ঢাকা ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার বিএনপি জোট ছাড়ল লেবার পার্টি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩২:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৮
  • ৩০৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নামে ১/১১-এর কুশিলবদের অপতৎপরতা ও ২০ দলীয় জোটকে অকার্যকর করার প্রতিবাদে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ত্যাগ করল বাংলাদেশ লেবার পার্টি (একাংশ)। শুক্রবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে লেবার পার্টির নির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এক বার্তায় তথ্য জানানো হয়।

দলের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, ভাইস-চেয়ারম্যান হিন্দুরত্ম রামকৃষ্ণ সাহা, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মহসিন ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব আবদুল্লাহ আল মামুন, শামিমা চৌধুরীসহ নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ।

বার্তায় বলা হয়, বিএনপি’র নেতৃত্বে ৪ দলীয় জোটকে সম্প্রসারণ করে ১৮ দলীয় জোট যা পরবর্তীতে ২০ দলীয় জোটে রূপান্তরিত হয়েছে। এ জোটের শরীক হিসেবে আমরা আমাদের সাধ্যমত অবদান রাখায় সচেষ্ট ছিলাম।

গত ৫ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে লেবার পার্টির তৎকালীন চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানকে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও জামায়াতের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় দলের আদর্শ ও দেশ বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকায় তাকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ অব্যাহতি দিয়ে এমদাদুল হক চৌধুরীকে চেয়ারম্যান মনোনীত করা হয়।

বার্তায় আরও বলা হয়, দলের অধিকাংশ নেতৃবৃন্দ আমাদের সাথে থাকলেও বিএনপি ইরানের অংশকেও জোটে রেখে দেয়। আমরা অপমানিত হলেও দেশ-জাতি ও গণতন্ত্রের স্বার্থে বিষয়টিকে মেনে নিয়েই জোটের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করি। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সিলেট সিটি নির্বাচনে ইরান জোটের প্রার্থীর বিপক্ষে সরাসরি নির্বাচনের মাঠে থাকলেও জোটের প্রধান দল তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই।

সাম্প্রতিক কালে বিএনপির জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা অব্যাহত থাকলে আমরা তা পর্যবেক্ষণ করছিলাম। গত ১৩ অক্টোবর জাতীয় ঐক্যের নামে “জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট” নামক একটি জোটের আত্মপ্রকাশ করতে গিয়ে বিএনপি ও তার নতুন বন্ধুরা যে সকল ঘটনার অবতারণা করেছেন তা সত্যই দু:খজনক ও হতাশাব্যাঞ্জক। ১/১১ এর কুশিলব ও বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়ার নেতাদেরকে সাথে নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন ও সাম্প্রতিক কালে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেন, অন্যতম নেতা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন ও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ফাঁস হওয়া কথোপকথনে নতুন করে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে মাইনাস করার ষড়যন্ত্র ফুটে উঠে। এ ধরনের গোঁজামিলের জোট দেখে আমরা আতঙ্কিত। শুধুমাত্র ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আমরা কি আরেকটি অশুভ শক্তিকে ক্ষমতায় আনার ষড়যন্ত্রের অংশীদার হতে যাচ্ছি কিনা! লেবার পার্টি মনে করে নতুন এ জোটের আত্মপ্রকাশ ২০ দলীয়  জোটকে অকার্যকর, অন্তঃসারশূন্য এবং জাতির সাথে তামাশা ছাড়া কিছুই নয়।

বাংলাদেশ লেবার পার্টি ক্ষমতার পালা বদলের নামে কোন অশুভ শক্তি ক্ষমতা গ্রহণ করে আবারও দেশকে রাজনীতি শূন্য করার কোন ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে না বলেও বার্তা উল্লেখ করা হয়।

এই প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বাংলাদেশ লেবার পার্টি নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির স্বার্থে আজ থেকে ২০ দলীয় জোটের সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করছে। আমরা নতুন করে পথ চলতে চাই। আমরা আশাকরি সকলে মিলে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আগামী দিনে একটি সুখী-সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হব।

এর আগে বাংলাদেশ ন্যাপ ও এনডিপি ২০ দল থেকে সরে আসে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

