ঢাকা ০৭:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দলভিত্তিক নির্বাচনের অধ্যাদেশ জারি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০০:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ নভেম্বর ২০১৫
  • ৩৯৫ বার

দলভিত্তিক স্থানীয় সরকার পৌরসভা নির্বাচনের আইন সংশোধনের অধ্যাদেশ আগামীকাল রোববার জারি করবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় সূত্রে এ তথ্য জানাযায়। সূত্র জানায়,মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর আইন মন্ত্রনালয়ের ভোটিং শেষে প্রস্তাবিত সংশোধনী রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। কাল রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলে দলভিত্তিক স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আইন সংশোধনের অধ্যাদেশ জারি হবে।

এ সংশোধনী হলে, আইন সংশোধনেরপর সংসদ নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতেও রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অংশ নিতে পারবেন।

যদি কোনো জটিলতায় ইসি নির্বাচন না করতে পারে, অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য প্রশাসক নিয়োগ করা হবে। এটা বর্তমানে সিটি করপোরেশনে আছে।এখন এই বিধান প্রতিটি আইনে যুক্ত করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত সংশোধনীতে বিদ্যমান স্থানীয় সরকার পৌরসভা আইনের ‘সংজ্ঞা’ সংক্রান্ত ধারা-২ নতুন দফা যুক্ত হবে ক্রমিক (৭০) রাজনৈতিক দল অর্থ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবন্ধিত কোনো রাজনৈতিক দল; (৭১) স্বতন্ত্র প্রার্থী অর্থ যিনি নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কর্তৃক মনোনয়ন গ্রহণ করেন নাই বা যাহাকে নির্বাচন কমিশন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কর্তৃক মনোনয়ন প্রদান করা হয় নাই।

মেয়র ও কাউন্সিলরের যোগ্যতা-অযোগ্যতা সংক্রান্ত ১৯ ধারার উপ ধারা (১) এ নতুন করে সংযোজন হবে (ঙ) নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কর্তৃক মনোনীত প্রার্থী হন বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হন।

নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত ২১ ধারার উপধারা (১) এর সংশোধনে নতুন দফা সন্নিবেশ হবে (খখ) নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কর্তৃক মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়।

অবস্থা বিশেষে প্রশাসক নিয়োগের বিধানটি রয়েছে ৪২ ধারায়। নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন না হয়ে পৌরসভার মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রশাসক নিয়োগের বিষয়টিও এ ধারার উপধারা (১) এ সন্নিবেশ করতে হবে।

মন্ত্রিসভায় এ ধরনের সংশোধনীর পর ভেটিংয়ে আরো নতুন কিছু যুক্তও হয়ে থাকতে পারেন বলে জানান সংস্লিষ্ঠ একাধিক কর্মকর্তা।
অধ্যাদেশের পর স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য শর্তারোপ ও আচরণবিধিতে পরিবর্তেনের বিষয়গুলো ইসিকে করতে হবে।

প্রসঙ্গত,গত ১২ অক্টোবর নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন ও প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের জন্য পাঁচটি আইন সংশোধনের প্রস্তাবে সম্মতি দেয় সরকার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ওই মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশনের নির্বাচন আইন সংশোধনের খসড়ায় নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

দলভিত্তিক নির্বাচনের অধ্যাদেশ জারি

আপডেট টাইম : ১২:০০:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ নভেম্বর ২০১৫

দলভিত্তিক স্থানীয় সরকার পৌরসভা নির্বাচনের আইন সংশোধনের অধ্যাদেশ আগামীকাল রোববার জারি করবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় সূত্রে এ তথ্য জানাযায়। সূত্র জানায়,মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর আইন মন্ত্রনালয়ের ভোটিং শেষে প্রস্তাবিত সংশোধনী রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। কাল রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলে দলভিত্তিক স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আইন সংশোধনের অধ্যাদেশ জারি হবে।

এ সংশোধনী হলে, আইন সংশোধনেরপর সংসদ নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতেও রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অংশ নিতে পারবেন।

যদি কোনো জটিলতায় ইসি নির্বাচন না করতে পারে, অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য প্রশাসক নিয়োগ করা হবে। এটা বর্তমানে সিটি করপোরেশনে আছে।এখন এই বিধান প্রতিটি আইনে যুক্ত করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত সংশোধনীতে বিদ্যমান স্থানীয় সরকার পৌরসভা আইনের ‘সংজ্ঞা’ সংক্রান্ত ধারা-২ নতুন দফা যুক্ত হবে ক্রমিক (৭০) রাজনৈতিক দল অর্থ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবন্ধিত কোনো রাজনৈতিক দল; (৭১) স্বতন্ত্র প্রার্থী অর্থ যিনি নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কর্তৃক মনোনয়ন গ্রহণ করেন নাই বা যাহাকে নির্বাচন কমিশন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কর্তৃক মনোনয়ন প্রদান করা হয় নাই।

মেয়র ও কাউন্সিলরের যোগ্যতা-অযোগ্যতা সংক্রান্ত ১৯ ধারার উপ ধারা (১) এ নতুন করে সংযোজন হবে (ঙ) নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কর্তৃক মনোনীত প্রার্থী হন বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হন।

নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত ২১ ধারার উপধারা (১) এর সংশোধনে নতুন দফা সন্নিবেশ হবে (খখ) নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কর্তৃক মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়।

অবস্থা বিশেষে প্রশাসক নিয়োগের বিধানটি রয়েছে ৪২ ধারায়। নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন না হয়ে পৌরসভার মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রশাসক নিয়োগের বিষয়টিও এ ধারার উপধারা (১) এ সন্নিবেশ করতে হবে।

মন্ত্রিসভায় এ ধরনের সংশোধনীর পর ভেটিংয়ে আরো নতুন কিছু যুক্তও হয়ে থাকতে পারেন বলে জানান সংস্লিষ্ঠ একাধিক কর্মকর্তা।
অধ্যাদেশের পর স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য শর্তারোপ ও আচরণবিধিতে পরিবর্তেনের বিষয়গুলো ইসিকে করতে হবে।

প্রসঙ্গত,গত ১২ অক্টোবর নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন ও প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের জন্য পাঁচটি আইন সংশোধনের প্রস্তাবে সম্মতি দেয় সরকার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ওই মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশনের নির্বাচন আইন সংশোধনের খসড়ায় নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।