ঢাকা ০১:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে একদিন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:০১:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ অগাস্ট ২০১৯
  • ২৩৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজধানী থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরে গাজীপুরে ঢাকা ময়মনসিংহ মহসড়কের পাশেই অবস্থিত বাঘের বাজার। নাম শুনে এত আনন্দিত হওয়ার কিছুই নেই। ভাববেন না এই বাঘের বাজারেই আপনি বাঘের দেখা পেয়ে যাবেন। বাঘের দেখা পেতে হলে আপনাকে আরো একটু কষ্ট তো করতেই হবে। বাঘ দেখা বলে কথা। তাই যেতে হবে আপনাকে আরো তিন কিলোমিটার পশ্চিমে। অনেকটা দূর থেকেই চোখে পড়বে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের দৃষ্টিনন্দন ফটক। সেটি পেরুলেই সারি সারি ফুল গাছ, আপনাকে স্বাগত জানাবে বাঘ, সিংহ, বাজপাখি, ক্যাঙ্গারু। এমনকি বহু আগে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত ডাইনোসরও রয়েছে আপনাকে স্বাগত জানানোর জন্য। তবে এগুলো প্রাণহীন, মাটি বালু ও সিমেন্ট দিয়ে তৈরি বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর ভাস্কর্য। আসছে ছুটির দিনগুলোতে আপনি খুব সহজেই ঘুরে আসতে পারেন গাজীপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক থেকে।

যা আছে ভেতরে- পার্কের প্রথমেই অবস্থিত বঙ্গবন্ধু স্কয়ার। পার্ক সম্পর্কে যেকোনো তথ্য জানার জন্য এখানে রয়েছে একটি পূর্ণাঙ্গ তথ্য ও শিক্ষাকেন্দ্র। এখানে আরো রয়েছে পার্ক অফিস। জীববিজ্ঞানের নানা তথ্য ও গবেষণার জন্য রয়েছে ন্যাচার হিস্ট্রি মিউজিয়াম। এই মিউজিয়ামে প্রায় দুই হাজার প্রজাতির মেরুদণ্ডী ও অমেরুদণ্ডী প্রাণীর দেহাবশেষ, স্পেসিমেন ও স্টাফিং সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। সাফারি পার্কের এক হাজার ৩৩৫ একর এলাকায় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে কোর সাফারি পার্ক।

এখানে বন্য পরিবেশে বন্য প্রাণীরা স্বাধীনভাবে বিচরণ করে। আপনি পার্কের গাড়িতে চড়ে বেষ্টনীর ভেতরে প্রবেশ করে দেখতে পারেন বাঘ, সিংহ, ভাল্লুক, আফ্রিকান চিতা, চিত্রা হরিণ, সাম্বার ও গয়াল, হাতি, জলহস্থি, নীল গাই, বারো সিংগা, বন্য মোষ। কোর সাফারি পার্ক অঞ্চলে আছে আফ্রিকান সাফারি পার্ক। এখানে রয়েছে আফ্রিকান বন্যপ্রাণীর বিশাল সংগ্রহ। বিশাল দেহ আর লম্বা গলার জিরাফ আপনাকে স্বাগত জানানোর জন্য সদা প্রস্তুত। এখানে আরো বিচরণ করে বন্যপ্রাণী জেব্রা। ৫৭৫ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে সাফারি কিংডম। এখানে রয়েছে প্রকৃতি বীক্ষণ কেন্দ্র, জিরাফ ফিডিং স্পট ও পেলিকেন আইল্যান্ড। আপনি যদি পাখিপ্রেমিক হয়ে থাকেন তাহলে চলে যান পাখিশালায়।

পাখির খাঁচার কাছে যেতেই আপনার মন আনন্দে ভরে উঠবে নানা প্রজাতির রং-বেরঙের দেশি-বিদেশি পাখি দেখে। বিরল, বিলুপ্তপ্রায় ও বিপন্ন প্রজাতির গাছের জিনপুল সংরক্ষণের জন্য ৯৬৫ একর জায়গাজুড়ে তৈরি করা হয়েছে বায়োডাইভারসিটি পার্ক। এশীয় তৃণভোজী এবং ছোট মাংসাশী প্রাণী, পাখি সরিসৃপ ও উভয়চর প্রাণী নিয়ে ৮২৪ একর জমির ওপর এক্সটেনসিভ এশিয়া সাফারি প্রতিষ্ঠিত। এ ছাড়া বৃক্ষরাজিসমৃদ্ধ প্রায় ১৫০ একর জায়গায় তৈরি করা হয়েছে হাতির আশ্রম। সাফারি পার্কে বিচরণরত বন্য পশুপাখির পানীয় জলের চাহিদা পূরণ করার জন্য আছে আটটি জলধারা ও দুটি কৃত্রিম হ্রদ। যেখানে বিভিন্ন জাতের দেশি বিদেশি বুনো হাঁসের ওড়াউড়িসহ নানা রকম জলকেলি আপনার মন ভরিয়ে দেবে।

