আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা পরিষদের সদস্য, সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার আসামি আদালতে হাজির না হওয়ায় আজও সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। এ নিয়ে পরপর দুইবার পেছালো এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ।
বৃহস্পতিবার আদালতে সকল আসামি উপস্থিত না থাকায় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান সাক্ষ্যগ্রহণ করেননি। গত বুধবারও সব আসামি আদালতে হাজির না থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি বহুল আলোচিত এই মামলার।
এর আগে সকাল সাড়ে ১১টায় বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে কারাগারে আটক থাকা ১৪ আসামির মধ্যে হবিগঞ্জ পৌরসভার বরখাস্তকৃত মেয়র জিকে গউছসহ ৫ আসামিকে হাজির করা হয়।
তবে অনুপস্থিত ছিলেন মামলার অন্যতম আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবার, হুজির শীর্ষ জঙ্গি মুফতি আবদুল হান্নান ও সাবেক সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ বাকি আসামিরা।
সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর জানান, বৃহস্পতিবার আবদুর রউফ ও এরফান আলীসহ তিনজনের সাক্ষ্য দেয়ার কথা ছিল। তারা আদালতে উপস্থিতও ছিলেন। তবে পর্যাপ্ত আসামি হাজির না থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। আগামী ৪ ও ৫ নভেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
এদিকে, চাঞ্চল্যকর মামলার ৩২ আসামির মধ্যে ৮ জন জামিনে, ১৪ জন কারাগারে ও ১০ জন পলাতক রয়েছেন।
এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর আলোচিত এই মামলার স্বাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারিত ছিল। কিন্তু ওইদিন বাদিপক্ষ আদালতে সাক্ষীদের হাজির করতে না পারায় বিচারক ৩০ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন।
ওইদিন আদালতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদি, হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান। গত ২১ অক্টোবর আদালতে সাক্ষ্য দেন আরো তিন সাক্ষী আবদুল মতিন, আবদুল কাইয়ুম ও ঈমান আলী। মামলায় ১৭১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, টানা ৯ দফা পেছানোর পর গত ১৩ সেপ্টেম্বর প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জ (অভিযোগ) গঠন করা হয়। মামলার কারান্তরীণ সকল আসামির উপস্থিতিতে সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান চার্জ গঠন করেন। মোট ৩২ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জ গঠন করা হয়।