হাওর বার্তা ডেস্কঃ সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল সম্পর্কিত তথ্য স্পষ্টীকরণ করে ব্যাখ্যা দিয়েছে সরকার। সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে সব কোটা বাতিলের পর মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় মুক্তিযোদ্ধা কোটার ব্যাপারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছিল।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি-১ শাখা থেকে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর পরিপত্রে বলা হয়েছিল, ‘৯ম গ্রেড (পূর্বতন ১ম শ্রেণি) এবং ১০ম-১৩তম গ্রেড (পূর্বতন ২য় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধা তালিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। ওই পদসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলো’ এ মর্মে পরিপত্র জারি করায় কোটা পদ্ধতি বিদ্যমান নেই।
ওই বছরের ৫ এপ্রিলের স্মারক অনুযায়ী, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো বিশেষ কোটার (মুক্তিযোদ্ধা, নারী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, এতিম ও শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা সদস্য) কোনো পদ যোগ্য প্রার্থীর অভাবে পূরণ করা সম্ভব না হলে অপূর্ণ পদসমূহ জেলার প্রাপ্যতা অনুযায়ী স্ব স্ব জেলার সাধারণ প্রার্থীদের মধ্য থেকে মেধা তালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করতে হবে।
স্পষ্টীকরণের নির্দেশনা মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব, মহা পুলিশ পরিদর্শক, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে ৫৬ শতাংশ কোটা বাতিল করা হয়। তবে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে যে কোটা ব্যবস্থা আছে তা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত হয়।