প্রবেশ মূল্য ও অন্যান্য খরচ- বাংলাদেশিদের জন্য পার্কে প্রবেশ টিকেটের মূল্য ৫০ টাকা তবে ১৮ বছরের নিচে ছেলেমেয়েরা ২০ টাকায় পার্কে প্রবেশ করতে পারে। আর সাধারণ অথবা শিক্ষা সফরে আসা ছাত্রছাত্রীদের পার্কে প্রবেশ করতে ১০ টাকা দিতে হয়। বিদেশি দর্শনার্থীদের জন্য পার্কে প্রবেশ মূল্য পাঁচ ডলার। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা সফরে আগতদের জন্যে স্পেশাল প্রবেশ ফি রয়েছে। যদি শিক্ষা সফরে আসা শিক্ষার্থীদের গ্রুপ ৪০-১০০ জন হয় তাহলে সবার প্রবেশ করতে ৪০০ টাকা লাগবে। যদি শিক্ষার্থী সংখ্যা ১০০ এর বেশি হয় তাহলে প্রবেশ করতে ৮০০ টাকা লাগবে।

কোর সাফারি পার্কে প্রবেশ ফি : কোর সাফারি পার্ক যেখানে খোলা পরিবেশে জীব জন্তু ঘুরে বেড়ায় তার মাঝ দিয়ে জিপ ও মিনিবাসে ঘুরে দেখতে জনপ্রতি ১০০ টাকা প্রদান করতে হবে। ১৮ বছরের কম বয়সী এবং ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ৫০ টাকা। মিনিবাসে করে ২০ মিনিট ঘুরিয়ে দেখাবে।

পার্কের অন্যান্য জায়গাতে প্রবেশ করতেও টিকেট কেটে প্রবেশ করতে হবে। সব স্পট দেখতে মোটামুটি ২০০-৩০০ টাকা লাগবে। একসাথে কয়েকটি স্পট দেখার প্যাকেজ ও পাওয়া যায়। এ ছাড়া প্যাডেল বোটে ৩০ মিনিট ভ্রমণ করতে জনপ্রতি ২০০ টাকা খরচ হবে।

(সময় ভেদে সব ভাড়া পরিবর্তিত হতে পারে)

পরিদর্শনের সময়- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক মঙ্গলবার ছাড়া সপ্তাহের ছয় দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক বন্ধ থাকে। পুরোটা ঘুরে দেখতে চাইলে সারা দিন চলে যাবে। তাই সবচেয়ে ভালো হয় যদি সকাল সকাল চলে যান। তাহলে আরামে সারা দিন ঘুরে ঘুরে সব অংশ দেখতে পারবেন।

সাফারি পার্ক যাওয়ার উপায়- ঢাকার মহাখালী থেকে শ্রীপুর, ভালুকা কিংবা ময়মনসিংহগামী বাসে গাজীপুরের চৌরাস্তা অতিক্রম করে কিছুটা গেলে বাঘের বাজারে সাফারি পার্কের বিশাল সাইনবোর্ড দেখতে পাবেন। বাঘের বাজার থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক যেতে রিকশা বা অটোরিকশা ভাড়া লাগবে ২০-৪০ টাকা। এ ছাড়া গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে বাঘের বাজার যাওয়ার জন্য কিছু হিউম্যান হলার রয়েছে। সেগুলোতে বাঘের বাজার গিয়ে রিকশা বা অটোরিকমাতে সাফারি পার্ক যেতে পারবেন। দেশের অন্য কনে প্রান্ত থেকে আসতে চাইলে চলে আসুন গাজীপুর চৌরাস্তা। তারপর চলে যান আপনার পছন্দমতো যানবাহন দিয়ে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে একদিন

