ঢাকা ০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভালোবাসার যে গল্প সিনেমাকেও হার মানিয়েছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:২৯:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০১৯
  • ২৩৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইংল্যান্ডের ল্যাঙ্কাশায়ারের একই হাসপাতালে, একই দিন জন্ম তাঁদের দুজনের। তাঁরা উভয়ই আবার যমজ হিসেবে জন্মেছিলেন। ২৩ বছরের মাথায় ওই যুগল বসলেন বিয়ে পিঁড়িতে। জমস বার্সবি ও অ্যামি গাফনি নামের এই নবদম্পতির একসঙ্গে জীবন শুরুর এই কাহিনি সিনেমার দারুণ রোমান্টিক গল্পকেও হার মানিয়েছে। বার্সবি ও গাফনির জন্ম ১৯৯৫ সালে ল্যাঙ্কাশায়ারের ব্ল্যাকবার্নের কুইন্স পার্ক হাসপাতালে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার আগ–পিছ করে।

বেড়ে ওঠা ক্লিদারোতে। পড়েছেন একই বিদ্যালয়ে। একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন চিকিৎসাশাস্ত্রে। এই যুগল জুনিয়র চিকিৎসক হিসেবে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসে (এনএইচএস) একসঙ্গে কাজও শুরু করতে যাচ্ছেন। তবে ১০ বছর বয়সের আগে বার্সবি ও গাফনি একে অপরকে চিনতেন না। এরপর থেকে তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং শুরু হয় ঘোরাঘুরি ও একান্তে সময় কাটানো। সম্প্রতি সলসবেরির সেন্ট পিটার চার্চে গিয়ে তাঁরা বিয়ে করেন। বর্তমানে স্লোভেনিয়ায় মধুচন্দ্রিমা উদ্‌যাপন করছেন তাঁরা।

এই অনন্য সম্পর্কের শুরুর বিষয়ে গাফনি বলেন, ‘অন্য আর সাধারণের মতোই আমাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমি এটাকে অন্যভাবে নিইনি। এমনকি একই দিন জন্মদিন, সেটাও আমি কখনো গনায় ধরিনি। যখন আমরা বড় হতে থাকি, তখন আমরা আমাদের যমজ ভাইদের সঙ্গে আমাদের জন্মদিনের বিষয় সব সময় আলোচনা করতাম।

আর এখন আমরা একে অন্যের সঙ্গে আলোচনা করি।’ গাফনি বলেন, আটলান্টিক মহাসাগরের দ্বীপ লানজারোতে বেড়াতে গিয়ে বার্সবিই তাঁকে ভালোবাসার প্রস্তাব দেন। তাতেই রাজি হয়ে যান তিনি।

প্রস্তাবের বিষয়ে গাফনি আরও বলেন, ‘এটা ছিল সত্যিই সুন্দর। সে এক হাঁটু গেড়ে আমাকে ভালোবাসার প্রস্তাব দেয়। তখন এমন পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল যে না বলার কোনো উপায় ছিল না। বিশেষ ওই স্থানে আমাকে নিয়ে যাওয়ার সময়ই আমি এই রকম একটি রোমান্টিক অবস্থা আঁচ করতে পারছিলাম। কিন্তু আমি খুবই খুশি হয়েছিলাম।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

ভালোবাসার যে গল্প সিনেমাকেও হার মানিয়েছে

আপডেট টাইম : ০২:২৯:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইংল্যান্ডের ল্যাঙ্কাশায়ারের একই হাসপাতালে, একই দিন জন্ম তাঁদের দুজনের। তাঁরা উভয়ই আবার যমজ হিসেবে জন্মেছিলেন। ২৩ বছরের মাথায় ওই যুগল বসলেন বিয়ে পিঁড়িতে। জমস বার্সবি ও অ্যামি গাফনি নামের এই নবদম্পতির একসঙ্গে জীবন শুরুর এই কাহিনি সিনেমার দারুণ রোমান্টিক গল্পকেও হার মানিয়েছে। বার্সবি ও গাফনির জন্ম ১৯৯৫ সালে ল্যাঙ্কাশায়ারের ব্ল্যাকবার্নের কুইন্স পার্ক হাসপাতালে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার আগ–পিছ করে।

বেড়ে ওঠা ক্লিদারোতে। পড়েছেন একই বিদ্যালয়ে। একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন চিকিৎসাশাস্ত্রে। এই যুগল জুনিয়র চিকিৎসক হিসেবে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসে (এনএইচএস) একসঙ্গে কাজও শুরু করতে যাচ্ছেন। তবে ১০ বছর বয়সের আগে বার্সবি ও গাফনি একে অপরকে চিনতেন না। এরপর থেকে তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং শুরু হয় ঘোরাঘুরি ও একান্তে সময় কাটানো। সম্প্রতি সলসবেরির সেন্ট পিটার চার্চে গিয়ে তাঁরা বিয়ে করেন। বর্তমানে স্লোভেনিয়ায় মধুচন্দ্রিমা উদ্‌যাপন করছেন তাঁরা।

এই অনন্য সম্পর্কের শুরুর বিষয়ে গাফনি বলেন, ‘অন্য আর সাধারণের মতোই আমাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমি এটাকে অন্যভাবে নিইনি। এমনকি একই দিন জন্মদিন, সেটাও আমি কখনো গনায় ধরিনি। যখন আমরা বড় হতে থাকি, তখন আমরা আমাদের যমজ ভাইদের সঙ্গে আমাদের জন্মদিনের বিষয় সব সময় আলোচনা করতাম।

আর এখন আমরা একে অন্যের সঙ্গে আলোচনা করি।’ গাফনি বলেন, আটলান্টিক মহাসাগরের দ্বীপ লানজারোতে বেড়াতে গিয়ে বার্সবিই তাঁকে ভালোবাসার প্রস্তাব দেন। তাতেই রাজি হয়ে যান তিনি।

প্রস্তাবের বিষয়ে গাফনি আরও বলেন, ‘এটা ছিল সত্যিই সুন্দর। সে এক হাঁটু গেড়ে আমাকে ভালোবাসার প্রস্তাব দেয়। তখন এমন পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল যে না বলার কোনো উপায় ছিল না। বিশেষ ওই স্থানে আমাকে নিয়ে যাওয়ার সময়ই আমি এই রকম একটি রোমান্টিক অবস্থা আঁচ করতে পারছিলাম। কিন্তু আমি খুবই খুশি হয়েছিলাম।’