হাওর বার্তা ডেস্কঃ পদ্মাসেতু তৈরির জন্য এক লাখ মানুষের মাথা সংগ্রহের গুজব ছড়িয়ে এবার নড়াইলে ধরা পড়লেন একজন ‘তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ’। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। কী উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি এটা ছড়িয়েছেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়। আটক শহিদুল ইসলাম সোহেলকে র্যাব আটক করেছে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মাকড়াইল গ্রাম থেকে। শুক্রবার সকালে তার বিরুদ্ধে লোহাগড়া থানায় বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় র্যাব-৬ এর এএসপি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল সোহেলকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে।
র্যাব জানায়, পদ্মা সেতু নির্মাণে মানুষের মাথা লাগবে বলে ভিডিও নির্মাণ করে দুটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার করেছেন সোহেল। তিনি যশোর শহরের শিশু হাসপাতাল এলাকায় একটি আইটি অফিসে কাজ করেন। তার কাছ থেকে একটি করে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ট্যাব, কম্পিউটার ও যন্ত্রাংশ জব্দ করা হয়েছে।
সোহেলের বাবা খসরুজ্জামান এ বিষয়ে বলেন, ‘আমি কৃষি কাজ করি; ইন্টারনেটের তেমন কিছু বুঝি না। শুনেছি আমার ছেলে সোহেল কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে পদ্মা সেতু নিয়ে কী সব গুজব ছড়িয়েছে।’
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোকাররম হোসেন সাংবাদিককে বলেন, ‘পদ্মা সেতু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে শহিদুল ইসলাম সোহেলকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।’
পদ্মাসেতুর জন্য মানুষের মাথা সংগ্রহের গুজব গত কিছুদিন ধরে এত বেশি ছড়াচ্ছে যে সরকারকে রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে বলতে হয়েছে এসব মিথ্যা। ফেসবুক ও ইউটিউবে পুরনো এবং অন্য ঘটনার ছবি জোড়া দিয়ে প্রচার করা হচ্ছে, দেশে ৪২টি দল বের হয়েছে মানুষের মাথা সংগ্রহে। কোথাও কোথাও ধরাও পড়েছেন কেউ কেউ।
পুলিশ সতর্ক করে বলেছে, যারা এসব গুজব ছড়াচ্ছে, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এরই মধ্যে একাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।