বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা ৭টি মামলায় কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শিল্পপতি শরীফুল আলমসহ ৯৬ বিএনপি নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে জেলা জজ আদালত।
বুধবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ মাহবুব উল আলম ও প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহমান শুনানি শেষে আসামিদের জামিন আবেদন বাতিল করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে জেলার বাজিতপুর, কুলিয়ারচর ও ভৈরব থানায় দায়েরকৃত সাতটি মামলার শতাধিক পলাতক আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
বিএনপি-জামায়াত জোটের হরতাল-অবরোধের সময় জালাও-পোড়াও এবং ভাঙচুরের ঘটনায় এসব মামলা দায়ের করা হয়।
এ দিকে বিপুল সংখ্যক আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করতে আসার খবরে শত শত দলীয় নেতাকর্মী আদালতে ভিড় করে। এসময় আদালত পাড়ায় বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়।
জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারাও সেখানে ভিড় করেন। জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অসীম সরকার বাধনসহ বিভিন্ন স্তরের নেতারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালতপাড়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়। দলীয় নেতাকর্মীদের সামাল দিতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। আসামিদের জামিন আবেদন বাতিল করায় আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। তবে শেষ পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, কুলিয়ারচর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৫টি ও ভৈরব থানায় দায়ের করা ২টি মামলায় শতাধিক আসামি দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের ভয়ে পালিয়ে ছিলেন। সকালে তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করলে কুলিয়ারচরের ৫০ জন এবং ভৈরবের ৪৬ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। পরে বেলা দেড়টার দিকে তাদেরকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।