হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে পাট কাটা ও জাগ দেওয়া শুরু হয়েছে। ফলে বিস্তির্ণ চরাঞ্চলসহ উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম-গঞ্জের কৃষক-কৃষাণীরা পাটের সোনালী আঁশ সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। দেখলে মনে হয় যেন দম ফেলার সময় নেই তাদের। শত ব্যস্ততার মাঝেও কৃষকেরা এবার পাটের বাম্পার ফলনে মহাখুশি।
স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানায়ায়, চলতি মওসুমে উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রায় ২ হাজার ১০০ হেক্টর কিন্তু আবাদ হয়েছে ২ হাজার ২৫ হেক্টর। তবে বাম্পার ফলনের কারনে পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক থাকার আশা করছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
সরেজমিনে গতকাল সোমবার (৫ আগষ্ট) উপজেলার সিদলা, হাজীপুর, রহিমপুর, সাহেবেরচর, জিনারী, গোবিন্দপুর,পানান,পুমদি, চর-বিশ্বনাথপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কৃষক-কৃষাণীরা পাট কাটা ও পাটের সোনালী আশঁ সংগ্রহে ব্যস্ত রয়েছেন।
এ সময় পানান গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম, সাহেবেরচরের কৃষক কামাল উদ্দিন, রহিপুরের কৃষক সেলিম মিয়া, চর-বিশ্বনাথপুরের কৃষক লাল মিয়াসহ অনেকেই জানান, এ বছর পাটের বাম্পার ফলনে তারা খুবই খুশি। তাছাড়া বর্তমান বাজারে পাটের দাম ভালো পাচ্ছেন তারা।
সূত্র মতে, এ বছর এক একর জমিতে প্রায় ১৯ থেকে ২০ মন পাট উৎপাদন হয়েছে। প্রতি মন পাট প্রকার ভেদে ১ হাজার ৪৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ১৭৫০ পর্যন্ত বিক্রি করেছেন। ফলে প্রতি একরে ৯-১০ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে কৃষকের।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ইমরুল কায়েছ জানান, এ বছর পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমান বাজারে পাটের দামও ভালো। তবে নতুন করে কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা না দিলে কিছুটা আবাদ কম হওয়া সত্বেও উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক থাকবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।