ঢাকা ১১:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অভিনন্দন সিআইডিকে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:০১:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০১৯
  • ৩১১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অভিনন্দন সিআইডিকে। দারুণ কাজ। প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন লিখেছি। এই লড়াইয়ে অনেক সময় নিজেকে একা মনে হয়েছে। তবুও থামিনি। সিআইডিকে অভিনন্দন না জানিয়ে পারছি না। কারণ প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র প্রস্তুত করেছে সিআইডি। এর মধ্যে ছাত্রলীগের ২১ জন নেতাকর্মীর নাম শুনে অবাক হইনি।

অনেক দিন ধরে নামগুলো শুনছিলাম। সিআইডি বলছে, ২০১১ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় এই চক্রের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। পরীক্ষা শুরুর আগে প্রেস থেকে ছাপা প্রশ্ন নিয়ে প্রথমে তারা মুঠোফোনে খুদে বার্তার মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের কাছে উত্তর পাঠাত। পরে তারা ডিজিটাল যন্ত্রাংশের ব্যবহার বাড়ায়।

ভর্তি পরীক্ষা ছাড়াও সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক, অন্তত দুটো বিসিএস পরীক্ষাসহ বিভিন্ন সরকারি চাকরির প্রশ্নপত্র ফাঁসেও এই চক্র সক্রিয় ছিল। চক্রের মূল নেতারা অঢেল অবৈধ অর্থসম্পদের মালিক হন। সিআইডির তদন্তে অভিযুক্তদের কয়েকজনের ২০ কোটি টাকার অর্থ ও সম্পদের সন্ধান মিলেছে। এসব স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে ইতিমধ্যে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মানি লন্ডারিং মামলাও করেছে সিআইডি।

এমন চমৎকার একটা কাজ করায় সিআইডিকে ধন্যবাদ। দিনের পর দিন কাজ করতে গিয়ে দেখেছি, প্রশ্নপত্র ফাঁস একটা দেশের তারুণ্যকে হতাশায় ডোবাচ্ছে। আজকে প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে শুনলাম।

আমি বিশ্বাস করি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর হলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সব ধরনের চক্রকে চিহ্নিত করা সম্ভব। আমি বিশ্বাস করি সবাই সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ হলে দেশটা একদিন প্রশ্নপত্র ফাঁসমুক্ত হবেই। সিআইডিসহ সেই লড়াইটা এগিয়ে নেয়ার কাজটি যারা করছেন সবার জন্য শুভ কামনা।

লেখক: অধিকারকর্মী।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

অভিনন্দন সিআইডিকে

আপডেট টাইম : ০৫:০১:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ অভিনন্দন সিআইডিকে। দারুণ কাজ। প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন লিখেছি। এই লড়াইয়ে অনেক সময় নিজেকে একা মনে হয়েছে। তবুও থামিনি। সিআইডিকে অভিনন্দন না জানিয়ে পারছি না। কারণ প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র প্রস্তুত করেছে সিআইডি। এর মধ্যে ছাত্রলীগের ২১ জন নেতাকর্মীর নাম শুনে অবাক হইনি।

অনেক দিন ধরে নামগুলো শুনছিলাম। সিআইডি বলছে, ২০১১ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় এই চক্রের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। পরীক্ষা শুরুর আগে প্রেস থেকে ছাপা প্রশ্ন নিয়ে প্রথমে তারা মুঠোফোনে খুদে বার্তার মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের কাছে উত্তর পাঠাত। পরে তারা ডিজিটাল যন্ত্রাংশের ব্যবহার বাড়ায়।

ভর্তি পরীক্ষা ছাড়াও সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক, অন্তত দুটো বিসিএস পরীক্ষাসহ বিভিন্ন সরকারি চাকরির প্রশ্নপত্র ফাঁসেও এই চক্র সক্রিয় ছিল। চক্রের মূল নেতারা অঢেল অবৈধ অর্থসম্পদের মালিক হন। সিআইডির তদন্তে অভিযুক্তদের কয়েকজনের ২০ কোটি টাকার অর্থ ও সম্পদের সন্ধান মিলেছে। এসব স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে ইতিমধ্যে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মানি লন্ডারিং মামলাও করেছে সিআইডি।

এমন চমৎকার একটা কাজ করায় সিআইডিকে ধন্যবাদ। দিনের পর দিন কাজ করতে গিয়ে দেখেছি, প্রশ্নপত্র ফাঁস একটা দেশের তারুণ্যকে হতাশায় ডোবাচ্ছে। আজকে প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে শুনলাম।

আমি বিশ্বাস করি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর হলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সব ধরনের চক্রকে চিহ্নিত করা সম্ভব। আমি বিশ্বাস করি সবাই সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ হলে দেশটা একদিন প্রশ্নপত্র ফাঁসমুক্ত হবেই। সিআইডিসহ সেই লড়াইটা এগিয়ে নেয়ার কাজটি যারা করছেন সবার জন্য শুভ কামনা।

লেখক: অধিকারকর্মী।