আবারও আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম বেড়েছে । ডলারের অবমূল্যায়নে শুক্রবার দিনের শুরুতে পণ্যটির দাম সামান্য বাড়লেও তা রয়েছে তিন সপ্তাহে সর্বনিম্নের কাছাকাছি। যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) চলতি বছরেই সুদহার বাড়ানোর সম্ভাবনা চাপ সৃষ্টি করে চলেছে পণ্যটির দামে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগের বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) গত বছরের একই সময়ের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের মোট দেশজ উত্পাদন (জিডিপি) বেড়েছে ১ দশমিক ৫ শতাংশ। অন্যদিকে তা ১ দশমিক ৬ শতাংশে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা করেছিল দেশটির সরকার। দেশটিতে জিডিপি প্রবৃদ্ধির পরিমাণ প্রত্যাশার তুলনায় কম হওয়ার এ খবর প্রকাশের পর কমতে শুরু করে ডলারের বিনিময় মূল্য।
এর আগে বুধবার ফেড চলতি বছরেই যুক্তরাষ্ট্রে সুদহার বাড়ানোর সম্ভাবনা জানানোয় বাড়তে শুরু করেছিল ডলারের বিনিময় মূল্য। এ নিয়ে ডিসেম্বরের নীতিনির্ধারণী সভাতেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছে ফেড।
প্রসঙ্গত, স্বর্ণে বিনিয়োগ থেকে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা শুধু পণ্যটির দরবৃদ্ধি থেকে। বিনিয়োগে কোনো ধরনের সুদ না দেয়ায় পণ্যটি থেকে এ ছাড়া মুনাফার আর কোনো উপায় নেই। এ কারণে সাধারণ আর্থিক মন্দার সময়েই পণ্যটির বিনিয়োগ চাহিদা থাকে বাড়তির দিকে। এর বিপরীতে সাধারণত সুদহার বাড়ানোর পর সুদ প্রদানকারী আর্থিক সম্পত্তিগুলো থেকে মুনাফার সম্ভাবনা বাড়ে অনেক বেশি। ফলে এদের বিনিয়োগ চাহিদা বাড়তে থাকলেও কমতে থাকে স্বর্ণের।
নিউইয়র্কের কমোডিটি এক্সচেঞ্জে (কোমেক্স) শুক্রবার ডিসেম্বরে সরবরাহের চুক্তিতে দশমিক ১৭ শতাংশ বেড়ে স্বর্ণের কেনাবেচা হয় প্রতি আউন্স ১ হাজার ১৪৯ ডলার ৪০ সেন্টে। এর আগে বৃহস্পতিবার তা ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ কমে বিক্রি হয় প্রতি আউন্স ১ হাজার ১৪৭ ডলার ৩০ সেন্টে। খবর ইনভেস্টিং ডট কম।