হাওর বার্তা ডেস্কঃ উন্নাওয়ের ধর্ষিতার গাড়িকে ট্রাকের ধাক্কা মারার ঘটনায় নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এর আগে উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি ওপি সিং জানিয়েছেন, ধর্ষিতার আত্মীয়রা ওই ঘটনার সিবিআই তদন্ত চাইলে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এই দুর্ঘটনার তদন্তের ভার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে তুলে দেবে। তবে সিবিআই তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
এই ঘটনাকে শকিং বলে আখ্যা দিয়ে প্রিয়াঙ্কা টুইটে লিখেছেন, উন্নাও ধর্ষিতার সড়ক দুর্ঘটনা চমকে দেওয়ার মতো। এই মামলার সিবিআই তদন্ত কতদূর পৌঁছল? অভিযুক্ত বিধায়ক এখনো বিজেপিতে কীভাবে আছেন? ধর্ষিতা ও সাক্ষীদের সুরক্ষায় গলদ কেন? এই প্রশ্নগুলির জবাব ছাড়া বিজেপির সরকারের থেকে কি ন্যায়বিচারের কোনো আশা করা যায়? এর পাশাপাশি, উন্নাওয়ের ধর্ষিতার সঙ্গে সবসময় একজন বন্দুকধারী ও দুজন মহিলা পুলিশকর্মীর থাকার কথা। দুর্ঘটনার সময় তারা কেন ছিলেন না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন প্রিয়াঙ্কা।
যদিও উত্তরপ্রদেশের ডিজিপির দাবি, গাড়িতে জায়গা কম থাকায় নিগৃহীতা নিজেই তার নিরাপত্তা রক্ষীদের রায়বরেলির পথে তার সঙ্গে যেতে বারণ করেছিলেন। তার সুরক্ষায় নিযুক্ত করা হয়েছিল ১০ নিরাপত্তা কর্মীকে। সাতজন তার বাড়িতে পাহারা দেওয়ার কথা। আর তিনজন সবসময় তার সঙ্গে থাকার কথা।
অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি ওপি সিং জানিয়েছেন নির্যাতিতা এখন বিপন্মুক্ত বলে। তার মৃত মা এবং কাকিমার দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ডিজিপির কথায়, প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনা বলেই মনে হচ্ছে। তবে পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে একটি দল বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক দল। এখনো আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি উন্নাওয়ের গণধর্ষিতা।
রোববার বিকেলে উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলিতে তার গাড়িকে মুখোমুখি ধাক্কা মারে একটি ট্রাক। তিনি ছাড়াও গাড়ির আরো দুই আরোহী তার মা, কাকিমা ও আইনজীবী মহেন্দ্র সিং গুরুতর আহত হন। পরে মা ও কাকিমার মৃত্যু হয়। লখনউয়ের কিং জর্জ মেডিকেল ইউনিভার্সিটি ট্রমা সেন্টারে চিকিত্সা চলছে উন্নাওয়ের ধর্ষিতার।
গত বছর দেশজুড়ে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল উন্নাও গণধর্ষণ কাণ্ড। ১৬ বছরের এক কিশোরী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বাড়ির সামনে প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন। নিজের গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন ১৬ বছরের ওই কিশোরী। তার অভিযোগ ছিল, ২০১৭ সালে চাকরির জন্য বিজেপি বিধায়ক কুলদ্বীপ সেঙ্গারের বাড়িতে গেলে সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়। অভিযোগ, মেয়েটির বাবাকে পুলিশ আটক করার পর কুলদ্বীপ সেঙ্গারের বেধড়ক মারে তার মৃত্যু হয়। কিছুদিন পর কুলদ্বীপ ও তার ভাইকে গ্রেফতার করা হয়।