হাওর বার্তা ডেস্কঃ গতকাল উইন্ডিজের পরিকল্পনায় ছিল সাড়ে তিনশর বেশি রান। আন্দ্রে রাসেল নামার পর সেই প্রত্যাশা আরো বেড়ে যায়। কিন্তু মোস্তাফিজের বলে রাসেলের আউটে হিসাব-নিকাশ পাল্টে যায়। এর আগে একই ওভারে বিপজ্জনক শিমরন হেটমায়ারকেও ফেরান মোস্তাফিজ। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার কাছে তাই কাটার মাস্টারের ওভারটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।
মোস্তাফিজের বলে আন্দ্রে রাসেলের খেই হারানোর চিত্র অবশ্য নতুন নয়। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের সেই ইয়র্কারের কথা নিশ্চয়ই মনে আছে। ২০১৬ সালের আসরে মোস্তাফিজের এক ইয়র্কারে কুপোকাত হয়ে একেবারে মাটিতে শুয়ে পড়েছিলেন আন্দ্রে রাসেল। ততক্ষণে বলও আঘাত করে উপড়ে নিয়েছে স্ট্যাম্প।
মাটিতে লুটিয়ে থাকা অবস্থায় ঘাড় ঘুরিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান অসহায় দৃষ্টিতে দেখছেন লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়া উইকেট! গতকাল আরো একবার মোস্তাফিজের বলে আফসোস করতে হলো রাসেলকে।
ইনিংসের ৪০তম ওভারে সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল ক্যারিবিয়ানরা। ঝড় তোলার প্রস্তুতিও ছিল তাদের। ঠিক তখনই রুদ্রমূর্তিতে হাজির মোস্তাফিজ। আগের স্পেলগুলোতে সুবিধা করতে না পারার খেদটা মিটিয়ে নেন। হেটমায়ারকে তামিম ইকবালের ক্যাচে পরিণত করা মোস্তাফিজের শর্ট লেংথের ডেলিভারিটি রাসেল ঠিকঠাক পড়তে পারেননি। বল তার ব্যাটের কানায় লেগে জমা পড়ে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। দুই বল খেলে খালি হাতে সাজঘরে ফেরেন রাসেল।
ওই সময়টায় বাংলাদেশের সব বোলারই মার খাচ্ছিল। উইকেট তুলে নিয়ে রানের গতি থামাতেই আনা হয়েছিল মোস্তাফিজকে। সেই পরিকল্পনায় একশতে একশ পেয়েছেন বাঁহাতি পেসার। ম্যাচ শেষে কিছুটা অবাক করে দিয়েই সংবাদমাধ্যমের সামনে হাজির হন তিনি। বরাবরের মতোই দু-চারটি বাক্যে কাজ সারেন। ইনিংসের শেষভাগে আক্রমণে আসা প্রসঙ্গে জানান, ‘ওই সময় সবাই মারতে শুরু করেছিল। আমাকে তখন আক্রমণে আনা হয়, আমি চেষ্টা করেছি।
রাসেলের বিপক্ষে বোলিং করার সময় আলাদা কোনো কিছু চেষ্টা করেছিলেন কী-না, এমন প্রশ্নের জবাবে জোরের সঙ্গেই বলেন, ‘শুধু আজকে না, আগেও আমি রাসেলকে আউট করেছি। ও আমাকে দেখলে একটু অস্বস্তি অনুভব করে। আমি সে সুযোগটা কাজে লাগাতে পারি।’