ঢাকা ০৭:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতীয় নমুনা ওষুধে মশা মরেছে সর্বোচ্চ ২৬ শতাংশ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:২১:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০১৯
  • ১৯১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশা নিধনে কার্যকর ওষুধ অনুসন্ধানে প্রথম নমুনা পরীক্ষায় (স্যাম্পল টেস্ট) সাফল্য মিলেনি। ভারতের মুম্বাই থেকে জসিম উদ্দিন সবুজ নামে একজন ঠিকাদার পরীক্ষামূলকভাবে ২৫ লিটার নতুন ওষুধ এনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) সরবরাহ করেন। ‘বায়ার করপোরেশন’ কোম্পানির এই ওষুধেরই কার্যকারিতা জানতে নমুনা পরীক্ষা চালানো হয় নগরভবনে। এসময় মশারিতে তৈরি তিনটি খাঁচার প্রতিটিতে ৫০টি করে মশা রেখে নতুন ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। আধঘণ্টা পর দেখা যায় খাঁচাগুলোয় যথাক্রমে ২২, ২৬ ও ১৮ শতাংশ মশা মারা গেছে।

ডিএসসিসির কর্মকর্তারা জানান, রাজধানীতে মশা নিধনে দীর্ঘদিন ধরে যে ওষুধ ব্যবহার করে আসছিল সিটি করপোরেশন, পরীক্ষা নিরীক্ষায় সেই ওষুধ অকার্যকর প্রমানিত হওয়ায় বিভিন্ন উৎস থেকে মশা মারার নতুন ওষুধ সংগ্রহ করা হচ্ছে। সংগ্রহকৃত নতুন একটি ওষুধ নিয়ে শুক্রবার বিশেষজ্ঞদের নিয়ে মাঠপর্যাযে এ পরীক্ষা চালানো হয়েছে।

তারা জানান, নগর ভবনের মূল ফটকের পাশে নতুন ওষুধের এ নমুনা পরীক্ষার অংশ হিসেবে প্রথমে তিনটি মশারির খাঁচাতে ৫০টি করে মশা রাখা হয়। এরপর খাঁচা থেকে তিন ফুট দূরত্ব থেকে ফগার মেশিন কাঁধে নিয়ে সিটি করপোরেশনের একজন মশকনিধনকর্মী খাঁচার দিকে ওষুধ ছিটান। নতুন ওষুধে সাফল্য না পাওয়ায় নগরভবনের কমকর্তারা হতাশ হয়েছেন।

ডিএসসিসি সূত্র জানিয়েছে, মশা মারার এই নমুনা ওষুধ বিদেশ থেকে আনা হয়েছে। তা এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে আছে। ‘বায়ার করপোরেশন’ কোম্পানির এই মশার ওষুধের ৩০ মিনিট পরীক্ষা শেষে সর্বোচ্চ ২৬ শতাংশ মশা মারা গেছে। পরীক্ষার ২৪ ঘণ্টা শেষে মাঠপর্যায়ে ওষুধের গুণগত মানের চূড়ান্ত ফলাফল জানা যাবে।

জানতে চাইলে ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্যকর্মকর্তা ব্রি. জেনারেল ডা. মো: শরীফ আহমেদ বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা নতুন ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করেছি। এটি পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রাথমিক ফলাফল সন্তোষজনক না হলেও পুরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না। চুড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল পেতে কিছুটা সময় লাগবে। ফলাফল হাতে পেলে আমরা সবাইকে জানাব।

এ সময় কলকাতা থেকে আসা গবেষণা দলের শুভ দে বলেন, মশার ওষুধ বৃষ্টির মধ্যে ছিটানো যাবে না। এ ছাড়া ১৫ কিলোমিটার বেগে যখন বাতাস প্রবাহিত হয় তখনো মশার ওষুধ ছিটানো থেকে বিরত থাকতে হবে। আর বায়ার করপোরেশনের ওষুধ মশা নিধনে কার্যকর। মশার ওষুধে যেন পরিবেশের ক্ষতি না হয় সে দিকে লক্ষ রাখত হবে। নতুন মশার ওষুধে মশা মরতে সর্বোচ্চ ২৪ ঘণ্টা লাগবে বলে তিনি জানান।

মশার ওষুধ পরীক্ষার সময়ে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, সচিব মোস্তফা কামাল মজুমদার, প্রধান ভাণ্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা মো: নুরুজ্জামানসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারতীয় নমুনা ওষুধে মশা মরেছে সর্বোচ্চ ২৬ শতাংশ

