হাওর বার্তা ডেস্কঃ ‘বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি, বাংলার ঐতিহ্য রক্ষা করে চলছে একমাত্র বাংলাদেশি বাঙালিরা। বিশ্বে ৩০ কোটির বেশি বাঙালি থাকলেও বাংলাদেশের ১৬ কোটি বাঙালিই প্রকৃত বাঙালি। কলকাতার বাঙালিরা প্রকৃত বাঙালি নন, তারা বিশাল ভারত সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে। তাদের দিয়ে বাঙালি সংস্কৃতি রক্ষা করা সম্ভব নয়। পৃথিবীর প্রকৃত বাঙালিরা একমাত্র বাংলাদেশেই বাস করে। অন্য বাঙালিরা আমাদের ভাই।’ রোববার ‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ’ এক শীর্ষক আলোচনায় সভায় এ কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। রাজধানীর রাজমনি ঈশাখাঁ হোটেলে টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি অব বাংলাদেশ (ট্রাব) এ সভার আয়োজন করে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দেশের জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে ভারতীয় চ্যানেলে সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান পাওয়া নোবেল যে মন্তব্য করেছে তা ঠিক নয়। বাচ্চা ছেলে হিসেবে হয়তো এটা বড় ভুল করেছে। তরুণ প্রজন্মকে এ রকম ভ্রান্তি থেকে দূরে থাকতে হবে।
বঙ্গবন্ধু সংস্কৃতি জোটের সহসভাপতির রেদুয়ান খন্দকারের সভাপতিত্বে সভায় অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব আহসান উল্লাহ মনি, প্রিয়াংকা গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সজল, দৈনিক নবচেতনার সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ নিছক একটি পতাকা বা মানচিত্রের জন্য হয়নি। যুদ্ধ হয়েছিল মানুষের মুক্তির জন্য। আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। আর যখন শুনি জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করতে হবে এটা মনে হয় স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রথম পদক্ষেপ। এরপর বলবে পতাকা বদলাতে হবে। তারপর বলবে জাতীয় মূলনীতি বদলাও।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিদের একটি অংশের শুধু বিচার হয়েছে। কিন্তু যারা পর্দার আড়াল থেকে হত্যার সব আয়োজন করেছে তাদের বিচার করা এখন সময়ের দাবি। ট্র–থ কমিশন গঠন করে তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত।’
প্রসঙ্গত, জিবাংলা চ্যানেলের সারেগামাপা প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান লাভ করেন বাংলাদেশের মাঈনুল হাসন নোবেল। সম্প্রতি তিনি একটি লাইভ অনুষ্ঠানে বলেন, রবীন্দ্রনাথের লেখা আমার সোনার বাংলা যতটা না দেশকে প্রকাশ করে, তার চেয়ে কয়েক হাজারগুণ বেশি প্রকাশ করে প্রিন্স মাহমুদের লেখা ‘বাংলাদেশ’ গানটি। তার এই মন্তব্যের পর থেকেই ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।