ঢাকা ০৭:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুই ভাগ হলো কাশ্মীর, কেন্দ্রের শাসন জারি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৫৪:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ অগাস্ট ২০১৯
  • ২৪২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভারত অধিকৃত কাশ্মীরকে দুভাগে ভাগ করলো দেশটির সরকার। আজ সোমবার সংসদে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পেশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এতে লাদাখ ও জম্মু-কাশ্মীরকে আলাদা আলাদা অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। উভয় অঞ্চলই ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা শাসিত হবে। তবে জম্মু ও কাশ্মীরের নিজস্ব একটি আইনসভা থাকবে, আর লাদাখের আইনসভা থাকবে না।

এসব প্রস্তাব আকারে রাজ্যসভায় পেশ করার কিছুক্ষণ পর ভারতের রাষ্ট্রপতি রাজনাথ কোবিন্দ এ সংক্রান্ত নোটিফিকেশনে স্বাক্ষর করেছেন বলে জানিয়েছে দেশটির একাধিক গণমাধ্যম। এদিকে রাজ্যসভায় ভাষণ শেষে লোকসভায় ভাষণ দেবেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে উপস্থিত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।

জিনিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা তুলে দিলো কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বিজ্ঞপ্তিতে সই করেছেন রাষ্ট্রপতি। আর এর মাধ্যমেই কাশ্মীর ইস্যুতে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিলো কেন্দ্রীয় সরকারি। তবে এর বিরোধিতায় রাজ্যসভায় চলছে তুমুল হট্টগোল।

প্রস্তাবের চরম বিরোধিতা করছেন বিরোধীরা। তাদের দাবি, ৩৭০ ধারা তুলে দিলে বিশেষ সুবিধা হারাবে কাশ্মীর। এর পাশাপাশি কাশ্মীরে ৩৫এ ধারাও তুলে দিতে চায় কেন্দ্র।

এদিকে জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছে প্রশাসন। গোটা রাজ্যে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। ইতিমধ্যেই নিজের বাসভবনে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক শেষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

শিগগিরই সংসদে বিবৃতি রাখতে চলেছে অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ঠিক কী সিদ্ধান্ত হয়েছে? এর পর কাশ্মীর ইস্যুতে ঠিক কী পদক্ষেপ করা হতে পারে? এসবই সংসদে খোলসা করতে পারেন অমিত শাহ। এ নিয়ে দেশজুড়ে বাড়ছে উৎকন্ঠা, উদ্বেগ। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে হওয়া বিশেষ ক্যাবিনেট বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ঠিক কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা জানতে উদ্বেল গোটা রাজ্য।

ইতিমধ্যে গৃহবন্দী করা হয়েছে রাজ্যের দুই সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতিকে। গৃহবন্দী করা হয়েছে রাজ্যের অন্য আরেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা সাজ্জাদ লোনকে। ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। একই সঙ্গে বন্ধ ডিটিএইচ পরিষেবা ও টেলি যোগাযোগ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

দুই ভাগ হলো কাশ্মীর, কেন্দ্রের শাসন জারি

আপডেট টাইম : ০৫:৫৪:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ অগাস্ট ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভারত অধিকৃত কাশ্মীরকে দুভাগে ভাগ করলো দেশটির সরকার। আজ সোমবার সংসদে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পেশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এতে লাদাখ ও জম্মু-কাশ্মীরকে আলাদা আলাদা অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। উভয় অঞ্চলই ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা শাসিত হবে। তবে জম্মু ও কাশ্মীরের নিজস্ব একটি আইনসভা থাকবে, আর লাদাখের আইনসভা থাকবে না।

এসব প্রস্তাব আকারে রাজ্যসভায় পেশ করার কিছুক্ষণ পর ভারতের রাষ্ট্রপতি রাজনাথ কোবিন্দ এ সংক্রান্ত নোটিফিকেশনে স্বাক্ষর করেছেন বলে জানিয়েছে দেশটির একাধিক গণমাধ্যম। এদিকে রাজ্যসভায় ভাষণ শেষে লোকসভায় ভাষণ দেবেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে উপস্থিত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।

জিনিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা তুলে দিলো কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বিজ্ঞপ্তিতে সই করেছেন রাষ্ট্রপতি। আর এর মাধ্যমেই কাশ্মীর ইস্যুতে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিলো কেন্দ্রীয় সরকারি। তবে এর বিরোধিতায় রাজ্যসভায় চলছে তুমুল হট্টগোল।

প্রস্তাবের চরম বিরোধিতা করছেন বিরোধীরা। তাদের দাবি, ৩৭০ ধারা তুলে দিলে বিশেষ সুবিধা হারাবে কাশ্মীর। এর পাশাপাশি কাশ্মীরে ৩৫এ ধারাও তুলে দিতে চায় কেন্দ্র।

এদিকে জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছে প্রশাসন। গোটা রাজ্যে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। ইতিমধ্যেই নিজের বাসভবনে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক শেষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

শিগগিরই সংসদে বিবৃতি রাখতে চলেছে অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ঠিক কী সিদ্ধান্ত হয়েছে? এর পর কাশ্মীর ইস্যুতে ঠিক কী পদক্ষেপ করা হতে পারে? এসবই সংসদে খোলসা করতে পারেন অমিত শাহ। এ নিয়ে দেশজুড়ে বাড়ছে উৎকন্ঠা, উদ্বেগ। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে হওয়া বিশেষ ক্যাবিনেট বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ঠিক কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তা জানতে উদ্বেল গোটা রাজ্য।

ইতিমধ্যে গৃহবন্দী করা হয়েছে রাজ্যের দুই সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতিকে। গৃহবন্দী করা হয়েছে রাজ্যের অন্য আরেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা সাজ্জাদ লোনকে। ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। একই সঙ্গে বন্ধ ডিটিএইচ পরিষেবা ও টেলি যোগাযোগ।