আপডেট টাইম : ০৫:২১:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশা নিধনে কার্যকর ওষুধ অনুসন্ধানে প্রথম নমুনা পরীক্ষায় (স্যাম্পল টেস্ট) সাফল্য মিলেনি। ভারতের মুম্বাই থেকে জসিম উদ্দিন সবুজ নামে একজন ঠিকাদার পরীক্ষামূলকভাবে ২৫ লিটার নতুন ওষুধ এনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) সরবরাহ করেন। ‘বায়ার করপোরেশন’ কোম্পানির এই ওষুধেরই কার্যকারিতা জানতে নমুনা পরীক্ষা চালানো হয় নগরভবনে। এসময় মশারিতে তৈরি তিনটি খাঁচার প্রতিটিতে ৫০টি করে মশা রেখে নতুন ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। আধঘণ্টা পর দেখা যায় খাঁচাগুলোয় যথাক্রমে ২২, ২৬ ও ১৮ শতাংশ মশা মারা গেছে।

ডিএসসিসির কর্মকর্তারা জানান, রাজধানীতে মশা নিধনে দীর্ঘদিন ধরে যে ওষুধ ব্যবহার করে আসছিল সিটি করপোরেশন, পরীক্ষা নিরীক্ষায় সেই ওষুধ অকার্যকর প্রমানিত হওয়ায় বিভিন্ন উৎস থেকে মশা মারার নতুন ওষুধ সংগ্রহ করা হচ্ছে। সংগ্রহকৃত নতুন একটি ওষুধ নিয়ে শুক্রবার বিশেষজ্ঞদের নিয়ে মাঠপর্যাযে এ পরীক্ষা চালানো হয়েছে।

তারা জানান, নগর ভবনের মূল ফটকের পাশে নতুন ওষুধের এ নমুনা পরীক্ষার অংশ হিসেবে প্রথমে তিনটি মশারির খাঁচাতে ৫০টি করে মশা রাখা হয়। এরপর খাঁচা থেকে তিন ফুট দূরত্ব থেকে ফগার মেশিন কাঁধে নিয়ে সিটি করপোরেশনের একজন মশকনিধনকর্মী খাঁচার দিকে ওষুধ ছিটান। নতুন ওষুধে সাফল্য না পাওয়ায় নগরভবনের কমকর্তারা হতাশ হয়েছেন।

ডিএসসিসি সূত্র জানিয়েছে, মশা মারার এই নমুনা ওষুধ বিদেশ থেকে আনা হয়েছে। তা এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে আছে। ‘বায়ার করপোরেশন’ কোম্পানির এই মশার ওষুধের ৩০ মিনিট পরীক্ষা শেষে সর্বোচ্চ ২৬ শতাংশ মশা মারা গেছে। পরীক্ষার ২৪ ঘণ্টা শেষে মাঠপর্যায়ে ওষুধের গুণগত মানের চূড়ান্ত ফলাফল জানা যাবে।

জানতে চাইলে ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্যকর্মকর্তা ব্রি. জেনারেল ডা. মো: শরীফ আহমেদ বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা নতুন ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করেছি। এটি পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রাথমিক ফলাফল সন্তোষজনক না হলেও পুরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না। চুড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল পেতে কিছুটা সময় লাগবে। ফলাফল হাতে পেলে আমরা সবাইকে জানাব।

এ সময় কলকাতা থেকে আসা গবেষণা দলের শুভ দে বলেন, মশার ওষুধ বৃষ্টির মধ্যে ছিটানো যাবে না। এ ছাড়া ১৫ কিলোমিটার বেগে যখন বাতাস প্রবাহিত হয় তখনো মশার ওষুধ ছিটানো থেকে বিরত থাকতে হবে। আর বায়ার করপোরেশনের ওষুধ মশা নিধনে কার্যকর। মশার ওষুধে যেন পরিবেশের ক্ষতি না হয় সে দিকে লক্ষ রাখত হবে। নতুন মশার ওষুধে মশা মরতে সর্বোচ্চ ২৪ ঘণ্টা লাগবে বলে তিনি জানান।

মশার ওষুধ পরীক্ষার সময়ে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, সচিব মোস্তফা কামাল মজুমদার, প্রধান ভাণ্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা মো: নুরুজ্জামানসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।