হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জে দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এ পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে ৮৫২ জন। হাসপাতালে ভর্তি আছে ১৩২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরও ৩৫ জন। অবস্থা জটিল হওয়ায় এ পর্যন্ত ১১৩ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এদের মধ্যে গত সপ্তাহে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (১৮ আগস্ট) পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ৬৩ জন, বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৮ জনসহ বিভিন্ন উপজেলা হাসপাতালে ১৩২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। এদিকে ডেঙ্গু শনাক্তকরণ কিট থাকলেও হাসপাতালে ব্লাডসেল কাউন্টার না থাকায় আক্রান্ত রোগীদের রক্তের সেল কাউন্ট করতে হচ্ছে বাইরের ক্লিনিকগুলো থেকে।
কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছে। জেলা সদরের এ হাসপাতালে প্রয়োজনীয় লোকবল না থাকায় দৈনন্দিন রোগীর পাশাপাশি ডেঙ্গু রোগীদের সামাল দিতে ডাক্তারদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এখানে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা দু’টি ওয়ার্ড খোলা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সুলতানা রাজিয়া জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ জন নতুন রোগী এ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এখানে এখন পর্যন্ত ৪৩৪ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। ভর্তি আছেন ৬৩ জন। অবস্থা খারাপ হওয়ায় এখন পর্যন্ত ৬৯ জন রোগীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান জানান, এ জেলায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তবে এখনও তা নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই আছে। হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীদের প্রতিদিন রক্তের প্লাটিলেট সেল কাউন্ট করতে হয়। কিন্তু জেলা সদর হাসপাতালে কাউন্টার মেশিন না থাকায় রোগীদের বাইরে থেকে ব্লাডসেল কাউন্ট করাতে হচ্ছে। তবে সদর হাসপাতালে একটি ব্লাডসেল কাউন্টার মেশিন আনার জন্য চেষ্টা চলছে।