নৌকা করে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে কয়েকটি দেশে আটক বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে রাজী হয়েছে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা আইওএম।
ঢাকায় আইওএমের মুখপাত্র আসিফ মুনীর বিবিসি বাংলার কাদির কল্লোলকে জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের একটি অনুরোধে তারা সম্মতি দিয়েছেন। সূত্র: বিবিসি।
তিনি জানান, জরুরী ভিত্তিেত ১০ লাখ মার্কিন ডলারের একটি তহবিল মঞ্জুর করা হয়েছে।
থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়াতে দুই থেকে তিন হাজারের মত বাংলাদেশি আটক রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তালিকা তৈরি হচ্ছে
আইওএম জানিয়েছে, জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর এবং স্থানীয় বাংলাদেশ দুতাবাসগুলোর সহযোগিতায় আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের তালিকা তৈরীর কাজ শুরু হয়ে গেছে।
মি মুনীর জানান, প্রথমে মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনা হবে।
মালয়েশিয়ার লাংকাউয়ি দ্বীপে কয়েকটি নৌকায় পৌঁছানো অভিবাসীদের মধ্যে সাতশ’র মত বাংলাদেশি রয়েছে।
এছাড়া অভিবাসী ভর্তি যে নৌকাটি গত সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ার জেলেরা উদ্ধার করেছে, তাতে ছয় থেকে সাতশ’র বাংলাদেশি রয়েছে বলে জানা গেছে।
থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ার উপকূলের কাছে কয়েক ডজন নৌকায় ভাসছে কয়েক হাজার মানুষ
ধারনা করা হচ্ছে, আটক বাংলাদেশিদের সংখ্যা থাইল্যান্ডে অনেক বেশি। গত দু’তিন বছর ধরে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে থাইল্যান্ডে তাদের অনেকে আটক হয়েছে।
পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, থাইল্যান্ডের বিভিন্ন কারাগারে এবং বন্দী শিবিরে বর্তমানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বাংলাদেশি আটক রয়েছে।
তবে দেশে ফিরিয়ে আনার আগে, আটককৃতদের নাগরিকত্ব সনাক্ত করবে বাংলাদেশ সরকার।
আইওএমের নীতি অনুযায়ী তারা শুধুমাত্র দেশে ফিরতে ইচ্ছুকদের সহযোগিতা করতে পারে। কেউ ফিরতে না চাইলে, জাতিসংঘের এই সংস্থার কিছু করার থাকেনা।