হাওর বার্তা ডেস্কঃ তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উগ্রপন্থী মতাদর্শ ছড়ানো বন্ধে নিজেদের মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক সংস্কার আনতে যাচ্ছে পাকিস্তান। যার অংশ হিসেবে দেশটির ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে এরই মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে একমত হয়েছে পাক কর্তৃপক্ষ। শিক্ষামন্ত্রী শাফকাত মাহমুদ বলেছেন, ‘সরকারের এই সংস্কার কাজে অন্য কোনো ধর্ম কিংবা সম্প্রদায়ের প্রতি ঘৃণাসূচক উপাদান থাকবে না।’
কর্তৃপক্ষের বরাতে পাকিস্তানি গণমাধ্যম ‘দ্য ডন’ এই তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এশিয়ার মুসলিম অধ্যুষিত দেশ পাকিস্তানে প্রায় ৩০ হাজারেরও অধিক মাদ্রাসা রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে দেশটির বেশিরভাগ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে এই মাদ্রাসায় যাওয়াই হচ্ছে একমাত্র শিক্ষালাভের সুযোগ।
পাক শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘খুব শিগগিরই এই মাদ্রাসাগুলোকে নিবন্ধিত করা হবে। এর পর সেখানে গণিত, ইংরেজি ও বিজ্ঞানের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পড়ানো হবে। আমরা আশা করছি, মাদ্রাসাগুলোর নতুন এই পাঠ্যসূচি এমনভাবে তৈরি হবে; যাতে করে এখান থেকে পাস করার পর শিক্ষার্থীরা ভালো চাকরি করতে পারবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, দেশটির বেশিরভাগ মাদ্রাসার বিরুদ্ধে উগ্রপন্থী দৃষ্টিভঙ্গি প্রচার করা হয় বলে এরই মধ্যে অভিযোগ উঠছে। তাছাড়া সেখান থেকে উগ্রপন্থায় দীক্ষিত হয়ে তরুণরা আঞ্চলিক জঙ্গি গ্রুপগুলোতে যোগ দেয় বলেও দাবি বিভিন্ন সংগঠনের। যার অংশ হিসেবে এর আগেও পাকিস্তানের বিভিন্ন সরকার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় সংস্কার আনার উদ্যোগ নিয়েছিল। যদিও দেশটির ধর্মীয় নেতাদের বাধার কারণে বারংবার সেই উদ্যোগ ব্যাহত হয়।