হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি কয়েকদিনের মধ্যেই অবসর নেবেন বিশ্ব ক্রিকেট থেকে। এই নিয়ে চলছে জোর জল্পনা। আর তার মাঝেই আবারও খবরের শিরোনামে হলেন ধোনি। তবে এবার নিজের কাজের জন্য নয়। আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ধোনির স্ত্রীর কোম্পানির বিরুদ্ধে।
এদিকে ভারতে ধোনিকে সবাই মাহি ও ধোনির স্ত্রী সাক্ষীকে ঋতি নামেও চেনেন। আম্রপালী মাহি ডেভেলপমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে ডিরেক্টর সাক্ষী ধোনি। আর ধোনি এই কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন ২০১৬-র এপ্রিল পর্যন্ত। পরে ক্রেতাদের বাড়ি না পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে চাপ তৈরি হওয়ায় সরে আসেন ধোনি।
কলকাতার জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার সূত্রে জানা যায়, টাকা নিয়েও সময়ে ক্রেতাদের হাতে বাড়ির চাবি তুলে দিচ্ছে না, এমনই অভিযোগ ওঠে আম্রপালী গ্রুপের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে সরকারি নির্মাণ সংস্থা এনবিসিসিকে দায়িত্ব দিয়েছে, ওই গৃহ প্রকল্পগুলোর দায়িত্ব হাতে নিয়ে সময় মতো শেষ করতে।
চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এলো এই আম্রপালী মামলায়। ফরেন্সিক অডিটর পবন কুমার আগরওয়াল ও রবীন্দ্র ভাটিয়া সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছেন, আম্রপালী ঋতি স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড ও আম্রপালী মাহি ডেভেলপমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে অনৈতিক চুক্তি করেছিল।
দেশটির সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও ইউ ইউ ললিতের ডিভিশন বেঞ্চকে মঙ্গলবার ফরেন্সিক অডিট রিপোর্টে জানানো হয়েছে, গৃহ প্রকল্পের ক্রেতাদের টাকা বেআইনিভাবে ঋতি স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট তার রায়ে জানিয়েছিল, ২৩টি কোম্পানি তৈরি করা হয়েছিল এই প্রকল্পের টাকা অন্য পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কোম্পানিগুলো তৈরি হয়েছিল অফিসের কাজের লোক, যাদের বিশেষ কোনো আয় নেই এমন লোকেদের নামে। এই ২৩টি কোম্পানির মধ্যে রয়েছে আম্রপালী মাহি এবং আম্রপালী মিডিয়া ডিভিশন প্রাইভেট লিমিটেড।
ফরেন্সিক অডিট রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, আম্রপালী গ্রুপ থেকে ঋতি, ২০০৯ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে মোট ৪২ দশমিক ২২ কোটি টাকা পেয়েছে। যার মধ্যে আম্রপালী স্যাফাইয়ার ডেভলপমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডকে দেওয়া হয়েছে ৬ দশমিক ৫২ কোটি টাকা। কেন ঋতিকে এত টাকা দেওয়া হল তা পরিষ্কার নয়।