আপডেট টাইম : ০১:০১:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ অগাস্ট ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজধানী থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরে গাজীপুরে ঢাকা ময়মনসিংহ মহসড়কের পাশেই অবস্থিত বাঘের বাজার। নাম শুনে এত আনন্দিত হওয়ার কিছুই নেই। ভাববেন না এই বাঘের বাজারেই আপনি বাঘের দেখা পেয়ে যাবেন। বাঘের দেখা পেতে হলে আপনাকে আরো একটু কষ্ট তো করতেই হবে। বাঘ দেখা বলে কথা। তাই যেতে হবে আপনাকে আরো তিন কিলোমিটার পশ্চিমে। অনেকটা দূর থেকেই চোখে পড়বে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের দৃষ্টিনন্দন ফটক। সেটি পেরুলেই সারি সারি ফুল গাছ, আপনাকে স্বাগত জানাবে বাঘ, সিংহ, বাজপাখি, ক্যাঙ্গারু। এমনকি বহু আগে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত ডাইনোসরও রয়েছে আপনাকে স্বাগত জানানোর জন্য। তবে এগুলো প্রাণহীন, মাটি বালু ও সিমেন্ট দিয়ে তৈরি বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর ভাস্কর্য। আসছে ছুটির দিনগুলোতে আপনি খুব সহজেই ঘুরে আসতে পারেন গাজীপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক থেকে।

যা আছে ভেতরে- পার্কের প্রথমেই অবস্থিত বঙ্গবন্ধু স্কয়ার। পার্ক সম্পর্কে যেকোনো তথ্য জানার জন্য এখানে রয়েছে একটি পূর্ণাঙ্গ তথ্য ও শিক্ষাকেন্দ্র। এখানে আরো রয়েছে পার্ক অফিস। জীববিজ্ঞানের নানা তথ্য ও গবেষণার জন্য রয়েছে ন্যাচার হিস্ট্রি মিউজিয়াম। এই মিউজিয়ামে প্রায় দুই হাজার প্রজাতির মেরুদণ্ডী ও অমেরুদণ্ডী প্রাণীর দেহাবশেষ, স্পেসিমেন ও স্টাফিং সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। সাফারি পার্কের এক হাজার ৩৩৫ একর এলাকায় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে কোর সাফারি পার্ক।

এখানে বন্য পরিবেশে বন্য প্রাণীরা স্বাধীনভাবে বিচরণ করে। আপনি পার্কের গাড়িতে চড়ে বেষ্টনীর ভেতরে প্রবেশ করে দেখতে পারেন বাঘ, সিংহ, ভাল্লুক, আফ্রিকান চিতা, চিত্রা হরিণ, সাম্বার ও গয়াল, হাতি, জলহস্থি, নীল গাই, বারো সিংগা, বন্য মোষ। কোর সাফারি পার্ক অঞ্চলে আছে আফ্রিকান সাফারি পার্ক। এখানে রয়েছে আফ্রিকান বন্যপ্রাণীর বিশাল সংগ্রহ। বিশাল দেহ আর লম্বা গলার জিরাফ আপনাকে স্বাগত জানানোর জন্য সদা প্রস্তুত। এখানে আরো বিচরণ করে বন্যপ্রাণী জেব্রা। ৫৭৫ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে সাফারি কিংডম। এখানে রয়েছে প্রকৃতি বীক্ষণ কেন্দ্র, জিরাফ ফিডিং স্পট ও পেলিকেন আইল্যান্ড। আপনি যদি পাখিপ্রেমিক হয়ে থাকেন তাহলে চলে যান পাখিশালায়।

পাখির খাঁচার কাছে যেতেই আপনার মন আনন্দে ভরে উঠবে নানা প্রজাতির রং-বেরঙের দেশি-বিদেশি পাখি দেখে। বিরল, বিলুপ্তপ্রায় ও বিপন্ন প্রজাতির গাছের জিনপুল সংরক্ষণের জন্য ৯৬৫ একর জায়গাজুড়ে তৈরি করা হয়েছে বায়োডাইভারসিটি পার্ক। এশীয় তৃণভোজী এবং ছোট মাংসাশী প্রাণী, পাখি সরিসৃপ ও উভয়চর প্রাণী নিয়ে ৮২৪ একর জমির ওপর এক্সটেনসিভ এশিয়া সাফারি প্রতিষ্ঠিত। এ ছাড়া বৃক্ষরাজিসমৃদ্ধ প্রায় ১৫০ একর জায়গায় তৈরি করা হয়েছে হাতির আশ্রম। সাফারি পার্কে বিচরণরত বন্য পশুপাখির পানীয় জলের চাহিদা পূরণ করার জন্য আছে আটটি জলধারা ও দুটি কৃত্রিম হ্রদ। যেখানে বিভিন্ন জাতের দেশি বিদেশি বুনো হাঁসের ওড়াউড়িসহ নানা রকম জলকেলি আপনার মন ভরিয়ে দেবে।

