাশরাফির সামনে তেমন আশঙ্কা একেবারেই ছিল না৷ তাকে যোগ্য সম্মান দেয়ার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড৷ জিম্বাবেুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেটা ছিল সেরকমই এক সুযোগ৷ সেই সুযোগ কি স্রেফ সময় নিতে চান বলেই হাতছাড়া করলেন মাশরাফি?

পরবর্তী সুযোগটা যে ২০২০-এর মে-র আগে আসবে না এবং তখন এলেও তা মাশরাফি নিতে চাইবেন না এমন ইঙ্গিত খুব স্পষ্ট৷ বাংলাদেশ পরের ওয়ানডে সিরিজটা খেলবে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে৷ হ্যাঁ, দেশের মাটিতেই হবে সেই সিরিজ৷ কিন্তু বয়স আরো এক বছর চার মাস বাড়লে কী সুবিধাটা পাবেন মাশরাফি? ফিটনেস বা ফর্ম খুব ভালো হয়ে যাওয়ার সুযোগ খুবই কম৷ তাহলে? ভেতরের খবর, মাশরাফি সময় নিতে নয়, প্রতিবাদ বা ক্ষোভ জানাতেই অবসরের ‘সম্মানজনক অফার’টা নেননি৷

তার সঙ্গে কোনো কথা না বলে বিসিবির এত দূর এগিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সম্মানজনক মনে হয়নি বলেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত৷ সময়ই বলবে, উপযুক্ত সময়ের অপেক্ষায় থাকলেন, নাকি সম্মানজনক বিদায়ের সুযোগকে ‘দয়া’ ভেবে প্রত্যাখ্যান করলেন অভিমানী মাশরাফি। তবে তার জন্য দেশের মাটিতে বিদায় নেয়ার সুযোগ যে প্রায় শেষ তা এখন দিনের আলোর মতোই স্পষ্ট৷