ঢাকা ০৫:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

শুধু বাবুই পাখি নয়, প্রায় সব ধরনের পাখিই হারিয়ে যাচ্ছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩৬:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০১৯
  • ২৬৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ একটি সময় শহর কিংবা গ্রামে খড় তালগাছের কচিপাতা, ঝাউ ও কাশবনের লতাপাতা দিয়ে উঁচু তালগাছে দৃষ্টিনন্দন শৈল্পিক বাসা তৈরি করতো বাবুই পাখি। আবহমান গ্রাম বাংলায় সে অপরূপ মনোমুগ্ধকর দৃশ্যে চোখ জুড়াতো পথিকের। তবে সময়ের বিবর্তনে পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে কবি রজনীকান্ত সেনের কালজয়ী কবিতার সেই বাবুই পাখির বাসা। শুধু বাবুই পাখি নয়, প্রায় সব ধরনের পাখিই আজ হারিয়ে যাচ্ছে।

আর এ দুঃসময়ে বাবুই পাখির কলরবে মুখরিত হয়ে উঠেছে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার কাঁঠালডাঙ্গী, টেংরিয়া, ভাতুরিয়া ও রামপুর গ্রাম। প্রকৃতির অপরূপ শিল্পের কারিগর বাবুই পাখির বাসা বাতাসে দুলছে এ গ্রামগুলোতে। ভারত সীমান্তঘেঁষা গ্রামগুলোর তাল-নারিকেল, বট-পাখুরির গাছে গাছে দেখা মিলছে বাবুই পাখির শৈল্পিক অট্টালিকা। চোখ জুড়ানো মনোমুগ্ধকর এ দৃশ্য দেখতে ভিড় জমাচ্ছে দর্শনার্থী ও পাখি প্রেমিকরা।

রামপুর গ্রামের শামিরুল ইসলাম বলেন, নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে এসে এ গ্রামগুলোতে বাসা তৈরি করছে বাবুই পাখি। প্রকৃতির নৈসর্গিক এ দৃশ্য উপভোগের জন্য প্রতিদিন অনেকে আসছে গ্রামগুলোতে। বহরমপুর বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রাজাবুল হক বলেন, প্রাচীন বৃক্ষ নিধন, ফসলে কীটনাশক ব্যবহার আর জলবায়ুর পরিবর্তনে আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পাচ্ছে পাখির সংখ্যা। ফলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ ও সাহিত্য। হরিপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দীন বলেন, কীটনাশক ব্যবহারে পরিবেশ অসুস্থ হচ্ছে আর উৎপাদন খরচ বাড়ছে কৃষিতে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ক্যাটরিনার হাতে ২০ বার থাপ্পড় খেয়েছিলেন ইমরান খান

শুধু বাবুই পাখি নয়, প্রায় সব ধরনের পাখিই হারিয়ে যাচ্ছে

আপডেট টাইম : ০৬:৩৬:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ একটি সময় শহর কিংবা গ্রামে খড় তালগাছের কচিপাতা, ঝাউ ও কাশবনের লতাপাতা দিয়ে উঁচু তালগাছে দৃষ্টিনন্দন শৈল্পিক বাসা তৈরি করতো বাবুই পাখি। আবহমান গ্রাম বাংলায় সে অপরূপ মনোমুগ্ধকর দৃশ্যে চোখ জুড়াতো পথিকের। তবে সময়ের বিবর্তনে পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে কবি রজনীকান্ত সেনের কালজয়ী কবিতার সেই বাবুই পাখির বাসা। শুধু বাবুই পাখি নয়, প্রায় সব ধরনের পাখিই আজ হারিয়ে যাচ্ছে।

আর এ দুঃসময়ে বাবুই পাখির কলরবে মুখরিত হয়ে উঠেছে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার কাঁঠালডাঙ্গী, টেংরিয়া, ভাতুরিয়া ও রামপুর গ্রাম। প্রকৃতির অপরূপ শিল্পের কারিগর বাবুই পাখির বাসা বাতাসে দুলছে এ গ্রামগুলোতে। ভারত সীমান্তঘেঁষা গ্রামগুলোর তাল-নারিকেল, বট-পাখুরির গাছে গাছে দেখা মিলছে বাবুই পাখির শৈল্পিক অট্টালিকা। চোখ জুড়ানো মনোমুগ্ধকর এ দৃশ্য দেখতে ভিড় জমাচ্ছে দর্শনার্থী ও পাখি প্রেমিকরা।

রামপুর গ্রামের শামিরুল ইসলাম বলেন, নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে এসে এ গ্রামগুলোতে বাসা তৈরি করছে বাবুই পাখি। প্রকৃতির নৈসর্গিক এ দৃশ্য উপভোগের জন্য প্রতিদিন অনেকে আসছে গ্রামগুলোতে। বহরমপুর বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রাজাবুল হক বলেন, প্রাচীন বৃক্ষ নিধন, ফসলে কীটনাশক ব্যবহার আর জলবায়ুর পরিবর্তনে আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পাচ্ছে পাখির সংখ্যা। ফলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ ও সাহিত্য। হরিপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দীন বলেন, কীটনাশক ব্যবহারে পরিবেশ অসুস্থ হচ্ছে আর উৎপাদন খরচ বাড়ছে কৃষিতে।