হাওর বার্তা ডেস্কঃ পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের ১২০০তম সভায় চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ব্যাংকিংয়ের কিংবদন্তী প্রাণপুরুষ এম আযীযুল হক। রোববার (১৯ মে) সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন-ই তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করেন।
এম আযীযুল হক কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার ধলা (ভূইঁয়া বাড়ি) গ্রামে ১৯৩৫ সালের ১৬ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা মরহুম নুরুল ইসলাম ভুইঁয়া ছিলেন এলাকার খ্যাতনামা একজন গুণীজন এবং মা মরহুমা আজিজুননেছা ছিলেন একজন রত্মগর্ভা।
সুদীর্ঘ ৬২ বছরের ব্যাংকিং অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যাংকিংয়ের কিংবদন্তী প্রাণপুরুষ এ ব্যাংকার ১৯৫৮ সালে অবেক্ষাধীন কর্মকর্তা (প্রবেশনারী অফিসার) হিসেবে পাকিস্তানের হাবিব ব্যাংকে করাচিতে যোগ দিয়ে ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেন।
তিনি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রথম ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), সোস্যাল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের প্রথম ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা এমডি এবং পরে অ্যাডভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়াও এম আযীযুল হক ব্যাংক এশিয়া, দি সিটি ব্যাংক লিমিটেড, এবি ব্যাংক লিমিটেডের ইসলামিক ব্যাংকিং কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। এর পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন ব্যাংকের শরীয়াহ্ কাউন্সিলের সাথে জড়িত আছেন। এর মধ্যে তিনি ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড শরীয়াহ্ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, এবি ব্যাংক শরীয়াহ্ কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান এবং শরীয়াহ্ কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে আছেন সিটি ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক ও ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডে।
ইসলামী ব্যাংকিং ও অর্থনীতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য এম আযীযুল হক ‘সেন্ট্রাল শরীয়াহ্ বোর্ড ইসলামী ব্যাংকিং অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’-এর জন্য মনোনীত হন। খ্যাতনামা ব্যাংকার এম আযীযুল হক শুধু ব্যাংক পরিচালনার দায়িত্ব-ই পালন করেননি। পাশাপাশি ব্যাংকিংয়ের জ্ঞানকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তিনি প্রায় ১০ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের খন্ডকালীন অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
ব্যাংকিং খাতের কিংবদন্তী প্রাণপুরুষ এম আযীযুল হক দেশের ব্যাংক ব্যবস্থাপনা সাথে আজীবন জড়িত থেকেও তাড়াইল উপজেলার ধলা গ্রামে নিজ বাড়ির আঙিনায় পৈত্তিক ভূমিতে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘ধলা বহুমূখী আলিম মাদরাসা।’
এম আযীযুল হকের সহধর্মিনী মিসেস জাহানারা হক অবসরপ্রাপ্ত একজন শিক্ষক। পারিবারিক জীবনে তিনি দুই পুত্র ও দুই কন্যা সন্তানের জনক।