ঢাকা ০৯:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পথ বন্ধ করে বাড়ি নির্মাণ, কৃষকের প্রায় ৩০কোটি টাকার বেশি ক্ষতি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:০৫:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০১৯
  • ২৭১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ তিন বছর ধরে পাকুন্দিয়া পৌর এলাকার দুই শতাধিক একর ফসলি জমির পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ বন্ধের অভিযোগ ওঠেছে কুড়তলা গ্রামের রইছ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। গত তিন বছর ধরে পানি নিষ্কাশনের পথটি বন্ধ থাকায় বর্ষাকালে উজানের জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে বোরো, আমন ও আউশ ধানসহ বিভিন্ন ফসল নষ্ট হয়ে কৃষকের প্রায় ৩০কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।

দীর্ঘদিনের এ জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর একাধিকবার লিখিত দাবি জানালেও এখনও কোন প্রতিকার পায়নি এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী জানায়, পাকুন্দিয়া পৌর এলাকার কুড়তলা গ্রামের বরাটিয়া-বাহাদিয়া সড়কে নির্মিত কালভার্টের নীচ দিয়ে পাকিস্তান আমল থেকে ওই এলাকার উজানের পানি নিষ্কাশন হয়ে আসছে। কালভার্টটির কাছে দক্ষিণ পাশের জমির মালিক একই এলাকার রইছ উদ্দিন।

তিনি ২০১৭সালের এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে তার ওই জমির এক পাশে একটি পুকুর খনন ও অপর পাশে মাটি ভরাট করে একটি বাড়ি নির্মাণ করায় পানি নিষ্কাশনের পথটি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।

কুড়তলা গ্রামের কৃষক মাজহারুল ইসলাম বলেন, কালভার্টটির সামনে পানি নিষ্কাশনের সরকারি খাস জমি দখল করে রইছ উদ্দিন বাড়ি নির্মাণ করায় পানি চলাচলের পথটি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। খাস জায়গাটুকু ছেড়ে দিলেই খাল খনন করে পানি নিষ্কাশনের জন্য ব্যবস্থা করা সম্ভব হতো।

অভিযুক্ত রইছ উদ্দিন বলেন, আমার নিজের জমিতে আমি বাড়ি নির্মাণ ও পুকুর খনন করেছি। আমি পানি চলাচলের পথ বন্ধ করিনি। বরং আমার পুকুর ও বাড়ির পশ্চিম পাশ দিয়ে পানি চলাচলের জন্য একটি নালা তৈরি করে দিয়েছি। সেখান দিয়ে পানি চলাচল করছে।

এ বিষয়ে পাকুন্দিয়া পৌরসভার মেয়র আক্তারুজ্জামান খোকন বলেন, পানি নিষ্কাশনের জন্য খাল খনন করতে আমি কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েছি। কিন্তু জমিতে বাড়ি নির্মাণকারি পক্ষ খুবই প্রভাবশালী। আমার কোনো কথাই তারা কর্ণপাত করছে না। ফলে খাল খনন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ ব্যাপারে তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন। প্রশাসনের সহযোগিতা পেলে এ সমস্যা নিরসন সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ মোকলেছুর রহমান বলেন, এটা পৌরসভার এখতিয়ারাধীন। তবে কোন উন্নয়নমূলক কাজে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হলে পৌর কর্তৃপক্ষকে সকল ধরণের প্রশাসনিক সহযোগিতা করতে উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

পথ বন্ধ করে বাড়ি নির্মাণ, কৃষকের প্রায় ৩০কোটি টাকার বেশি ক্ষতি

আপডেট টাইম : ০২:০৫:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ তিন বছর ধরে পাকুন্দিয়া পৌর এলাকার দুই শতাধিক একর ফসলি জমির পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ বন্ধের অভিযোগ ওঠেছে কুড়তলা গ্রামের রইছ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। গত তিন বছর ধরে পানি নিষ্কাশনের পথটি বন্ধ থাকায় বর্ষাকালে উজানের জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে বোরো, আমন ও আউশ ধানসহ বিভিন্ন ফসল নষ্ট হয়ে কৃষকের প্রায় ৩০কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।

দীর্ঘদিনের এ জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর একাধিকবার লিখিত দাবি জানালেও এখনও কোন প্রতিকার পায়নি এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী জানায়, পাকুন্দিয়া পৌর এলাকার কুড়তলা গ্রামের বরাটিয়া-বাহাদিয়া সড়কে নির্মিত কালভার্টের নীচ দিয়ে পাকিস্তান আমল থেকে ওই এলাকার উজানের পানি নিষ্কাশন হয়ে আসছে। কালভার্টটির কাছে দক্ষিণ পাশের জমির মালিক একই এলাকার রইছ উদ্দিন।

তিনি ২০১৭সালের এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে তার ওই জমির এক পাশে একটি পুকুর খনন ও অপর পাশে মাটি ভরাট করে একটি বাড়ি নির্মাণ করায় পানি নিষ্কাশনের পথটি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।

কুড়তলা গ্রামের কৃষক মাজহারুল ইসলাম বলেন, কালভার্টটির সামনে পানি নিষ্কাশনের সরকারি খাস জমি দখল করে রইছ উদ্দিন বাড়ি নির্মাণ করায় পানি চলাচলের পথটি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। খাস জায়গাটুকু ছেড়ে দিলেই খাল খনন করে পানি নিষ্কাশনের জন্য ব্যবস্থা করা সম্ভব হতো।

অভিযুক্ত রইছ উদ্দিন বলেন, আমার নিজের জমিতে আমি বাড়ি নির্মাণ ও পুকুর খনন করেছি। আমি পানি চলাচলের পথ বন্ধ করিনি। বরং আমার পুকুর ও বাড়ির পশ্চিম পাশ দিয়ে পানি চলাচলের জন্য একটি নালা তৈরি করে দিয়েছি। সেখান দিয়ে পানি চলাচল করছে।

এ বিষয়ে পাকুন্দিয়া পৌরসভার মেয়র আক্তারুজ্জামান খোকন বলেন, পানি নিষ্কাশনের জন্য খাল খনন করতে আমি কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েছি। কিন্তু জমিতে বাড়ি নির্মাণকারি পক্ষ খুবই প্রভাবশালী। আমার কোনো কথাই তারা কর্ণপাত করছে না। ফলে খাল খনন করা সম্ভব হচ্ছে না। এ ব্যাপারে তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন। প্রশাসনের সহযোগিতা পেলে এ সমস্যা নিরসন সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ মোকলেছুর রহমান বলেন, এটা পৌরসভার এখতিয়ারাধীন। তবে কোন উন্নয়নমূলক কাজে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হলে পৌর কর্তৃপক্ষকে সকল ধরণের প্রশাসনিক সহযোগিতা করতে উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।