হাওর বার্তা ডেস্কঃ অধ্যায়-২ : ব্রিটিশ শাসন
১. এ বিদ্রোহ প্রায় ১,০০,০০০ ভারতীয় মারা যায়।
২. ২০ শতক পর্যন্ত ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলতে থাকে। শিক্ষা প্রসার এবং নবজাগরণের ফলে দেশেপ্রেমের চেতনা বিস্তার লাভ করে। ১৮৮৫ সালে ‘ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস’ নামে রাজনৈতিক দল গঠিত হয়।
৩. ব্রিটিশরা ভারতীয় জাতীয় চেতনার প্রসারে ভীত হয়ে পড়ে এবং ১৯০৫ সালে বাংলা প্রদেশকে ভাগ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, একে বঙ্গভঙ্গ বলে।
৪. আসামকে অন্তর্ভুক্ত করে পূর্ববাংলা অঞ্চল গঠিত হয়। কিন্তু এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হলে ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ করা হয় অর্থাৎ দুই বাংলাকে একত্রিত করে দেয়া হয়।
৫. রাজনৈতিক আন্দোলনের পরবর্তী ধাপ ছিল ১৯০৬ সালে ভারতীয় মুসলিম লীগ নামে রাজনৈতিক দল গঠন।
৬. লেখকের কবিতা, গান ও লেখার মধ্য দিয়ে বাঙালির স্বাধীতার চেতনা আরও বেগবান হয়।
৭. অবশেষে ১৯৪৭ সালে ইংরেজরা ভারত ত্যাগ করতে বাধ্য হয় এবং পাকিস্তান ও ভারত নামে দুটি আলাদা রাষ্ট্রের জন্ম হয়।
অধ্যায়-৩ : বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান ও নিদর্শন
১. মহাস্থানগর: খ্রিস্টপূর্ব ৪০০ অব্দ থেকে ১৫০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রায় ১৯০০ বছরের ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে এ নিদর্শন।
২. মৌর্য আমলে এ স্থানটি ‘পুন্ড্রনগর’ নামে পরিচিত ছিল।
৩. বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার উত্তরে করতোয়া নদীর তীরে মহাস্থানগড় অবস্থিত।
৪. উয়ারী-বটেশ্বর: নরসিংদী জেলার উয়ারী ও বটেশ্বর নামক দুটি গ্রামে খ্রিস্টপূর্ব ৪৫০ অব্দের মৌর্য আমলের নিদর্শন পাওয়া গেছে। এই সভ্যতাটি সমুদ্র বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল।
৫. পাহাড়পুর: ৭৮১-৮২১ খ্রিস্টাব্দে পাল রাজা ধর্মপালের শাসনামলে নির্মিত হয়। পাহাড়পুর রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ জেলায় অবস্থিত। এখানে ২৪ মিটার উঁচু গড় রয়েছে, এটি ‘সোমপুর মহাবিহার’ নামেও পরিচিত। ১৭৭টি গোপন কুঠুরি আছে।
৬. ময়নামতি: অষ্টম শতকের রাজা মাণিক চন্দ্রের স্ত্রী ময়নামতির কাহিনী ও জায়গার ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের কুমিল্লা শহরের কাছে ময়নামতি অবস্থিত। এটি বৌদ্ধ সভ্যতার অন্যতম কেন্দ্র ছিল।
৭. সোনারগাঁ: সোনারগাঁ ও লালবাগ কেল্লা সতের শতকের ইতিহাসের নিদর্শন। সোনারগাঁ ঢাকার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলায় মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত। সোনারগাঁ প্রাচীন বাংলার মুসলমান সুলতানদের রাজধানী ছিল।
৮. ১৬১০ সালে এক যুদ্ধে ঈসা খাঁর পুত্র মুসা খাঁ পরাজিত হওয়ার পর সোনারগাঁয়ের পরিবর্তে ঢাকায় রাজধানী স্থাপন করা হয়। উনিশ শতকে হিন্দু বণিকদের সুতা বাণিজ্যের কেন্দ্র হিবেবে এখানে পানাম নগর গড়ে ওঠে।
৯. সোনারগাঁয়ের গৌরব ধরে রাখার জন্য শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন ১৯৭৫ সালে এখানে একটি লোকশিল্প জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেন।
১০. লালবাগ কেল্লা: ঢাকার দক্ষিণ-পশ্চিমে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে ১৬২৮ খ্রিস্টাব্দে লালবাগ কেল্লা নির্মাণ করা হয়।
আওরঙ্গজেবের পুত্র শাহজাদা মোহাম্মদ আযম শাহ্ এই দুর্গটির নির্মাণ কাজ শুরু করলেও শেষ করতে পারেননি।
দুর্গটি সম্পূর্ণ ইটের তৈরি। দুর্গের মাঝখানে খোলা জায়গায় মোগল শাসকরা তাঁবু টানিয়ে বসবাস করতেন। দুর্গের দক্ষিণে গোপন প্রবেশপথ এবং একটি তিন গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ রয়েছে।
মোস্তাফিজুর রহমান সাবেক শিক্ষক, ক্যামব্রিয়ান কলেজ, ঢাকা।