প্রবেশ মূল্য ও অন্যান্য খরচ- বাংলাদেশিদের জন্য পার্কে প্রবেশ টিকেটের মূল্য ৫০ টাকা তবে ১৮ বছরের নিচে ছেলেমেয়েরা ২০ টাকায় পার্কে প্রবেশ করতে পারে। আর সাধারণ অথবা শিক্ষা সফরে আসা ছাত্রছাত্রীদের পার্কে প্রবেশ করতে ১০ টাকা দিতে হয়। বিদেশি দর্শনার্থীদের জন্য পার্কে প্রবেশ মূল্য পাঁচ ডলার। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা সফরে আগতদের জন্যে স্পেশাল প্রবেশ ফি রয়েছে। যদি শিক্ষা সফরে আসা শিক্ষার্থীদের গ্রুপ ৪০-১০০ জন হয় তাহলে সবার প্রবেশ করতে ৪০০ টাকা লাগবে। যদি শিক্ষার্থী সংখ্যা ১০০ এর বেশি হয় তাহলে প্রবেশ করতে ৮০০ টাকা লাগবে।

কোর সাফারি পার্কে প্রবেশ ফি : কোর সাফারি পার্ক যেখানে খোলা পরিবেশে জীব জন্তু ঘুরে বেড়ায় তার মাঝ দিয়ে জিপ ও মিনিবাসে ঘুরে দেখতে জনপ্রতি ১০০ টাকা প্রদান করতে হবে। ১৮ বছরের কম বয়সী এবং ছাত্র/ছাত্রীদের জন্য প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ৫০ টাকা। মিনিবাসে করে ২০ মিনিট ঘুরিয়ে দেখাবে।

পার্কের অন্যান্য জায়গাতে প্রবেশ করতেও টিকেট কেটে প্রবেশ করতে হবে। সব স্পট দেখতে মোটামুটি ২০০-৩০০ টাকা লাগবে। একসাথে কয়েকটি স্পট দেখার প্যাকেজ ও পাওয়া যায়। এ ছাড়া প্যাডেল বোটে ৩০ মিনিট ভ্রমণ করতে জনপ্রতি ২০০ টাকা খরচ হবে।

(সময় ভেদে সব ভাড়া পরিবর্তিত হতে পারে)

পরিদর্শনের সময়- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক মঙ্গলবার ছাড়া সপ্তাহের ছয় দিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক বন্ধ থাকে। পুরোটা ঘুরে দেখতে চাইলে সারা দিন চলে যাবে। তাই সবচেয়ে ভালো হয় যদি সকাল সকাল চলে যান। তাহলে আরামে সারা দিন ঘুরে ঘুরে সব অংশ দেখতে পারবেন।

সাফারি পার্ক যাওয়ার উপায়- ঢাকার মহাখালী থেকে শ্রীপুর, ভালুকা কিংবা ময়মনসিংহগামী বাসে গাজীপুরের চৌরাস্তা অতিক্রম করে কিছুটা গেলে বাঘের বাজারে সাফারি পার্কের বিশাল সাইনবোর্ড দেখতে পাবেন। বাঘের বাজার থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক যেতে রিকশা বা অটোরিকশা ভাড়া লাগবে ২০-৪০ টাকা। এ ছাড়া গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে বাঘের বাজার যাওয়ার জন্য কিছু হিউম্যান হলার রয়েছে। সেগুলোতে বাঘের বাজার গিয়ে রিকশা বা অটোরিকমাতে সাফারি পার্ক যেতে পারবেন। দেশের অন্য কনে প্রান্ত থেকে আসতে চাইলে চলে আসুন গাজীপুর চৌরাস্তা। তারপর চলে যান আপনার পছন্দমতো যানবাহন দিয়ে।