এবার বিএনপি জোট ছাড়ল লেবার পার্টি

আপডেট টাইম : ০৫:৩২:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নামে ১/১১-এর কুশিলবদের অপতৎপরতা ও ২০ দলীয় জোটকে অকার্যকর করার প্রতিবাদে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ত্যাগ করল বাংলাদেশ লেবার পার্টি (একাংশ)। শুক্রবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে লেবার পার্টির নির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এক বার্তায় তথ্য জানানো হয়।

দলের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, ভাইস-চেয়ারম্যান হিন্দুরত্ম রামকৃষ্ণ সাহা, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মহসিন ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব আবদুল্লাহ আল মামুন, শামিমা চৌধুরীসহ নির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ।

বার্তায় বলা হয়, বিএনপি’র নেতৃত্বে ৪ দলীয় জোটকে সম্প্রসারণ করে ১৮ দলীয় জোট যা পরবর্তীতে ২০ দলীয় জোটে রূপান্তরিত হয়েছে। এ জোটের শরীক হিসেবে আমরা আমাদের সাধ্যমত অবদান রাখায় সচেষ্ট ছিলাম।

গত ৫ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে লেবার পার্টির তৎকালীন চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানকে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও জামায়াতের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় দলের আদর্শ ও দেশ বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকায় তাকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ অব্যাহতি দিয়ে এমদাদুল হক চৌধুরীকে চেয়ারম্যান মনোনীত করা হয়।

বার্তায় আরও বলা হয়, দলের অধিকাংশ নেতৃবৃন্দ আমাদের সাথে থাকলেও বিএনপি ইরানের অংশকেও জোটে রেখে দেয়। আমরা অপমানিত হলেও দেশ-জাতি ও গণতন্ত্রের স্বার্থে বিষয়টিকে মেনে নিয়েই জোটের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করি। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সিলেট সিটি নির্বাচনে ইরান জোটের প্রার্থীর বিপক্ষে সরাসরি নির্বাচনের মাঠে থাকলেও জোটের প্রধান দল তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই।

সাম্প্রতিক কালে বিএনপির জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা অব্যাহত থাকলে আমরা তা পর্যবেক্ষণ করছিলাম। গত ১৩ অক্টোবর জাতীয় ঐক্যের নামে “জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট” নামক একটি জোটের আত্মপ্রকাশ করতে গিয়ে বিএনপি ও তার নতুন বন্ধুরা যে সকল ঘটনার অবতারণা করেছেন তা সত্যই দু:খজনক ও হতাশাব্যাঞ্জক। ১/১১ এর কুশিলব ও বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়ার নেতাদেরকে সাথে নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন ও সাম্প্রতিক কালে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেন, অন্যতম নেতা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন ও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ফাঁস হওয়া কথোপকথনে নতুন করে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে মাইনাস করার ষড়যন্ত্র ফুটে উঠে। এ ধরনের গোঁজামিলের জোট দেখে আমরা আতঙ্কিত। শুধুমাত্র ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আমরা কি আরেকটি অশুভ শক্তিকে ক্ষমতায় আনার ষড়যন্ত্রের অংশীদার হতে যাচ্ছি কিনা! লেবার পার্টি মনে করে নতুন এ জোটের আত্মপ্রকাশ ২০ দলীয়  জোটকে অকার্যকর, অন্তঃসারশূন্য এবং জাতির সাথে তামাশা ছাড়া কিছুই নয়।

বাংলাদেশ লেবার পার্টি ক্ষমতার পালা বদলের নামে কোন অশুভ শক্তি ক্ষমতা গ্রহণ করে আবারও দেশকে রাজনীতি শূন্য করার কোন ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে না বলেও বার্তা উল্লেখ করা হয়।

এই প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বাংলাদেশ লেবার পার্টি নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির স্বার্থে আজ থেকে ২০ দলীয় জোটের সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করছে। আমরা নতুন করে পথ চলতে চাই। আমরা আশাকরি সকলে মিলে নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আগামী দিনে একটি সুখী-সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হব।

এর আগে বাংলাদেশ ন্যাপ ও এনডিপি ২০ দল থেকে সরে আসে।